সকল কোম্পানির তথ্য সংরক্ষণে ডাটা সেন্টার
হাবিবুর রহমান, ঢাকাটাইমস
২৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৮:৩৮:৫১

ঢাকা: দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর সকল তথ্য সংসরক্ষণে একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করছে সরকার।
এক্সিম ব্যাংক অব চায়নার অর্থায়নে স্টাবলিশমেন্ট অব আইভি টিয়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার (ফোরটিডিসি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই তথ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
আগামী সোমবার অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভার কমিটিতে প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির জন্য তৈরিকৃত সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার রুপকল্প-২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন, সুগঠিত, অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ডাটা সেন্টারে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাদের সকল তথ্য সংসরক্ষণ করতে পারবে।
প্রস্তাবিত ডাটা সেন্টার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্কের আওতাধীন জমিতে স্থাপন করা হবে। ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ চীনের জেডটিই কর্পোরেশনের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে প্রকল্পটি পিডিপিপি প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হলে ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি গ্রহণের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি প্রদান করে।
সার-সংক্ষেপে, এক্সিম ব্যাংক অফ চায়নার অর্থায়নে স্টাবলিশমেন্ট অফ আইভি টিয়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার (4tdc) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কনসোর্টিয়াম জেডটিই হোলডিং কোম্পানি লি. এবং জেডটিই কর্পোরেশনের সাথে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত মূল্যে চুড়ান্তভাবে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভার কমিটিতে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হয়।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর আওতায় ৬৮(১) ধারা অনুযায়ী সরকার, রাষ্ট্রীয় জরুরী প্রয়োজনে বা বিপর্যয়কর কোনো ঘটনা মোকাবেলার জন্য জনস্বার্থে সরকারের গঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশক্রমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এইচআর/এমএটি)