টুজি ও থ্রিজি স্পেকট্রাম নিলামের গাইডলাইন প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১৭:১২:০৭

ঢাকা: টুজি ও থ্রিজি স্পেকট্রাম নিলামের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। এতে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
বিটিআরসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গাইডলাইন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
'গাইডলাইনস ফর দ্য অ্যাসাইনমেন্ট অব স্পেকট্রাম ফরম জিএসএম ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড টু সেলুলার মোবাইল অপারেটরস' শিরোনামে টুজি স্পেকট্রামের গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়, বিটিআরসির কাছে থাকা ১৮০০ মেগাহার্টজের অব্যবহৃত ১০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) নিলামের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ তরঙ্গ ৫ মেগাহার্টজ ও ৫ দশমিক ৬ মেগাহার্টজে ভাগ করে নিলামে বিক্রি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে গাইডলাইনে।
এছাড়া এতে বলা হয়েছে, যারা আগে ২০ মেগাহার্টজের কম তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়েছে কেবল তারাই প্রাথমিকভাবে ১৮০০ মেগাহার্টজের নিলামে অংশ নিতে পারবে। এ শর্তানুযায়ী গ্রামীণফোন নিলামে অংশ নিতে পারবে না। গ্রামীণফোনের হাতে বর্তমানে ২০ মেগাহার্টজের বেশি তরঙ্গ রয়েছে। টুজির ৯০০ ও ১৮০০ মেগাহার্টজ এবং থ্রিজির ২১০০ মেগাহার্টজ মিলিয়ে গ্রামীণফোনের কাছে ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে। এছাড়া বাংলালিংক ২০ মেগাহার্টজ, রবি ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ ও এয়ারটেল ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিয়ে সেবা দিচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের হাতে রয়েছে ২৫ দশমিক ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ।
অন্যদিকে, 'গাইডলাইনস ফর দ্য অ্যাসাইনমেন্ট অব স্পেকট্রাম ফরম ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড টু থ্রিজি সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস অপারেটরস' শিরোনামে থ্রিজি স্পেকট্রামের গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়, শুধু থ্রিজি মোবাইল ফোন সার্ভিস অপারেটররা এ নিলামে অংশ নিতে পারবেন। গাইডলাইন অনুযায়ী, বিটিআরসির ২১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের মধ্যে ১৫ মেগাহার্টজকে তিনটি বস্নকে ভাগ করে নিলাম করা হবে। এগুলো হলো ১৯২০ থেকে ১৯২৫ মেগাহার্টজ/২১১০ থেকে ২১১৫ মেগাহার্টজ, ১৯২৫ থেকে ১৯৩০ মেগাহার্টজ/২১১৫ থেকে ২১২০ মেগাহার্টজ এবং ১৯৩০ থেকে ১৯৩৫ মেগাহার্টজ/২১২০ থেকে ২১২৫ মেগাহার্টজ।
গাইডলাইনে বলা হয়, নিলামে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রসেসিং ফি বাবদ ৫ লাখ টাকা ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বিটিআরসির অনুকূলে জমা দিতে হবে। আবেদনের পর নিলামে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জনের পরে নির্বাচিত কোম্পানিগুলোকে বিড আর্নেস্ট মানি বাবদ দেড়শ' কোটি টাকা দিতে হবে। নিলামে প্রতি মেগাহার্টজের জন্য বেইস প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ মিলিয়ন ডলার। নিলামে নির্বাচিত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ফলাফলের ৩০ দিনের মধ্যে দামের ৬০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। বাকি ৪০ শতাংশ দুটি কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে গাইডলাইনে।
২৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন। নিলামের ব্যাপারে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অনুসন্ধান থাকলে তা ৯ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে। ১৮ মার্চ প্রাক-নিলাম বৈঠক হবে। ৬ এপ্রিল কমিশন নিলামে অংশ নেয়ার যোগ্য কোম্পানিগুলোর তালিকা প্রকাশ করবে।
১৫ এপ্রিল নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে পরামর্শ করা হবে। ২০ এপ্রিল নির্বাচিত কোম্পানিগুলো নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে কমিশন বরাবর আর্নেস্ট মানি জমা দেবে। কোনো কোম্পানি নিলামে অংশ নিতে না চাইলে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে হবে। এরপর পরীক্ষামূলক নিলাম বা মক অকশন হবে ২৯ এপ্রিল। চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে ৩০ এপ্রিল। একই দিন নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার নাম ঘোষণা করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/জেবি)