শারফুদ্দিন আহমেদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। পাশাপাশি প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক মহাসচিব এবং স্বাচিপ নেতা। সম্প্রতি সারা দেশে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজন ও সাংবাদিকদের সংঘাত, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিএমএ’র কার্যক্রমসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকাটাইমস-এর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ।
ঢাকাটাইমস: দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজন, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের সংঘাতময় পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
শারফুদ্দিন আহমেদ: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিষয় নিয়ে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তা আসলে পুরোপুরি ঠিক নয়। টিভি সংবাদে যে লাঠিটি দেখানো হয় সেটি একজন সাংবাদিকের হাতে। কিন্তু বলা হচ্ছে চিকিৎসকরা সাংবাদিককে মেরেছেন। এটি অনেকের কাছে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। নবীন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা আসলে কোনো চিকিৎসা দেন না। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে তারা চিকিৎসা দেন। আমার অধীনে যে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কাজ করে তাকে আমি না বললে সে কোনো ওষুধ লিখতে পারে না। ধরেন রাত ২টার দিকে আমি হয়ত থাকি না। কিন্তু আমরা নবীন চিকিৎসককে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেই যাতে সে জরুরিভাবেও দায়িত্ব পালন করতে পারে। আসলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক সব ধরনের মানুষের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। একজন সাংবাদিক যদি কোনো খবর নিতে যায় চিকিৎসক তাতে সম্মত হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তথ্য অধিকার আইনে বলা আছে, কেউ যদি তথ্য নিতে চায় আমি দিতে পারবো, কিন্তু এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। সেই অনুমতি যারা না নেবে তারা যেকোনো ঝামেলার শিকার হতে পারে। সবাই খারাপ নয়। আমাদের একেকজনের মানসিকতা একেক রকম।
ঢাকাটাইমস: এসব কারণে চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীদের সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে কথা তুলছেন অনেকে।
শারফুদ্দিন আহমেদ: শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে সাংবাদিক বা রোগীদের যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন। আমি মনে করি চিকিৎসকতা এবং সাংবাদিকতা দুটোই মহৎ পেশা। তাই তারা যদি সহনশীল হয়ে এক সঙ্গে কাজ করে তাহলে যেকোনো ধরনের সংকট কাটানো সম্ভব। আর চিকিৎসক এবং রোগীদের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরেছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে এটি আসলে সঠিক নয়। তা হলে হাসপাতালগুলোকে রোগীরা আসতেন না। তবে আমার ধারণা, রোগী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে।
ঢাকাটাইমস: এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন?
শারফুদ্দিন আহমেদ: বিভিন্ন বিরোধী দল বর্তমানে কোনো সেক্টরেই আন্দোলন-সংগ্রাম করে এগোতে সক্ষম হচ্ছে না। তাই হয়ত স্বাস্থ্য খাতকে বেছে নেওয়া হতে পারে। যারা রাজনৈতিকভাবে এই আন্দোলনের-সংগ্রামের সুবিধা নিতে চাইছে তারা যে এর পেছনে প্ররোচনা দিচ্ছে না, কোটি কোটি টাকা খরচ করছে না এটা তো নিশ্চিত করে বলা যাবে না। সতর্ক থাকতে হবে ওই ফাঁদে যেন আমরা কেউ পা না দেই।
ঢাকাটাইমস: চিকিৎসকরা কোনো অন্যায় করলে দেখবে কারা?
শারফুদ্দিন আহমেদ: চিকিৎসকরা যদি অন্যায় করে তবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এজন্য নীতিমালা আছে। চিকিৎসক অনিয়ম করলে তাঁর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। যেন সে প্র্যাকটিস করতে না পারে।
ঢাকাটাইমস: চিকিৎসকরা চাইলেই কি কথায় কথায় কর্মবিরতি বা ধর্মঘটে যেতে পারে?
শারফুদ্দিন আহমেদ: কথায় কথায় ধর্মঘট করা ঠিক নয়। তবে একটা জিনিস বলতে হবে যে, আমাকে হাতকড়া পরাচ্ছেন, কারাগারে নিয়ে যাচ্ছেন, আমাকে রোগীর স্বজনরা মারছেন- এক্ষেত্রে প্রতিবাদ করার আমার কী ভাষা থাকতে পারে? আমরা ১৪ মে মানববন্ধন করলাম, কালো ব্যাজ লাগালাম এটাও আমাদের প্রতিবাদের ভাষা। আবার এক-দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি এটাও প্রতিবাদের ভাষা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে, বহির্বিভাগে রোগী দেখছি, ভেতরের রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। এর মধ্যে একটি ঘণ্টা আমি কর্মবিরতির মাধ্যমে যদি সরকারের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি তুলি তাতে দোষের কিছু নয়।
ঢাকাটাইমস: কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি চলাকালে জরুরি বিভাগেও চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল। পত্রিকায় এ ধরনের ছবিও ছাপা হয়েছে।
শারফুদ্দিন আহমেদ: ঢাকা মেডিকেলে নবীন যে চিকিৎসক হামলায় আহত হয়েছেন ওর মাথা ফেটে গেছে, পা ভেঙে গেছে। এখনও তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অথচ কোনো পত্র-পত্রিকায় ওই ছেলেটার কোনো খবর আসেনি। ওই ছেলেটার জন্য আমরা যদি কেউ কোনো ব্যবস্থা না নেই তা কী করে হয়। ওর তো আমাদের প্রতি দাবিও আছে। সেই ক্ষেত্রে অনারারি চিকিৎসকরা যে কর্মবিরতি করেছে তাতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়নি। তবে সবাই মিলে জরুরি বিভাগ বন্ধ করে যদি কর্মবিরতি করা হয় আমি এর সঙ্গে নেই। আমি চাই রোগীর চিকিৎসা অব্যাহত রেখে অন্য কোনো পদ্ধতিতে দাবি আদায় করব।
ঢাকাটাইমস: চিকিৎসকরা ধর্মঘট করছেন কিন্তু বিএমএ কিছুই জানছে না। এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের মধ্যকার অসন্তোষ বা রোগীদের মধ্যে শঙ্কা দূর করতে বিএমএ কোনো উদ্যোগ কি নিয়েছে?
শারফুদ্দিন আহমেদ: বিএমএ’র বর্তমান কমিটি অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের অসন্তোষ দূর করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করে আন্দোলন কিছুটা এগিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়ে বহুদিন বলেছি অনেক কাজ হয়নি।
ঢাকাটাইমস: বিএমএ’র কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া উচিত?
শারফুদ্দিন আহমেদ: প্রথমত বিএমএ’র উচিত চিকিৎসক ও রোগীর নিরাপত্তা আইন করা। দ্বিতীয়ত এমন নিয়ম করা উচিত যে, বিএমএকে না জানিয়ে কোথাও কেউ কর্মবিরতিতে যাবে না। কারণ অনেক জায়গায় দেখা গেছে, চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন অথচ বিএমএ জানে না। নিয়ন্ত্রণ নেই বলে তারা এসব করছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমাদের নবীন চিকিৎসকদের আচরণ যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো হয় এজন্য ‘আচরণগত বিজ্ঞান’ পাঠ্যসূচিতে যোগ করতে হবে। এটা কমিউনিটি মেডিসিনে আছে। এর বাইরে চিকিৎসকদের নিয়ে মটিভেশনাল প্রোগ্রাম করা উচিত। এখানে সাংবাদিকদেরও রাখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে বিএমএকে সক্রিয় করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সংগঠনের নতুন কমিটি হচ্ছে না এবং কমিটিগুলো চাঙ্গা হচ্ছে না। প্রতি মাসে বিএমএ’র কার্যনির্বাহী বৈঠক হওয়ার কথা। এখন চার-ছয় মাস পরে হয়। একটি সিসি বৈঠক হওয়ার কথা প্রতি তিন মাস পর পর। কিন্তু দেড় বছরে একটি হয়েছে। এ সবের কারণেই সংগঠনে স্থবিরতা এসেছে।
ঢাকাটাইমস: বিএমএ সক্রিয় হতে পারছে না কেন?
শারফুদ্দিন আহমেদ: আমার কাছে মনে হয়, কারো কারো মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতার অভাব আছে। বিএমএতে আমি যখন মহাসচিব ছিলাম তখন সঠিক সময়ে নির্বাচন দিয়েছি। একমাত্র আমিই এ কাজ করেছি। কারণ আমি চাই সংগঠন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলুক। নতুন নেতৃত্ব আসুক এটা আমি চাই। এরই মধ্যে তুলনা হয়ে গেছে, আগের জন কেমন ছিলেন, এখন যিনি আছেন তিনি কেমন। আমার সময়ে ছয় হাজার চিকিৎসকের পদ তৈরি হয়েছে। তিন হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আমার সময়ে হয়েছে। সবকিছু মিলে আমার অর্জন কম নয়।
ঢাকাটাইমস: আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের ক্ষেত্রে কিন্তু একই চিত্র চোখে পড়ছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ বহু আগে।
শারফুদ্দিন আহমেদ: ১১ বছর ধরে যেই সংগঠনে নতুন কোনো কমিটি হচ্ছে না সেখানে কোনো ধরনের অগ্রগতি হওয়ার কথা নয়, হচ্ছেও না।
ঢাকাটাইমস: রোগীদের জিম্মি করে কর্মবিরতিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিপোক্রেটিক ওথ (শপথ) ভঙ করছেন বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
শারফুদ্দিন আহমেদ: আসলে কর্মবিরতি হচ্ছে একটা দাবি আদায়ের মাধ্যম। কথায় কথায় কর্মবিরতি বা জরুরি চিকিৎসা ব্যাহত করা ঠিক নয়। সব রোগীই আমার কাছে সমান। সেই ক্ষেত্রে কেউ যদি ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে আমি মনে করি ওই ব্যক্তিটি ‘হিপোক্রেটিক ওথের’ বাইরে চলে যাবেন।
ঢাকাটাইমস: চিকিৎসকদের আন্দোলনের বিকল্প ভাষা আর কী হতে পারে?
শারফুদ্দিন আহমেদ: আসলে মানববন্ধন, কালো ব্যাজ ধারণ, দু-এক ঘণ্টা কর্মবিরতির পরও যদি কোনো দাবি আদায় না হয় তবে এই সমস্যা তো আরও বাড়বে। তখন জরুরি সেবা ব্যাহত না হলেও অন্য সেবা হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসকদের পদ তৈরি, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকাটাইমস: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন চিকিৎসকদের ধর্মঘট ঠেকাতে আইন করা হবে। আইন করে কি এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব?
শারফুদ্দিন আহমেদ: আইন করে সবকিছু সমাধান করা যায় বলে আমার মনে হয় না। মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সমাজের অবক্ষয় দূর করতে হবে। সবাইকে সহনশীল হতে হবে। রোগীর পাশাপাশি দেশের কথা ভাবতে হবে। তাহলেই এ ধরনের সংকট কাটতে বেশি দিন সময় লাগবে না।
ঢাকাটাইমস: চিকিৎসকরা গ্রামে থাকতে চান না, এর পেছনে কারণ কী?
শারফুদ্দিন আহমেদ: এর পেছনে বেশকিছু কারণ আছে। একটি হচ্ছে আজকাল নারী চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি। তাদের যদি গ্রামে পোস্টিং হয় তাহলে আমরা রাখতে পারি না। কারণ, তারা কখনো গ্রামের পরিবেশে যাননি। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন তারাও গ্রামে যেতে চান না। এজন্য চাকরি চলে গেলেও তারা কর্ণপাত করেন না। কারণ অনেকের পারিবারিক আর্থিক সঙ্গতি ভালো। তৃতীয়ত যাকে আমরা গ্রামে পাঠাচ্ছি তাকে আমরা ভবিষ্যতে কোন জায়গায় নিয়ে যাব তার কোনো ইতিবাচক দিক সামনে রাখতে পারি না। এটা এমন হতে পারতো যে, তিন বছর যদি কোনো চিকিৎসক গ্রামে থাকেন তাহলে তিনি সরাসরি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার সুযোগ পাবেন। অতিরিক্ত ভাতা দিতে পারি। চলাচলের জন্য একটি মোটরসাইকেল দিতে পারি। নিরাপদ আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে পারি। এছাড়া স্থানীয় রাজনীতিকরা অনেক সময় চিকিৎসকের কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা আদায় করেন। এসব ঝামেলার কথা চিন্তা করে অনেকে সেখানে যেতে চায় না। তবে ভালো চিকিৎসক হলে গ্রামেও কিন্তু অনেক প্রাকটিসের সুযোগ আছে। সেখানে ভালো স্কুল-কলেজ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে ভবিষ্যতেও সেখানে থাকতে চিকিৎসকরা উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমি মনে করি। বাস্তব চিত্র হলো- বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে থাকা তো দূরের কথা বসারও জায়গা নেই। এ বিষয়ে আমি সরকারকেও বলেছি।
ঢাকাটাইমস: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনো চিকিৎসক যদি গ্রামে থাকতে না চান তবে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে।
শারফুদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী যদি কোনো চিকিৎসককে গ্রামে না যাওয়ার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন তা তিনি করতেই পারেন। এর বিরুদ্ধে আমরা একটি কথাও বলব না। নতুন চিকিৎসক চাকরিতে নিয়ে চিকিৎসা সেবা যদি চালিয়ে যেতে পারি তাতেই হবে। জনগণকে সেবা দেওয়াই তো সরকারের কাজ।
ঢাকাটাইমস: সাংবাদিক শিশির মোড়লের ওপর একজন চিকিৎসক যে হামলা করলেন এটাকে কীভাবে দেখছেন?
শারফুদ্দিন আহমেদ: এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে আমি তাদের নিন্দা জানাই। আমি নিজে সহানুভূতি জানানোর জন্য শিশির মোড়লের কেবিনে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি তাকে ওই চিকিৎসকের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করে আসছি। যেই চিকিৎসক এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করে যতটুকু আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আমি তা করতে সহায়তা করবো।
ঢাকাটাইমস: আপনাকে ধন্যবাদ।
শারফুদ্দিন আহমেদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।