logo ৩০ এপ্রিল ২০২৫
হুমকির মুখে প্রত্যাহার করা হচ্ছে নির্বাচনী মামলা!
বিলকিছ ইরানী, ঢাকাটাইমস
২৫ আগস্ট, ২০১৪ ১২:০৬:৫৭
image


ঢাকা: ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র দখলসহ সারা দেশে বিশৃঙ্খলা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বেশ কজন প্রার্থী মামলা করলেও এখন তা চালিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলাগুলো তুলে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনে বিজয়ী প্রার্থী জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধার বিরুদ্ধে করা মামলাটি গত মাসে তুলে নিতে বাধ্য হন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়ার কবির। চাপ সৃষ্টি করে, ভয় দেখিয়ে, ক্ষমতার জোরে মামলাটি তুলে নিতে বাধ্য করেছে বলে নায়ার কবির ঢাকাটাইমসকে জানান। নায়ার কবির মামলায় নির্বাচন বাতিলের দাবি করেছিলেন।

ঢাকাটাইমসকে নায়ার কবির বলেন, ‘তারা (বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা) জোর করে ৩০-৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্র দখল করেছে। তাই আমি মামলা করেছি। ক্ষমতা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গত জুলাই মাসে মামলাও তুলে নিতে বাধ্য করল।’

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা ঢাকাটাইমসকে বলেন,‘আমি জাতীয় পার্টির লোক। ক্ষমতায় নেই আমরা। আর আওয়ামী লীগ করেন নায়ার কবির। আমার পক্ষে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা আদৌ সম্ভব কি না, তা আপনারাই বিবেচনা করেন।’

কেবল দশম সংসদ নির্বাচন নয়, স্বাধীনতার পর থেকে সব কটি নির্বাচনের পর কারচুপির অভিযোগে করা মামলাগুলোর মধ্যে সংসদের মেয়াদ থাকাকালে সুরাহা হয়েছে হাতেগোনা দু-একটির। এ জন্য নির্বাচনে কারচুপির প্রবণতা ঠেকানো যায় না বলে মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা।

নবম সংসদ নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের করা ১০টি মামলার মধ্যে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নিষ্পত্তি হয়েছে কেবল ৩টির। বাকি ৭টি মামলা নিয়েই শেষ হয়েছে সংসদের মেয়াদ। ৪ জন আবার হয়েছেন পুনঃনির্বাচিত।

এসব নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে করা মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকে না। মামলায় কমিশনকে বিবাদী করা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়, কোনোটাতে নেয় না।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলার বিষয়টি আদালতের ব্যাপার। সাক্ষ্য -প্রমাণ নিয়ে আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই মানতে হবে। আর যদি কেউ মামলাকারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকে তো তারা এ বিষয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হবে। আদালতে জানাবে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের কিছু করার নেই।

ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে কমিশনারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলাকারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। যদিও এটি আদালতের ব্যাপার তারপরও নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। আমাদের কিছু করার নেই বলে বসে থাকলে চলবে না। কমিশন যদি এ ব্যাপারে তৎপর হয়, তাহলে বিচারকরা নড়েচড়ে বসবেন। ভারতসহ অন্যান্য দেশেও তো কমিশন তা করে। নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে মামলা সময় মতো শেষ না হওয়া একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানো যাবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকÑসুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে মামলা করে সংসদে বসেছেন দুইজন। একজন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং অপরজন মাহমুদুল হাসান। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতা ও তখন ন্যাপ (মোজাফফর) নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি করেন। দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটতে লেগে যায় প্রায় চার দশক। নবম সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান হারার পর মামলা করে তিনি ওই সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। গত মেয়াদে আরও একটি মামলার ফয়সালা হয়। ভোলা-৩ আসনের ফলাফলের বিরুদ্ধে মামলা করে জিতেন বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি সংসদে বসতে পারেননি। আবার নির্বাচন হওয়ার পর হেরে যান তিনি।



মামলা করেও তুলে নিতে বাধ্য হলেন যাঁরা

বগুড়া-৫ আসনের জাতীয় পার্টির নেতা তাজ মোহাম্মদ শেখ মামলা করেও কারো কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি। তাই হতাশ হয়েই আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই তুলে নিলেন মামলা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগের হাবিবর রহমানের নির্বাচিত হওয়া বাতিল চেয়ে পুনঃভোট দেওয়ার দাবিতে মামলা করেছিলেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া তাজ মোহাম্মদ শেখ।

ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘মামলা করে এমপি হওয়া যাবে না। দেখা যাবে মামলায় রায় হলেও বিবাদী আবার আপিল করবে। তাছাড়া যেখানেই যাই কেউই সহযোগিতা করতে চায় না। উল্টো ধমক দিয়ে বলে আপনি মামলা কেন করলেন।’

দশম সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে করা ১৫ মামলার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে তালিকাভুক্ত আছে ১৪টি। খারিজ হয়েছে ৮টি। আর খারিজ হওয়া মামলার তথ্য রয়েছে মাত্র ৪টি। বাকিগুলোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে কোনো তথ্যও নেই।

যেসব মামলা ঝুলে আছে

এদিকে এখনো নিষ্পত্তি হয়নি আলোচিত পাবনা-১ (সাঁথিয়া- বেড়া) আসন থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে করা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ-এর মামলা।

দশম সংসদ নির্বাচনে এ দুই প্রার্থী লড়াই করেন। আওয়ামী লীগ থেকে শামসুল হক টুকু মনোনয়ন পান আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান আবু সাইয়িদ।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারা, আবু সাইয়িদ-সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ মামলাটি করেন আবু সাইয়িদ। আইন অনুযায়ী মামলার কার্যদিবসের ১৮০ দিনের মধ্যে এর নিষ্পত্তি করতে হয়। এর মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে অনেক বছরের জন্যও মামলা ঝুলে থাকতে পারে। কিন্তু ১০০ কার্যদিবস পার হলেও এখনো ঝুলে আছে মামলাটি। তবে আবু সাইয়িদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রতি সপ্তায় ডেট পড়ছে। এখন আদেশের অপেক্ষায় আছি। আশা করি খুব শিগগির এর একটি ফল পাব।

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী সিরাজুল আকবরের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া। নির্বাচন বাতিল করে এই আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেছেন তিনি।

জানতে চাইলে কুতুবুল্লাহ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ আসনের মোট কেন্দ্র ৮৫টি। বিজয়ী সিরাজুল আকবর ২১ কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করেছেন। মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণের অপেক্ষায় আছে। তবে খারিজ করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।

সাতক্ষীরা-১ আসনে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়ী প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লার নির্বাচন বাতিল ও নিজেকে সংসদ সদস্য ঘোষণার দাবি করে মামলা করেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মুজিবুর রহমান। এ মামলাটির কি অবস্থা তার কোনো তথ্য নেই নির্বাচন কমিশনের কাছে।

নরসিংদী-২ আসনে নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আশরাফ খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাসদের পরাজিত প্রার্থী জায়েদুল কবির।

মামলাটি এখন কি অবস্থায় আছে জানতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে জায়েদুল কবির বলেন, ‘এখনো কোন সুরাহা হয়নি।’

নাটোর-১ আসনে জিতেছেন আবুল কালাম। নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে মামলা করেছেন পরাজিত প্রার্থী আবু তালহা। এই মামলাটিও এগুচ্ছে না।

আবু তালহা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘ক্ষমতা এখন সরকারের হাতে। সবকিছুই তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আদালত তাদের ইচ্ছামতোই কাজ করছে। হয়ত আমার করা মামলাটির কোনো সুরাহা হবে না। একসময় দেখা যাবে সময় পার করে দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেবে।’

গাইবান্ধা-৪ আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। এই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন তিনি। এই মামলাটির কি অবস্থা তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

খারিজ হওয়া মামলা

ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৩ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর নির্বাচন বাতিল করার আবেদন জানিয়ে মামলা করেন পরাজিত জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ফরিদ আহমেদ।

তবে উবায়দুল মোক্তাদির মামলাটিকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন। মামলায় তাকে লাভজনক পদে থাকার বিষয়ে অভিযুক্ত করলেও মূলত তিনি লাভজনক পদে নেই বলে জানান। এ জন্য আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী জাকির হোসেন মামলা করেন বিজয়ী জাতীয় পার্টির (জেপি) রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ মামলাটি গত জানুয়ারিতেই খারিজ হয়ে গেছে বলে জানান রুহুল আমিন।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ আসনের দুটি কেন্দ্রে ১৬ জানুয়ারি আবার ভোট নেয় নির্বাচন কমিশন। এই পুনঃভোটের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন জাকির হোসেন। তার আবেদনের পর সিদ্ধান্ত চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে নির্বাচন কমিশন আপিল করলে স্থগিতাদেশের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগ। পরে হয় পুনঃভোট।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক। তার নির্বাচিত হওয়াকে অবৈধ দাবি করে মামলা করেন খন্দকার হেবজুর রহমান নামে একজন। জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত ১৭ মে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালাম। ঋণ খেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আর ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। এই ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন আবদুস সালাম। গত ২৪ এপ্রিল মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাদ উদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচন বাতিলে পুনঃনির্বাচন চেয়ে মামলা করেন আজাদ চৌধুরী। আজাদ চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করবেন না বলে আবেদন করলে আদালত গত ১৬ জুলাই তা খারিজ করে দেন।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। এই আসনে জিতেছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী এম এ আউয়াল। মামলাকারী শফিকুল ইসলাম মামলাটি চালাবেন না বলে আবেদন করলে আদালত গত ১০ জুলাই তা খারিজ করে দেন।

তথ্য জানে না নির্বাচন কমিশন

সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে ৫০টিরও বেশি উপজেলায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেননি নির্বাচনী কর্মকর্তারা।

এত অনিয়মের অভিযোগ থাকলে নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু এলাকায় মামলা হওয়া স্বাভাবিক বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তবে কোথায় কোথায় মামলা হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই কমিশনে।

(ঢাকাটাইমস/ ২৫ আগস্ট /ইরা/এআর/ ঘ.)