ঢাকা: আরও ২৫ থেকে ২৭ জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পরিবর্তন আসছে।চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিবর্তন হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাইয়ের কাজও শেষ।
সূত্র জানায়, মাঠ প্রশাসনকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার টার্গেট নিয়ে ‘‘সরকারের প্রতি বেশি আনুগত্যশীল’’ কর্মকর্তাদের এসব পদে বাছাই হয়েছে।
জানুযারির প্রথম সপ্তাহে এই রদবল হওয়ার কথা থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড.কামাল আবদুল নাসের দেশের বাহিরে থাকার কারণে এ রদবদলটি বিলম্বিত হয়।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে মোকাবেলা করতে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক পদে এ রদবদল আনা হচ্ছে।
যেসব জেলায় এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেগেুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, লক্ষ্মীপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, ফেনী, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজবাড়ী, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফিরোজপুর।
এসব জেলা প্রশাসকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকার দলীয় সাংসদদেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এসব অভিযোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও অবহিত। এসব বিষয়সহ সার্বিক বিষয় মাথায় নিয়ে সরকার তাদের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক(ডিসি) পদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে গত বছর ২৯ মার্চ বাছাই পরীক্ষা নেয়া হয়। এ পরীক্ষায় ২৪২ জন কর্মকর্তা অংশ নেয়। পরীক্ষার পর বাছাইকৃত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ৬৪ জনকে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরমধ্যে ১১ টি জেলায় ইতোমধ্যে ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রশাসনে রদবদল করার জন্য ‘‘জেলা প্রশাসক বাছাই পরীক্ষা’’ নেয়া হয় না। বরং কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার জন্য এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। মাঠ প্রশাসনে ‘‘গতিশীলতা’’ ধরে রাখতে এটি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিব ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামীকাল বুধবার বেশ কিছু জেলার ডিসি পদে পরির্বতন হবে। এদের বেশির ভাগেই কর্মকর্তা ১১ থেকে ১৫তম ব্যাচের।
(ঢাকাটাইমস/১৩ জানুয়ারি/এইচআর/এআর/ ঘ.)