logo ১০ মে ২০২৫
এক কাতারে স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি, সচিবের পদমর্যাদায় জেলা ও দায়রা জজ
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাটাইমস
০৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ২১:৫৪:২৫
image

ঢাকা:রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিদের পদমর্যাদা নিরূপণের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্ট (১৯৮৬) অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।


প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মঙ্গলবার কিছু পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করেণ।


আদালতে আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ। অপরদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।


আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, আপিল বিভাগের মৌখিক রায়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তা হল— ১. প্রধান বিচারপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার একই অবস্থানে থাকবেন।এতদিন প্রধান বিচারপতি স্পিকারের পরের অবস্থানে ছিলেন।


আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ মন্ত্রীদের পদমর্যাদার হবেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার হবেন। এ্যাটর্নি জেনারেল সচিবদের উপরে থাকবেন।


সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ও মুখ্য সচিবরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের উপরে থাকবেন।


অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল সচিবের পদমর্যাদার হবেন। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে জেলা ও দায়রা জজরা সচিবের পদমর্যাদার হবেন।


১৯৮৬ সালে জারি করা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তৎকালীন জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আতাউর রহমান ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন।


রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।


জেলা জজ ও জুডিশিয়াল অফিসারদের প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিচে অবস্থান দিয়ে তালিকাভুক্তিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।


একই সঙ্গে জেলা জজের পদ সাংবিধানিক পদধারীদের সঙ্গে একই অবস্থানে কেন নেওয়া হবে না এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের উপরে কেন নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।


ওই সব রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্ট অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। একই সঙ্গে কিছু দিকনির্দেশনাও দেন।


হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়, সকল সাংবিধানিক পদ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে থাকবে। এরপর সংবিধান স্বীকৃত পদসমূহ, যেমন— জেলা জজ, তিন বাহিনীর প্রধান স্থান পাবে। এরপর যারা জেলা জজ পদমর্যাদার পদধারণ করেন, এরপর অতিরিক্ত জেলা জজ, এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এরপর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং এরপর সচিবগণ থাকবেন।


একই সঙ্গে জেলা জজ পদকে শুধু নির্ধারিত জেলার মধ্যে প্রযোজ্য বলে গণ্য করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।


এ লক্ষ্যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে এর অগ্রগতির প্রতিবেদন দুই মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।


হাইকোর্টের এ রায় চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালে লিভ ‍টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।


রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা নিষ্পত্তি করে দেন।


ঢাকাটাইমস/৬জানুয়ারি/এইচআর/এআর