ঢাকা: আট বিভাগীয় কমিশনারসহ ৩০ জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পরির্বতন আসছে। খুব শিগগিরই এ পরিবর্তন আনা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মহাজোট সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার প্রায় নয় মাস পর জেলা প্রশাসক পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এসব পদে রদবদল করা হবে। এ সংক্রান্ত যাছাই-বাছাই পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
সূত্র জানায়, মাঠ প্রশাসনকে আরও গতিশীল এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ‘‘সরকারের প্রতি বেশি আনুগত্যশীল’’ কর্মকর্তাদের ঐ ৩০ জেলায় পদায়ন করা হবে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে মোকাবেলা করতে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই জেলা প্রশাসক পদে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
যেসব জেলায় জেলা প্রশাসক পরিবর্তন হচ্ছে সেগেুলো হচ্ছে- রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, ফেনী, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, খুলনা, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফিরোজপুর।
এসব জেলা প্রশাসকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকার দলীয় সাংসদদেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এসব অভিযোগ তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন। এরপরই সরকার তাদের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২৯ মার্চ এসব জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে বাছাই পরীক্ষা নেয়া হয়। এ পরীক্ষায় ২৪২ জন কর্মকর্তা অংশ নেয়। পরীক্ষার পর বাছাইকৃত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ৬৪ জনকে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরমধ্যে ৮ টি জেলায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রশাসনে রদবদল করার জন্য ‘‘জেলা প্রশাসক বাছাই পরীক্ষা’’ নেয়া হয় না। বরং কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার জন্য এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। মাঠ প্রশাসনে ‘‘গতিশীলতা’’ ধরে রাখতে এটি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র সহকারী সচিব ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১১ থেকে ১৫তম বিসিএস ব্যাচের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বাছাই করা হয়েছে। ১৯৯১ থেকে ৯৬ সালে এসব ক্যাডারে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/এইচআর/এমএম)