‘ধর্মের কল অবশেষে বাতাসে নড়লো? তবে কি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে নিলেন জালিয়াত সচিবরা?’ দুই সচিবের স্বেচ্ছাঅবসরের পর বলছিলেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পাশে বসে থাকা আরেকজন বললেন, ‘আসলে স্যার কেউ কি চায় স্বেচ্ছায় সরে যেতে। এতে তো দোষ স্বীকার হয়ে যায়। কে চায় বলুন নিজে নিজে অপমান হতে?’
গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে মুখে মুখে ছিল স্বাস্থ্যসচিব নিয়াজ উদ্দিন মিঞা ও সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেনের স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার খবর। সময় পেলেই এ নিয়ে খোসগল্পে মেতেছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারী পর্যন্ত। মু্ক্তিযুদ্ধের সনদ জালিয়াতির দায়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুল কাসেমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ৯ নভেম্বর আদেশ জারি হলেও বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার চাকরির মেয়াদ ছিল। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখা বিদেশিদের দেওয়া সম্মাননা ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনার পর তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি প্রমাণের পর থেকে নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীর, একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালকুদারের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। মুখ খুলে কেউ কিছু বলতেও পারছিলেন না। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেও ভয় পেতেন অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও। অনেকে হয়ত ধরেই নিয়েছিলেন, এ যাত্রায় পার পেতে বসেছেন সচিবরা। কারণ, বিতর্কিত এই সচিবরা যে এবারই শুধু জালিয়াতি করেছেন তা নয়, এর আগেও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত থাকতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির জাল বুনেছেন। এগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও আছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মতো অন্যগুলো এতটা সামনে আসেনি। তদন্তও হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককেও দেখা যায়নি সনদ জালিয়াতির মতো অন্য ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে।
আদতে কাগজে-কলমে সচিবরা স্বেচ্ছায় অবসরে যাচ্ছেন, এমনটা দেখা গেলেও এর পেছনেও অনেক কিছু ঘটেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়াজ উদ্দিন মিঞা ও এ কে এম আমির হোসেনকে সরে যেতে বা স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সচিবদের বলা হয়েছিল, সম্মান নিয়ে বিদায় হতে চাইলে নিজেদেরই সরে যেতে হবে। তা না হলে সরকার বাধ্য হবে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে। কয়েকদিন বিষয়টি ভাবার পর দুই বিতর্কিত সচিব স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই অভিযোগে অভিযুক্ত কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী গত ৩১ অক্টোবর অবসরে গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব বলেন, নিয়াজ উদ্দিন মিঞা অনেক আগে থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক অন্যায় করেও পার পেয়েছেন। ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। বরং নিজে দোষী হওয়ার পরও ছড়ি ঘোরাতেন অধীনস্থ কর্মকর্তাদের ওপর। মতের বিপরীতে গেলেই তার বিরুদ্ধে নেওয়া হতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিয়াজ উদ্দিনের চিঠিতে বলা হয়, শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যসচিব নিয়াজ উদ্দিন মিঞা অসুস্থ। তাই তিনি স্বেচ্ছাঅবসরে যেতে যান। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। আর আমির হোসেনের চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি ২৫ বছর চাকরি করেছি। এখন অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।’
চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী স্বেচ্ছাঅবসরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে চিঠি দেওয়া হলে তা চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে এবং তা পরিবর্তন বা প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি দুটির সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয়ে জনপ্রশাসনে ফেরত আসবে। তারপরই কার্যকর হবে তাদের অবসর।
সচিবদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
নিয়াজ উদ্দিন মিঞাসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও নিয়াজ উদ্দিন মিঞা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে অসদাচরণের অপরাধ করেছেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তার সনদ বাতিল করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি গত সপ্তাহে এর জবাব দেন। কিন্তু বাকি যাদের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে, তাদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিয়াজ উদ্দিন মিঞাসহ তিন সচিব ও এক যুগ্মসচিবের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশে ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট বাতিল করে মন্ত্রণালয়। জামুকার বৈঠকে সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হওয়ার ৯ দিন পর মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।
নিয়াজ উদ্দিনের যত অপকর্ম
বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে স্বাস্থ্য খাতে একটি চক্র গড়ে উঠেছিল স্বাস্থ্যসচিবের ছত্রচ্ছায়ায়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে রাজি-খুশি করেই চলেছে এসব কাজ। চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, মেডিকেল কলেজ অনুমোদন, ঠিকাদারি, মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ সবই ছিল এই চক্রের নিয়ন্ত্রণে। কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে। যারাই এই চক্রের বাইরে যেত তাদের শাস্তি হিসেবে বদলিসহ পদোন্নতি ঠেকিয়ে রাখার ভুরি ভুরি উদাহরণ খুঁজলে পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে ১২টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। নিয়মের বাইরে গিয়ে একাডেমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে চারটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটি মেডিকেল কলেজ অনুমোদনে দুই থেকে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন কমিটির সভায় প্রস্তাব না তুলেই ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিতে। কলেজগুলো হচ্ছে-রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কেয়ার মেডিকেল কলেজ, গুলশানের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ, নারায়ণগঞ্জের ইউএস-বাংলা ও রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ। মেডিকেল কলেজগুলো অনুমোদনে মন্ত্রীসহ ১২ সদস্যের কমিটির ৮জনই সই করেননি। অনিয়মের অভিযোগ আছে মহাখালীর ইউনিভার্সাল, চট্টগ্রামের মেরিন সিটি, সিলেটের পার্ক ভিউ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ, খুলনার সিটি ও আদ-দ্বীন-আকিজ মেডিকেল কলেজ অনুমোদনের ক্ষেত্রেও।
নিয়ম না মেনে গড়ে তোলা এসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিলের ব্যাপারে সরব হয়েছিল চিকিৎসক সমাজ। সরকারকে চিঠি দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিলের দাবি জানায় চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ১২টি মেডিকেল কলেজের কাজ স্থগিত করে বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার উদ্যোগ নেয়।
মহাজোট সরকারের গত মেয়াদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন ৯টি জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে চরম অনিয়ম হয়েছে। পরীক্ষা নিতে খরচ হয়েছিল প্রায় দুই কোটি টাকা। অথচ পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করেই চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জনপ্রতি ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা হাইকোর্টে রিট করলে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। এই নিয়োগ-বাণিজ্যের সঙ্গে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান সচিব জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
দুর্নীতি চক্রের অন্য সদস্যদের মনগড়া অতিরিক্ত দায়িত্ব ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও আছে নিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনকালীন সরকারের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা রওশন এরশাদকে অন্ধকারে রেখে স্বাস্থ্যসচিব দুটি আদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদোন্নতি দেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এক আদেশে ১৩ কর্মকর্তাকে পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া হয়। এছাড়া একই মাসের ৩০ তারিখ আরও ১২ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়। এসব পদায়ন, বদলি ও পদোন্নতিতে বাণিজ্য করার অভিযোগ করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই। টাকার বিনিময়ে কাজ হাসিলকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রেওয়াজে পরিণত করেছিলেন এম এম নিয়াজ উদ্দিন। এ জন্য আলাদা অফিস খুলে তদবির-বাণিজ্য চালিয়েছেন বিতর্কিত এই কর্মকর্তা।
মাসুদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আরও যত অভিযোগ
মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধুদের দেওয়া সম্মান স্মারকে স্বর্ণ জালিয়াতির জন্য সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকীকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটি বলছে, তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবহেলা করেছেন। সচিব কোনো প্রশ্ন বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই সাবেক প্রতিমন্ত্রীর কাছে নথি পাঠিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী নথি পেয়েই তা অনুমোদন করেছেন। শুধু তাই নয়, মাসুদ সিদ্দিকী শাখা পর্যায় থেকে উপস্থাপিত নথিতে স্বর্ণের ক্যারেট উল্লেখ না করার দায়ভার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চাপিয়েছেন। অথচ ক্রেস্ট সরবরাহকারী পেয়েছে সর্বোচ্চ দর।
সরকার স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মান জানায়। সম্মান স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট দেওয়া হয় তাদের। প্রতিটি ক্রেস্টে এক ভরি স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপা থাকার কথা ছিল। কিন্তু সম্মাননা দেওয়ার সময় বিএসটিআইয়ে একটি ক্রেস্ট পরীক্ষা করায় মন্ত্রণালয়। তাতে দেখা যায়, ক্রেস্টটিতে এক ভরির জায়গায় সোয়া তিন আনা স্বর্ণ এবং রুপার বদলে ৩০ ভরি পিতল, তামা ও দস্তা দেওয়া হয়েছে।
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের অনুদানের টাকাও ছয়নয় করেছেন মাসুদ সিদ্দিকী। নিয়ম ভেঙে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়েছেন। নিজের বাবার কলেজেও মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা অনুদান দিয়েছেন। পরে অবশ্য নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মাসুদ সিদ্দিকীর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মাওলানা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী কলেজকে দেওয়া মোট ২০ লাখ টাকা ফেরত দিতে হয়েছে তাকে।-সাপ্তাহিক এই সময়-এর সৌজন্যে