logo ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সেই লুটপাটের কাহিনী মানুষ ভুলবে না: মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
৩০ আগস্ট, ২০১৪ ১৯:৪৩:৫৬
image


দুর্নীতি দমন কমিশনÑদুদকের কমিশনার তিনি। সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকাটাটইমসের সঙ্গে। কথা বলেছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ।



 





ঢাকাটাইমস: সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্তের জন্য সরকারের পূর্বানুমতির বিষয়টি কি দুদকের জন্য বাধা ছিল?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: এ ধরনের বাধা সৃষ্টির জন্য একটা প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। এটা বাধা হতো। যেটা এই মুহূর্তে নেই।



 





ঢাকাটাইমস: এই বাধা দূর হলো কীভাবে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। আদালত বাদী এবং রাষ্ট্র দুই পক্ষের শুনানি শেষে বলে দিয়েছেন এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন থাকতে পারে না। তাই এটি বাতিল হয়ে যায়।



 





ঢাকাটাইমস: সাংবিধানিকভাবে কোথায় বাধা ছিল?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, দেশের সব নাগরিক সমান সুযোগ ও সমঅধিকার পাবে। এক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধা কাউকে দেওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া সংবিধানের ২৬-এর ১ এবং ২ ধারায় বলা আছে, আইনের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সমান। দুদক আইনের বিষয়টি পুরোপুরি সাংঘর্ষিক এবং চ্যালেঞ্জ ছিল।



 





ঢাকাটাইমস: তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে দুদক চাইলেই অনুসন্ধান করতে পারবে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো অনুমতির দরকার হচ্ছে না। দু-একটা মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হচ্ছে।



 





ঢাকাটাইমস: দুদক অভিযোগ পেলে তদন্তে নামে।কিন্তু কারো ব্যাপারে দুদক নিজে থেকে তদন্ত করে না কেন?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: শুধু অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করি তা নয়। স্বপ্রণোদিত হয়েও আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুসন্ধানের আইনগত ক্ষমতা দুদকের আছে।  



 





ঢাকাটাইমস: কীসের ভিত্তিতে দুদক এসব তদন্তে নামে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যের ওপর নির্ভর করে যাচাই-বাছাই করি। যেটা আমরা মনে করি গুরুত্বপূর্ণ, যথোপযুক্ত এবং জনস্বার্থ জড়িতÑএমন বিষয়গুলোর ব্যাপারে নিজে থেকেই অনুসন্ধান করি।



 





ঢাকাটাইমস: এর জন্য পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ কোথা থেকে পাওয়া যায়?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: বিভিন্ন উৎস রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকেও কিছু তথ্য পাই। এর ওপর নির্ভর করেও আমরা অনুসন্ধান করি।



 





ঢাকাটাইমস: সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুযায়ী দুদক ব্যবস্থা নিয়েছেÑএমন উদাহরণ তো খুব একটা চোখে পড়ে না।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: এটা ঠিক নয়। কারণ অনেক আগে থেকেই এবং দুদক কমিশন হওয়ার পরও ৪৬ ভাগ মামলায় সাজা হয়েছে। দিন দিন এটা বাড়ছে। কমিশন যথার্থ অর্থেই মনে করে তাদের উদ্যোগ সফল হচ্ছে। 



 



 

ঢাকাটাইমস: কী ধরনের মামলা বেশি হয়?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সাধারণত আত্মসাৎ বা অনিয়মের মামলা থাকে। এসব বিষয়ের অভিযোগের তদন্ত শেষে অনেকেরই সাজা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুদক সফল।



 





ঢাকাটাইমস: অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগকারী যথার্থ প্রমাণ তুলে ধরতে না পারলে দুদক সে ব্যাপারে তদন্ত করে না। এক্ষেত্রে দুদকের কি কিছুই করার থাকে না?



সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: দুদক কী করতে পারবে? কোনো বিষয়ে অন্ধকারে থেকে তো দুদক অনুসন্ধান করতে পারবে না। অভিযোগটা সুনির্দিষ্টভাবে পাওয়া গেলে তবেই তো তদন্ত হবে।



 





ঢাকাটাইমস: যেকোনো তদন্তেই দুদক সময় বেশি নেয়। এটা কেন?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: তদন্তে সময় বেশি নেওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে। সাধারণত দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় কিছু সময় লাগে। পুলিশের মামলায় ৬ মাস, এক বছর বা দুই বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন হয় না। আমাদের তো এ রকম সময় লাগে না।



 





ঢাকাটাইমস: যৌক্তিক কারণ না থাকলে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু:যৌক্তিক কারণ না থাকলে আমরা তো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেই। সেই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্যের নথিতে এটা নোট করা হয়।



 





ঢাকাটাইমস: সময় দীর্ঘ হওয়ায় তদন্তের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: সন্দেহ মানুষের সব সময়ই থাকবে। দুদক সন্দেহ দূর করতে পারবে না।



 





ঢাকাটাইমস: এর সমাধান কোথায়?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: মানুষকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। দূরে বসে থাকলে কিছু বুঝতে পারবে না। ভেতরে থাকলে বুঝতে পারবে বাস্তবেই বাধাটা কোথায়। ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে।



 



ঢাকাটাইমস: তাহলে দুদকের ব্যাপারে সন্দেহ পুরোপুরি অমূলক?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: অনেক কথার সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু যখন দায়িত্বশীল চেয়ারে বসানো হবে তখন অনেকেই কিছুই করতে পারবেন না। কারণ তখন তাকে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। কমিশনে কাজ করতে গেলে তো বাস্তবতা দেখতে হবে।



 





ঢাকাটাইমস: মানুষের চাওয়াটা কি দুদক পূরণ করতে পারছে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: মানুষের মতামত অন্যরকম হতে পারে। তারা অন্যরকম কিছু চাইতে পারেন। কিন্তু সেই চাওয়া যদি হয় অযৌক্তিক তবে কি সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব?

 



 



ঢাকাটাইমস: কোনো বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি কতটুকু নির্ভরযোগ্য?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: কমিশন তো একজনের জন্য নয়। তিনজনের কমিশন। তিনজনের সুবিবেচনায় যেটা ঠিক সেটাই আমরা করি। একজন হলে ভালোমন্দ নির্ণয় করার ক্ষমতা তার কম থাকতে পারত। সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। যখন তিনজন মিলে একটা বিষয়ে সম্মতি দেয়, তখন সেটি গ্রহণযোগ্য হয়।



 



ঢাকাটাইমস: দুদকের সমালোচনা কীভাবে দেখেন?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: সমালোচনা থাকতে পারে। সেটা অনেক সময় আমাদের ত্রুটিমুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। আবার অনেক সময় অযথা সমালোচনা হয়। অযথা সমালোচনাটাই বেশি হয় বলে আমি মনে করি।

 



 



ঢাকাটাইমস: দুদকে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়। এটা আসলে কতটুকু ঠিক?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: দুদকের এ যাবতকালের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতাসীন দলের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, নেতা ও সংসদ সদস্যকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি। এটা অনেক বড় কাজ। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব যে কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে, তারা এটা সুচারুরূপে পালনের চেষ্টা করছেন।



 



ঢাকাটাইমস: সরকারের কোনো চাপ কি আছে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: ক্ষমতাসীন দল থেকে তো প্রতিবন্ধকতা থাকতেই পারে। এটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু দুদক যে একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান এবং যে কাউকে চাইলেই ডাকতে পারে এই অধিকার তো প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দুদকের সবচেয়ে বড় সফলতা অভিযুক্তদের জবাবদিহিতার আওতায় এনেছে।

ঢাকাটাইমস: ক্ষমতাসীন দল এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা দুদককে করেছে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব বিষয়টিকে সমর্থন করেছে। এজন্য আমরা অত্যন্ত নির্ভয়ে, প্রভাবমুক্ত এবং চাপমুক্তভাবে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।



 



ঢাকাটাইমস: চারদলীয় জোট সরকারের সময় দুদক শক্তিশালী ছিল নাকি এখন বেশি শক্তিশালী?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই দেশে লুটপাটের একটা রাজত্ব হয়েছে। সেই লুটপাটের কাহিনি বাংলাদেশের মানুষ এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে না। ওই সময় তো দুদক ছিল। সেখানে তো দুদকের কোনো ভূমিকা ছিল না। নির্জীব বসেছিল। কিন্তু তাদের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিল সারা বিশ্বে। সেই পর্যায় থেকে তো আমরা উঠে এসেছি।



 



ঢাকাটাইমস:কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: বর্তমান সরকার চায় দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি ও দেশ গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুদকের একার পক্ষে এসব কাজ করা সম্ভব নয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।



 



ঢাকাটাইমস: সাতজন সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে তদন্তের অগ্রগতি কতটুকু?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কারো বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে আবার কেউ অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। অন্যদেরটি পর্যালোচনার মধ্যে আছে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাতে আসেনি। হয়ত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বাকি প্রতিবেদনগুলো পেয়ে যাব।



 



ঢাকাটাইমস: এই সাতজনের মতো অনেকের ব্যাপারেই তো অভিযোগ আছে। দুদক কি বাকিদের ব্যাপারে কোনো তদন্ত করবে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: হ্যাঁ, অনেকের ব্যাপারেই অভিযোগ আছে। তাহলে তো সারা দেশে প্রতিটি জেলায় একটি করে দুদক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা তো সম্ভব নয়। যেটুকু সম্ভব পরীক্ষামূলকভাবে আমরা তা দেখছি।

ঢাকাটাইমস: বাকিদের বিষয়গুলো কি পরবর্তী সময়ে দেখবেন?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, উই আর পিক অ্যান্ড চয়েস। উই আর চুজি। জনগণের মতামতের ওপর নির্ভর করে বিষয়গুলোকে বিবেচনা করব। জনগণ কাকে কত বড় দুর্নীতিবাজ মনে করে। তাদের দু-একজনকে ধরা হচ্ছে। আরো দু-একজন ধরলেই অন্যরা সজাগ হয়ে যাবে।

 



 



ঢাকাটাইমস: দুদকের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা অনেক সময় বলা হয়...

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: আর ক্ষমতা আমাদের দরকার নেই। আমাদের আইনে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

 



 



ঢাকাটাইমস: দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান দুদককে নখদন্তহীন বাঘ বলেছেন। এটা কেন?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: উনার বলার পেছনে কোনো ভিত্তি নেই। তিনি তার খেয়াল খুশিমতো একটা কথা বলেছেন সেটা এদেশের মানুষ বারবার সমালোচনা-পর্যালোচনা করছে। কিন্তু এর সঙ্গে আমরা একমত নই।

 



 



ঢাকাটাইমস: তাহলে দুদক শক্তিশালী বাঘ?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু:: দুদক যদি বাঘ হয়ে থাকত তবে নিরীহদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ত। কারণ বাঘের কাজ তো নিরীহদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া। আমরা বাঘও না, শিয়ালও না। বাস্তবতার ভিত্তিতে যে কাজ করার তাই করি।

 



 



ঢাকাটাইমস: দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তো অনেক অভিযোগ আছে।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: অভিযোগ থাকবে না কেন? থাকবেই তো, সব তো ফেরেশতা এখানে নেই।

 



 



ঢাকাটাইমস: তাদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এজন্য অনেকে চাকরিও হারিয়েছেন।

 



 



ঢাকাটাইমস: বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা শোনা যায়। কিন্তু দুদক কি এদের ব্যাপারে কোনো তদন্ত করছে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: আমাদের কাছে অভিযোগ এলে অবশ্যই সেটা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। এর আগে এমএলএম কোম্পানি, হিড বাংলাদেশ, প্রশিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে।

 



 



ঢাকাটাইমস: পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়টি কী পর্যায়ে আছে?    

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: বিষয়টি নিয়ে এখন বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। পর্যালোচনা চলছে। পরবর্তী সপ্তাহেই হয়ত ফলাফল দিতে পারব।

 



 



ঢাকাটাইমস:সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা নিয়ে কদিন আগে বেশ আলোচনা হয়েছে। দুদক কি এ ব্যাপারে কোনো অনুসন্ধান করবে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: দুদকের সেই ক্ষমতা বা অনুমোদন নেই। দুই দেশের সরকার পর্যায়ে আইন বা সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এ কাজগুলো করতে হবে। তারা শুরু করলে তখন আমরা দেখব তাতে কিছু করার আছে কি না।

 



 



ঢাকাটাইমস:হলমার্ক-সোনালী ব্যাংকের দুর্নীতির তদন্ত কী পর্যায়ে আছে?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: ওই মামলার সব অভিযোগপত্র আমরা আদালতে জমা দিয়েছি। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে। অনেক আসামি হাজতে আছে।

 



 



ঢাকাটাইমস:ডেসটিনির দুর্নীতি মামলা?

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু: এটিরও অভিযোগপত্র আদালতে দেওয়া হয়েছে। বিচার চলছে। আসামিরা হাজতে আছে।



 



(ঢাকাটাইমস/ ৩০ আগস্ট/ এইচএফ/ এআর/ ঘ.)