বেনাপোলঃ যশোরের শার্শা উপজেলার সিকারপুর পল্লীতে একটি চশমা চুরির অভিযোগে জাকির হোসেন নামে নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে দুর্বৃত্তরা। পিটিয়ে গায়ে গরম পানি ঢেলে সমস্ত শরীর ঝলছে দেয়া শিশুটির চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। অগ্নিদগ্ধ জাকিরের বাড়ি শার্শার নারিকেল বাড়ীয়া গ্রামে ।
বাবা-মা মারা যাওয়া শিশুটিকে এভাবে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ নিজেই। তবে আটক হয়নি কেউ। তবে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চায়ের দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, সোমবার বিকালে যশোর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কিশোরটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বুলবুল হোসেনকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাকির শিকারপুর বাজারের সোহারবের চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশন দেখছিল। ওই সময় দোকানদারের একটি চশমা চুরি যায়। এ ঘটনায় সোহরাব ও তার ছেলে শরিফুল এবং আলম শনিবার রাতে জাকিরকে ধরে নিয়ে পা উপুর করে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করে। স্বীকারোক্তি আদায়ে গায়ে গরম পানি ঢেলে দেয় তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাভারন হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার বিকালে যশোর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২জুন/ডব্লিউবি)