logo ২৯ এপ্রিল ২০২৫
স্মার্টফোনের বিক্রি কমছে
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ২২:১৮:২০
image

ঢাকা: বাজার পড়ছে স্মার্টফোনের। ভারতের মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসার মধ্যে ৩৫ শতাংশ চলে স্মার্টফোনের দৌলতে। কিন্তু, গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে ত্রৈমাসিকের তুলনায় অক্টোবর-ডিসেম্বরে স্মার্টফোনের বাজার চার শতাংশ পড়েছে।


আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা আইডিসির রিপোর্ট বলছে, ২০১৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরের তুলনায় গত বছর অক্টোবর-ডিসেম্বরে স্মার্টফোনের বাজার ৫ শতাংশ পড়েছে। ওই ত্রৈমাসিকে দেশটিতে মোট ৬.৪৩ কোটি মোবাইল ফোন এসেছে। তার মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ২.২৫ কোটি।


জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর-ডিসেম্বরে মোট আমদানি হওয়া মোবাইলের সংখ্যা ১১ শতাংশ পড়েছে। আইডিসির ব্যাখ্যা, অক্টোবর-ডিসেম্বর উৎসবের পর্ব হওয়া সত্ত্বেও ফিচার ফোন এবং স্মার্টফোনের আমদানি খুব একটা বাড়েনি।


এতে অবশ্য স্মার্টফোনের চাহিদা নেই, বলা যায় না। কারণ, উৎসবের মুখে স্মার্টফোন মজুত করে রেখেছিলেন বিক্রেতারা। উৎসবের মাসে অনলাইনে বৈদ্যুতিক পণ্যে প্রচুর ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ফিচার ফোনের বাজারও ১৪ শতাংশ পড়েছে অক্টোবর-ডিসেম্বরে।


তবে স্মার্টফোনের নিম্নমুখী বাজারেও শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছে স্যামসাং। এখনও ভারতে ২২ শতাংশ বাজার দখল নিয়ে এক নম্বর স্মার্টফোন বিক্রেতার জায়গা ধরে রেখেছে কোরীয় সংস্থাটি।


তারপরই রয়েছে দেশীয় সংস্থা মাইক্রোম্যাক্স, যার দখল রয়েছে ১৮ শতাংশ স্মার্টফোন বাজার। উল্লেখ্য, ভারতে প্রথম পাঁচ স্মার্টফোন বিক্রেতার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে চীনা সংস্থা জিয়াওমি।


এই সংস্থার ফোন শুধু অনলাইনেই পাওয়া যায়। অক্টোবর-ডিসেম্বরে চার শতাংশ বাজার দখল করে স্মার্টফোন বাজারে পঞ্চম স্থানে রয়েছে জিয়াওমি। তিন এবং চার নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে ইনটেক্স এবং লাভা। প্রথম স্থানে থাকলেও স্যামসাংয়ের বাজারে থাবা বসিয়েছে জিয়াওমি এবং মোটোরোলার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। জুলাই-সেপ্টেম্বরে স্যামসাংয়ের দখলে ছিল ২৪ শতাংশ বাজার। পরের ত্রৈমাসিকে তা দু’শতাংশ কমে গিয়েছে।


অন্যদিকে, ক্যানালিস বলে আর একটি গবেষণা সংস্থার দাবি ২০১৪ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে স্যামসাংকে (২০ শতাংশ বাজার দখল) ছাড়িয়ে গেছে মাইক্রোম্যাক্স (২২ শতাংশ বাজার দখল)।


এই পরিসংখ্যান অবশ্য অস্বীকার করেছে কোরীয় বৈদ্যুতিক পণ্য বিক্রেতাটি। আইডিসির অনুমান, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকেও স্মার্টফোনের বাজার মোটামুটি শ্লথ থাকবে।


তবে বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, ইন্টারনেট প্রসারতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কম দামের ফোনের বিক্রি বাড়ছে। কারণ ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রবণতা দেশে বাড়ছে।


সম্প্রতি টাটা ডোকোমোও এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট-নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে খবর এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য মোবাইল থেকেই বিভিন্ন নিউজ সাইটে চলে যাচ্ছেন তারা। দৈনন্দিন খবরাখবর এবং বিনোদনের খবর পেতে যথাক্রমে ৩৩ এবং ৩৬ শতাংশ মানুষ মোবাইলের দ্বারস্থ হচ্ছেন।


(ঢাকাটাইমস/২৬ ফেব্রুয়ারি/এসইউএল)