logo ০৩ এপ্রিল ২০২৫
ফেলানী হত্যার রায় হতাশাব্যঞ্জক
০৪ জুলাই, ২০১৫ ১৩:৩৫:১৫
image

ফেলানী হত্যার রায় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ফেলানী হত্যার রায়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। ফেলানীর পরিবার ন্যায় বিচার পায়নি। এটি অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক।


ফেলানী হত্যার রায় নিয়ে শনিবার ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক মুঠোফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রবীণ এ শিক্ষাবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মহিউদ্দিন মাহী।


ঢাকাটাইমস: ফেলানী হত্যার রায় নিয়ে আপনার মতামত বলুন।   


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান:  ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও আলোচিত ঘটনা। এ মামলাটি বিএসএফের আদালতে পুনর্বিবেচনার রায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ফের নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। অর্থাৎ আগের রায়টি বহাল রেখেছে তারা। এটা আমাদের মর্মাহত করেছে।


ঢাকাটাইমস:  তাহলে তো আমরা ন্যায় বিচার পাইনি।


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান:  আমরা ন্যায় বিচার তো পাইনি। কারণ এ রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে খোদ ভারতের মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলেছে, এ রায় আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তারা মনে করে ফেলানীর পরিবার ন্যায় বিচার পায়নি। সুতরাং ভারতের মধ্যেই এ রায় নিয়ে বিতর্ক চলছে। আর ফেলানীর পরিবার এ রায় প্রত্যাখান করেছে। এটির বিরুদ্ধে আপিল করবে তারা।   


ঢাকাটাইমস: এখন আমাদের করণীয় কী?


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান: মামলার বিষয়টি তো আইনিভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। এখন আমাদের দেখতে হবে আইনি আর কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায়। যদি কোনো বিকল্প পথ থাকে তাহলে সেদিকে আমাদের মুভ করতে হবে।


ঢাকাটাইমস: বিকল্প কী কী করণীয় আছে বলে আপনার মনে হয়?


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান:  বিএসএফ এর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা আছে। সেখানে ফেলানীর বাবা এবং সেদেশের মানবাধিকার সংগঠন রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।


ঢাকাটাইমস: বাংলাদেশ সরকারের কিছু করার আছে কি না?


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান:  আমার জানা মতে বাংলাদেশ সরকারের এখানে খুব বেশি কিছু করার নেই। কারণ ভারতের আদালতে এটির বিচার হচ্ছে। সেদেশের আইন-কানুন রয়েছে। সেখানে আমাদের সরকারের খুব বেশি কিছু করার নেই বলেই আমার কাছে মনে হয়। তবে ফেলানীর বাবাকে কূটনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা দেয়া যেতে পারে।


ঢাকাটাইমস: ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গেলে কি ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে? আপনার কি মনে হয়?


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান:  দেখুন, এটি তো আইনি বিষয়। এ সম্পর্কে তো আগ বাড়িয়ে কিছু বলা যায় না। তবে সর্বোচ্চ আদালতই হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করাই যায়।


ঢাকাটাইমস: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


অধ্যাপক আনিসুজ্জামান:  আপনাকেও ধন্যবাদ।