logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
গুম হত্যা বন্ধ না হলে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকবে না: ফখরুল
২৩ মে, ২০১৪ ১৬:৫৬:০৮
image

ঢাকা: সারাদেশে চলমান হত্যা, গুম ও অপহরণের সাথে র‌্যাব ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে দাবি করেছে বিএনপি। সেই সাথে সরকারের পক্ষ থেকে এই হত্যার দায়ভার বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানিয়েছে দলটি।


এরই প্রেক্ষিতে অপহরণ, গুম ও হত্যা, পরবর্তী নতুন কর্মসূচি, র‌্যাব বিলুপ্তি, ভারতের লোকসভা নির্বাচন, রামপাল অভিমুখে লংমার্চসহ নানা বিষয় নিয়ে ঢাকাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে একান্তে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কিরণ সেখ। 


ঢাকাটাইমস: চলমান হত্যা, গুম ও অপহরণের বিরুদ্ধে আপনার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া কি?


ফখরুল: অপহরণ, গুম ও হত্যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি ও মানবতাবিরোধী একটি অপরাধ। সুতরাং অপহরণ ও হত্যা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা  এবং সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব থাকবে না।


ঢাকাটাইমস: বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি থেকে নতুন কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আছে কি?


ফখরুল: আমরা এর জন্য কাজ করছি এবং সুধীজনদের সঙ্গে কথা বলছি। নারায়াণগঞ্জে ৭ খুনের প্রতিবাদে আমরা সেখানে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্ত বর্তমান স্বৈরাচার সরকার তা করতে দেয়নি। পরবর্তীতে যাত্রবাড়ী ও ডেমরায় সমাবেশ করতে চাইলে সরকারের বাঁধার মুখে তাও আমরা করতে পারিনি। তবে অপহরণ ও হত্যা বন্ধে বিএনপি নিজেদের মধ্যই কাজ করছে।


ঢাকাটাইমস: বিএনপি চেয়ারপার্সন র‌্যাব বিলুপ্তির কথা বলেছেন। কিন্তু র‌্যাবকে বিএনপিই সৃষ্টি করেছিলো। সেক্ষেত্রে পুনর্গঠনের কথা না বলে বিলুপ্তি কেন?


ফখরুল: আমরা র‌্যাবকে সৃষ্টি করেছিলাম জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের জন্য এবং বিএনপির শাসনামলে র‌্যাব সেই ভূমিকাই পালন করেছে। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার র‌্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ও দলীয় কাজে ব্যবহার করছে। নারায়াণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনায় সেটাই প্রতীয়মান হয়। ফলে র‌্যাবকে পুনর্গঠন না করে বিলুপ্তি করাই দেশ ও জনগণের জন্য ভালো।


ঢাকাটাইমস: র‌্যাব বিলুপ্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে আপনারা কি আদালতে যাবেন?


ফখরুল: আদালতের কথা আমরা চিন্তা করিনি এবং আদালতে আমরা যেতেও চাই না। কারণ রাজনৈতিকভাবে যে জিনিস সৃষ্টি হয়েছে তা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করা উচিত। যে কারণে আদালতে রিট করার চিন্তা আমরা করিনি।


ঢাকাটাইমস: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হওয়ার পর বিএনপির ভেতর এক ধরনের উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে এবং নেতাকর্মীরা উল্লাসও প্রকাশ করেছেন এর কারণ কি?


ফখরুল: এটা সঠিক নয়, সম্পূর্ণ ভুল। কারণ আমরা উচ্ছাস বা উল্লাস প্রকাশ করিনি। প্রতিবেশি দেশে জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেক্ষেত্রে আমরা খুশি হতেই পারি। কিন্তু এর মানে এই নয় উচ্ছাস কিংবা উল্লাস দেখিয়েছি।


ঢাকাটাইমস: ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আপনি কি মনে করেন সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্কের পরিবর্তন হবে?


ফখরুল: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত ৫ জানুয়ারি একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সে কারণে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিরোধপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেনি। কিন্তু আমরা আশা করি বর্তমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ভারতের সরকার বাংলাদেশের সাথে সব সমস্যার সমাধান করবে।


ঢাকাটাইমস: বিএনপির পক্ষ থেকে সামনে কি ধরণের কর্মসূচি আসবে?


ফখরুল: এই বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা  হচ্ছে। তবে এখন বলা যাবে না কি ধরনের কর্মসূচি আসবে। সময় হলেই আপনারা জানতে পারবেন।


ঢাকাটাইমস: তিস্তা অভিমুখে লংমার্চের মতো রামপাল অভিমুখেও লংমার্চের কথা শোনা যাচ্ছে। সেটা কবে হতে পারে?


ফখরুল: তিস্তা অভিমুখের লংমার্চের মতো রামপাল অভিমুখেও আমরা লংমার্চ করতে চাচ্ছি এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সময়মতো সেই কর্মসূচির কথা বলা হবে।


ঢাকাটাইমস: সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


ফখরুল: আপনাকেও ধন্যবাদ।


(ঢাকাটাইমস/২৩মে/কেএস/ এএসএ)