logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আ.লীগ মাথা ঘামাচ্ছে না: হাছান মাহমুদ
২০ মে, ২০১৪ ২১:০৩:২৮
image

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তিনি।সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন সাম্প্রতিক রাজনীতিসহ বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে।এ সময় উঠে এসেছে খুন ও গুমসহ জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের প্রসঙ্গটিও।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাটাইমসের প্রতিনিধি তানিম আহমেদ।


ঢাকাটাইমস:বিএনপি ইতিমধ্যে লংমার্চমহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। আগামীতে সরকার পতনের আন্দোলন করবে। এটা আপনি কিভাবে দেখছেন


হাছান মাহমুদ: বিএনপির আন্দোলন করার ক্ষমতা আমরা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই দেখছি। আর এই আন্দোলনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তাদের এই হতাশা কাটিয়ে উঠার জন্য বিএনপি নেতারা আন্দোলনের কথা বলছে। আন্দোলন মাধ্যমে এই সরকারকে পতনের সামর্থ বিএনপির নাই।


ঢাকাটাইমস: বিএনপির এই আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলায় দলগতভাবে আপনাদের অবস্থান কি?


হাছান মাহমুদ: যে দল সমাবেশ ঢেকে সমাবেশ করতে পারেনা। যে দলের নেতারা পুলিশের ভয়ে কোর্টে যায় বোরকা পড়ে। তাদের নেত্রীর আহবানে দশজন নেতা-কর্মীও সাড়া দেয়না। সেই দলের আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলায় করা না করা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা নাই। আমরা এখন দলকে সুসংগঠিত করার চিন্তা করছি। দলকে সংগঠিত করে আগামীতে যেন আবার ক্ষমতায় আসতে পারি সেই চিন্তাই করছি আমরা।


ঢাকাটাইমস: নারায়ণগঞ্জ গুম এবং খুনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এটা কেন হচ্ছে? মোকাবেলায় আপনাদের দলগত অবস্থান কি?


হাছান মাহমুদ: গুম-খুন অব্যশই নিন্দনীয়। এর সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন সে যে দলের বা বর্ণের হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদের বিচার আমাদের দল যেমন চায়। তেমনি আমাদের সরকারও চায়। একটা অভিযোগ উঠেছিল। আর যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের প্রত্যাহার করেছি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ছাড়াই। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুম-খুন যেমন নিন্দনীয় তেমনি আন্দোলনের নামে চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা, পিতার সামনে সন্তানকে হত্যা করা চরম অপরাধ। গুম-খুনের মত এই অপরাধেরও বিচার করা হবে।


ঢাকাটাইমস: বিএনপি গুম-খুন নিয়ে আতংকিত দাবী করে বিএনপি নেত্রী দেশব্যাপী সাংগঠনিক রেড় অ্যালার্ট জারি করেছে এটা আপনি কিভাবে দেখছেন?


হাছান মাহমুদ: বিএনপির লালবাতি অনেক আগেই জ্বলে গেছে, আর রেড অ্যালার্ট আর গ্রিন অ্যালার্ট জারি করে দল ও জোটকে রক্ষা করতে পারবেন না। রেড অ্যালার্ট দিয়ে বিএনপি নেত্রী কি বুঝাতে চেয়েছেন তিনিই ভালো জানেন।


ঢাকাটাইমস: যুদ্ধাপরাধের বিচারের একটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে? এটা কেন হচ্ছে?


হাছান মাহমুদ: যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোন ধীরগতি নেই, বিচার বিচারের নিয়মে হচ্ছে। কয়েকটি মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।


ঢাকাটাইমস: সমালোচকরা বলছে জামায়াতের সাথে সরকারের একটা গোপন সমঝোতা হচ্ছে। এই কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ধীরগতি হচ্ছে।


হাছান মাহমুদ: জামায়াতের সাথে আমাদের সমঝোতার কোন প্রশ্নই আসেনা। যারা এমন কথা বলছে তারা চায়না যুদ্ধারাধীদের বিচার হোক। তাই তারা দেশে একটি ধ্রুর্মজাল সৃষ্টি করতে এ ধরণের কথা বলছে।


প্রশ্ন: জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে? এটা কেন হচ্ছে?


হাছান মাহমুদ: এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জামায়াতের নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে এটা আমি মিডিয়ায় দেখছি। বিষয়টি আমরা দেখছি। যদি তেমন হয় এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ঢাকাটাইমস: জামায়াত নেতা সাঈদীর আপিল রায়ের অপেক্ষায় আছে। সাঈদীর রায় যদি জামায়াতের বিরুদ্ধে যায় তাহলে দেশব্যাপী সহিংসতা হতে পারে. এটা মোকাবেলায় আপনাদের দলীয় অবস্থান কি?


হাছান মাহমুদ: জামায়াত সহিংসতার চেষ্টা চালাতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক। তাদের সকল কেরামতি (সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়া) শেষ হয়ে গেছে। আমরা আগে থেকেই তাদের এই কর্মকান্ড মোকাবেলায় সজাগ আছি। সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।


(ঢাকাটাইমস/ ২০মে /টিএ/ এআর/ ঘ.)