logo ১১ মে ২০২৫
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত নেপালের এফএম!
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
০৬ মে, ২০১৪ ১২:০৪:৪০
image

ঢাকা: মোদী, লালু, নীতীশকে ভোট দেওয়ার বিজ্ঞাপন শোনাচ্ছে নেপালের এফএম রেডিও!


বিহারের কয়েকটি জেলায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকাগুলোতে এন বিজ্ঞাপন হরহামেশাই শোনা যাচ্ছে। নেপালের সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল রাজদেবী ও ইন্দ্রানী। লোকসভা ভোটের জোরদার প্রচার চলছে ওই দুটি চ্যানেলেই। এছাড়া প্রচার জমেছে জলেশ্বর রেডিও, মদেশি রেডিও, রেডিও টু ডে, জনকপুর রেডিও, শঙ্কর রেডিও, নারায়নী এফএম ও রেডিও বীরগঞ্জ এফএমেও।


ভারতের ভোটারদের কাছে পৌঁছতে বিজ্ঞাপনে থাকছে হিন্দি, ইংরেজি, ভোজপুরি, মৈথিলি ভাষার মিশ্রন। দিনের বিভিন্ন সময় বাজছে ভোজপুরি, বলিউডের গানও।


বিহারের শ্রোতা টানতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের চ্যানেলগুলো। কারণ বিজেপি, কংগ্রেস, জেডিইউ, আরজেডি-র কথা শুনিয়ে আয় বাড়ছে নেপালের ওই সব রেডিও চ্যানেলের। একই সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রিয়তাও।


বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্ত প্রায় সাড়ে সাতশো কিলোমিটার বিস্তৃত। ১৪টি লোকসভা আসনের কিছু অংশ ওই এলাকায় ছড়িয়ে। সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দার ঘরে শুধু নেপালের এফএম চ্যানেলেরই সিগন্যাল ধরা যায়। ভারতীয় এফএম চ্যানেলগুলো কার্যত অধরা। তা জেনেই নেপালের রেডিও চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিভিন্ন দলের ভোটপ্রার্থীরা।


বাল্মীকিনগর, পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, মুজফরপুর, সিওহর এবং সীতামঢ়ীর আসনগুলো ৭ মে ভোট। তার আগে দলগুলোর ভরসা নেপালের এফএমই। মানছেন মোতিহারির আরজেডি নেতা মনোজ পাসোয়ান। তিনি বলেন, এছাড়া কোনও উপায় নেই।


এক দেশের ভোটের প্রচার চলছে অন্য রাষ্ট্রের রেডিওতে। এতে কি নির্বাচন-বিধি মানা হচ্ছে?


রাজ্যের সহকারী নির্বাচন আধিকারিক আর লক্ষ্মণ বলেন, এজন্য প্রার্থীদের কমিশনের কাছে অনুমতি নিতে হয়। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপনের হিসেবও দাখিল করতে হয় কমিশনের কাছে।


(ঢাকাটাইমস/৬মে/জেএস)