ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁও থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমনের স্বজনদের চোখে ঘুম নেই ছয় মাস ধরে। কখন ছেলেটি ঘরে ফিরবে প্রতীক্ষায় আছেন মা হাজেরা খাতুন। আট ও সাড়ে তিন মাসের দুটি মেয়ের বায়না মেটাবে বাবা, এই আশা স্ত্রী নাসিমা বেগমের।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৪ ডিসেম্বর রাতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সুমন। হঠাৎ গাড়িতে করে আসে কালো পোশাকধারী একদল লোক। অস্ত্রের মুখে সুমনকে টেনে ওঠায় গাড়িতে, সঙ্গে নিয়ে যায় আড্ডায় থাকা আরও সাতজনকে। এর পর থেকে সুমন বা অন্য সাতজন কোথায় আছে, কেমন আছে, বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, জানে না তাদের স্বজনরা।
এতগুলো মানুষ এক জায়গা থেকে উধাও কিন্তু পুলিশ, র্যাব বা সরকারি কোনো সংস্থার কোনো তৎপরতা নেই। কারা নিয়েছে এদের? স্বজনদের অভিযোগের তীর র্যাবের দিকে। রাজধানীর ভাটারা থানায় এ নিয়ে মামলাও হয়েছে একটি।
এ মামলাটি হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। করেছেন নিখোঁজ আল-আমিনের বাবা আহমদউল্লাহ। সুমনের পরিবার মামলা করতে গিয়েছিল তেজগাঁও থানায়। কিন্তু র্যাবের বিরুদ্ধে করতে যাওয়া সে মামলা নেয়নি পুলিশ। আবার বেশ কয়েকটি ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও পুলিশ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। এর তদন্ত এগোয়নি বললেই চলে।
এই আটজনের মধ্যে একজন ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী। একজন একটি দলের সমর্থক। তিনজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। একজন ছিলেন অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। বাকি দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
সুমন ছাড়া সবাই পড়ালেখা শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছিল। তাদের সঙ্গে কারও বড় ধরনের কোনো বিরোধ বা শত্রুতা আছে, এমন তথ্য নেই পরিবারের কাছেও। জীবিত বা মৃত কী অবস্থায় আছে ছেলেগুলো তার সন্ধান চায় স্বজনরা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণের তিন দিন পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে। এই সাতজনকে অপহরণের ঘটনায় গণমাধ্যমে তোলপাড় হয়েছে শুরু থেকেই। কিন্তু আটজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব পায়নি কোথাও।
এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, এখন পর্যন্ত তদন্তে তারা এ ঘটনার কোনো কূল-কিনারা করতে পারেননি।
বিভিন্ন থানায় জিডিও করেছে নিখোঁজদের স্বজনরা। এর একটি হয়েছে তেজগাঁও থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এই ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটা অনেক পুরনো ঘটনা। তাছাড়া আমি সে সময় এই থানায় ছিলামও না। তাই কী হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
রাজনৈতিক পরিচয় আছে কেবল সুমনের
সুমন রাজনীতিতে জড়ান ছাত্রজীবন থেকেই। প্রথমে ছাত্রদল, পরে যুবদল আর সব শেষে বিএনপির কমিটিতেও স্থান পান তিনি।
বিএনপির দাবি, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন নস্যাৎ করতে সরকার ব্যাপক গুম-হত্যা চালিয়েছে। এর বলি হয়েছে সুমন। ঢাকাটাইমসকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারই এসব গুমের সঙ্গে জড়িত। কেবল আমরা নই, আন্তর্জাতিকভাবেও এ নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠছে। কিন্তু সরকার কোনো কিছুতে কর্ণপাত করছে না বলে তা থামছে না।’
দলের নেতার নিখোঁজের বিষয়ে বিএনপি কিছু বলছে না কেনÑজানতে চাইলে দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা নিশ্চুপ নই, গুম-অপহরণের প্রতিবাদে আমরা কদিন আগেও গণঅনশন করেছি, আর নিয়মিত এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।’
সুমনের মা হাজেরা খাতুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ছয় মাস পার হয়ে গেলেও আমার সন্তানকে উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। সন্তানহারা মা হয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন, আমার সন্তানকে জীবিত অবস্থায় আমার কাছে ফেরত দিন।’
হাজেরা খাতুন বলেন, ‘ওই দিন রাত ৮টার দিকে আমার ছেলে তার বন্ধুদের নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। ওই সময় ছয়টি গাড়িতে করে র্যাবের পোশাকধারীরা আমার ছেলেসহ তার বন্ধুদের তুলে নিয়ে চলে যায়।’
সুমনের দুই মেয়ে আট বছরের রাইয়া ইসলাম বাবার জন্য কাঁদে সব সময়। সাড়ে তিন বছরের অরোরা ইসলামের সেই বোধ এখনও হয়নি। তবু মাঝেমধ্যেই ছবি দেখে বাবা বলে ডেকে ওঠে। দেখে সহ্য হয় না মা নাসিমা বেগমের।
সুমনের বোন ফেরদৌসি বেগম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা কী-ই বা করতে পারি? বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিচ্ছি, পুলিশের কাছে যাচ্ছি, মানবাধিকার সংগঠনের কাছে যাচ্ছি, কেউ কোনো আশা দিচ্ছে না। আমার ভাইটিকে এভাবে সবার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাবে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাবে না, এটা কোন দেশে বাস করছি আমরা?’
সেদিন সুমনের সঙ্গে ছিলেন তার খালাতো ভাই জাহিদুল করিম ওরফে তানভীরও। তাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছাত্রদলের সমর্থক ছিল রাসেল
পশ্চিম নাখালপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন মাজহারুল ইসলাম রাসেল। এখনও সে বাসাতেই আছেন স্বজনরা। তিনি কখনও সরাসরি রাজনীতিতে জড়াননি। ২০১৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। পাশাপাশি পড়াশোনা করতেন আইন বিষয়ে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস করে অপেক্ষায় ছিলেন মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
পড়াশোনায় বরাবর ভালো রাসেলকে নিয়ে কতই না স্বপ্ন ছিল তার বাবা-মা, ভাইবোনের। কিন্তু রাসেলকে নিয়ে এখন কোনো স্বপ্ন নেই তাদের মনে, বরং দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় তাদের।
রাসেলের ছোট বোন লাবণী আক্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে আমার ভাই বের হয় সুমনের সঙ্গে। কিন্তু রাতেই শুনি কারা যেন বন্ধুদের সঙ্গে তাকেও ধরে নিয়ে গেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন সময় র্যাব অফিসে যোগাযোগ করছি। ১৪ মে র্যাব-১ এর অফিসে উত্তরায় গিয়েছি। র্যাব-১-এর অধিনায়ক কিসমৎ হায়াত জানিয়েছেন, তারা রাসেলকে আটক করেনি। ওই দিন বসুন্ধরায় র্যাবের নাকি কোনো অভিযান ছিল না। তাহলে কারা কালো পোশাক আর অস্ত্র নিয়ে অভিযান চালায়?’
রাসেলের নিখোঁজের বিষয়ে ৬ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বজনরা। কিন্তু পুলিশ গুরুত্বই দেয়নি সে ডায়েরি।
তেজগাঁও থানায় যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য এ বিষয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারলেন না।
কৃষক পরিবারের ছেলে রানা ছিলেন তার স্বজনদের আশা-ভরসা
২০১৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাসের পর বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান রানা। তার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের মাথুরা গ্রামে। বাবা-মা থাকেন বাড়িতে। কৃষিকাজ করে কোনো রকমে জীবন চালান তারা।
ঢাকার মুগদাপাড়ায় বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতেন রানা। বোন মিনারা বেগম বলেন, ‘রানা, মাসুম, আল-আমিন ও রাসেল চার বন্ধু ছিল। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। ঘটনার দিন চার বন্ধু একসঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। এর পর থেকে রানার কোনো খোঁজ নেই। এ ঘটনায় গত ৫ ডিসেম্বর মুগদা থানায় আমি একটি জিডি করি। এ ঘটনায় কয়েকবার মানববন্ধনও করা হয়েছে। কিন্তু আমার ভাইয়ের কোনো সন্ধান আজও পাইনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা থানার ওসি ওমর ফারুক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টি এ মুহূর্তে আমার মাথায় নেই, খোঁজখবর না নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন আল-আমিন
উত্তর বাড্ডার বেরাইদ এলাকায় থাকতেন তিনি। তিনিও মাস্টার্স করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপরও থেমে থাকেনি তার পড়ালেখা। মহাখালীতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন তিনি। স্বপ্ন ছিল আইন পেশায় জড়াবেন, দুর্বলের পক্ষে লড়বেন। কিন্তু নিজেই হারিয়ে গেছেন হঠাৎ। তার পক্ষে এখন লড়বে কে?
আল-আমিনের ছোট ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে ঘর থেকে সে বের হয়। এর পর থেকে তার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। ঘটনার পরদিন বাড্ডা থানায় একটি জিডি করি। পরের দিন ভাটারা থানায় মামলা করেন আমার বাবা আহমদউল্লাহ। কিন্তু আজ পর্যন্ত মামলাটির কোনো সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ।’
রুহুল আমিন জানান, এই ঘটনায় র্যাবের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন তারা। কিন্তু আল-আমিনকে আটকের কথা স্বীকার করেনি তারা।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো অগ্রগতি নেই।’
ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন ছিল মাসুমের
৩৩৭/বি নম্বর বাড়িতে থাকতেন আবদুল কাদের ভুঁইয়া মাসুম। তিনি মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্বপ্ন ছিল বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করবেন। প্রায়ই স্বজন আর বন্ধুদের বলতেন সে স্বপ্নের কথা। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির জন্য প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু করেছিলেন মাসুম।
উচ্ছল ছেলেটি গুম হবে তা বিশ্বাসই হয় না বড় ভাই রফিকুল আসান ভুঁইয়া আরজুর। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমরা তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মাসুম। কতই না আদরের ভাইটি ছিল আমাদের। সারাক্ষণ মজা করত। আড্ডা দিতে ভীষণ পছন্দ করত সে। সেদিনও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার কথা বলেই বের হয়। বলেছিল ফিরবে তাড়াতাড়িই। কিন্তু আমাদের অপেক্ষা আর শেষ হয় না। কোথায় গেলে পাব তাকে?’
মাসুমের নিখোঁজের ঘটনায়ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু তার ভাইয়ের করা এই অভিযোগ নিয়ে তেমন আগ্রহই দেখায়নি পুলিশ। এ নিয়ে হয়নি কোনো তদন্ত।
জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি সালাউদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ছয় মাস আগের ঘটনা, জিডির নম্বর না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
এই ছয়জনের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন শাহীনবাগের বাসিন্দা কাওসার আহমেদ এবং এ এম আদনান চৌধুরী নামে দুজন। তাদের নাম ছাড়া বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে আদনান চৌধুরীর বাবার ফোন নম্বর জোগাড় করা গেলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আটজনকে অপহরণ দৃষ্টির আড়ালে
আটজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসেনি তেমন। তবে এ বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। সম্প্রতি তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। সেটিও তেমন গুরুত্ব পায়নি গণমাধ্যমে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘গুম হওয়ার বিষয়টি কষ্টের। আর এই কষ্ট সবার। গুম হওয়া যদি বন্ধ না হয় তাহলে এই কষ্ট একসময় সব পরিবারকেই বহন করতে হবে।’ সুলতানা কামাল বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে স্মরণ করে দিতে চাই, কোনো দল ও গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করবেন না। কাজে অবহেলা করবেন না। কারণ এই সব কাজের জবাবদিহিতা আপনাদের একদিন দিতে হবে।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘এ ধরনের কাজ করে কোনো বাহিনী যদি পার পেয়ে যায় তাহলে এই কাজ বারবার করবে তারা।’
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হলে জনগণের কথা শুনতে হবে, অন্যথায় রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়বে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী কাউকে মারলে কোনো বিচার হয় না। তাই এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে।
অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার র্যাবের
আটজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বজনদের অভিযোগের তীর র্যাবের দিকেই। তবে তাদের দাবি, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। জানতে চাইলে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কিসমত হায়াৎ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর আমাদের দায়িত্ব ছিল কূটনৈতিক এলাকায়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসার সামনে একটি সমাবেশ ছিল সেদিন। সেখানে লোক জড়ো হয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি। এ কারণে আমাদের পেট্রল পার্টি বাড়াতে হয়েছে। আমাদের অনেক গাড়ি ওই দিন বের হয়েছে। তবে আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কিসমত হায়াৎ স্বীকার করেন যে, এ ঘটনায় অপহৃতদের স্বজনরা যোগাযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে। তবে তাদের কোনো সদুত্তর তারা দিতে পারেননি।
র্যাব এই আটজনকে তুলে না নিলে কারা নিয়েছে এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি র্যাবের এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে, আমরা এখন পর্যন্ত অপহৃতদের উদ্ধার করতে পারিনি। তবে ঘটনাটি আমরা খুবই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।’
(ঢাকাটাইমস/ ১৯ মে/ এএ/ জেডএ.)