ঢাকা:সাংবাদিককে আটকে রেখে মারধরের অভিযাগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেড এইচ শিকদার মেডিকেল উইমেন’স মেডিকেল কলেজের ভেতরে ডাক্তার নামধারী এক সন্ত্রাসী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তার নাম ডা. সফিউল আজম। হামলার শিকার এই সাংবাদিকের নাম প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধ শিশির মোড়ল।তাকে হাসপাতালে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়।এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় শিশির মোড়ল বাদি হয়ে সফিউল আজম ও তার সহযোগী আবু সুফিয়ানকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ওই হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. সফিউল আজমের পদবি নিয়ে অনুসন্ধান চালানোয় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সদলবলে শিশিরের ওপর হামলা চালান।
‘অনধিকার চর্চা’ হয়েছে মর্মে- শিশিরের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে দু’ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেন তারা। আহত সাংবাদিক বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল থেকে শিশির মোড়ল জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে ‘নির্দয়ভাবে’ পেটান সফিউল ও তার সহকর্মীরা।
সফিউল একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নিজেকে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এবিষয়ে জানতেই তিনি ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেতে একজন চিকিৎসককে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়।
শিশির মোড়ল জানান, তিনি জানতে পেরেছেন যে সফিউল আজম সরকারি চাকরি না ছেড়ে পূর্ণকালীন হিসেবে শিকদার মেডিকেল কলেজেও কাজ করছেন।
ডা. সাইফুল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের একটি ক্লিনিকেও বসেন, যেখানে তিনি নিজেকে একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল ও শিকদার মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/ ১৩ মে / এআর/ ঘ.)