স্মার্টফোনের একাল সেকাল
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:২২:৫৮

ঢাকা: ১৯৯৪ সালের ১৬ আগস্ট। প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) করপোরেশনের তৈরি ‘সিমন’ নামের ফোনের মাধ্যমে শুরু হয় স্মার্টফোনের যাত্রা। এরিকসন আর–৩৮০সব শেষে বর্তমানে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীরা অপেক্ষায় আছেন অ্যাপলের আইফোন ৬-এর।
২০ বছর আগের সিমন স্মার্টফোনটি বর্তমানে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে প্রদর্শন করে রাখা হয়েছে। টাচস্ক্রিনের সুবিধাসহ এ স্মার্টফোনটিতে সে সময়ে ছিল অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা। এ ছাড়া আঁকাআঁকি, ক্যালেন্ডার হালনাগাদ, নোট লেখা, ফ্যাক্স আদান-প্রদানের কাজগুলোও করা যেত। সিমনের ওজন ছিল ৫১০ গ্রাম। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৮ ইঞ্চি, প্রস্থ ২.৫ ইঞ্চি আর এর পুরুত্ব ছিল ১.৫ ইঞ্চি। এই ফোনের মেমোরি ছিল ১ মেগাবাইট আর তথ্য ধারনের ক্ষমতাও ছিল ১ মেগাবাইট।
আইফোন এসে যেন স্মার্টফোনের সংজ্ঞাটাই বদলে দিলমোবাইল ফোন এবং পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টসের (পিডিএ) সমন্বয়ে তৈরি সে সময়ের স্মার্টফোনটির জায়গা দখল করে ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় এরিকসন আর ৩৮০ মডেলের স্মার্টফোনের যাত্রা। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ফাইভসিমবিয়ান মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে (ওএস) চলা স্মার্টফোনটির পরে ২০০২ সালে প্লাম ওএস চালিত ট্রায়ো এবং ব্ল্যাকবেরি কোয়ার্ক সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে আসে। আগের স্মার্টফোনের তুলনায় এবারের ফোনগুলোতে বাড়তি যোগ হয় এমপিথ্রি প্লেয়ার সুবিধা, ক্যামেরা এবং তারহীন প্রযুক্তি।
২০০৭ সাল অ্যাপলের আইফোন বাজারে আসার পর থেকে দারুণভাবে ছড়িয়ে পড়ে স্মার্টফোন। আর প্রথম বছরেই আইফোন বিক্রি হয় ৬০ লাখ। পরবর্তী সময়ে এইচটিসি, স্যামসাং, এলজি এবং সনি স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। যুক্ত হয় অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ ওএসচালিত স্মার্টফোন। সারা বিশ্বের স্মার্টফোন বাজারের ৮৫ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনের দখলে। বর্তমানে যেভাবে স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ছে, তা আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে গ্লোবাল মোবাইল বাজারের ৮৮ শতাংশ দখল করবে।
(ঢাকাটাইমস/ ২২ সেপ্টেম্বর/ এইচএফ/ঘ.)