১৭ বছরেও শেষ হয়নি সাংবাদিক মুকুল হত্যার বিচার
যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
৩০ আগস্ট, ২০১৫ ১১:৫২:৪২

যশোর: যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুল হত্যার ১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। আজ রবিবার পালিত হচ্ছে তার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দীর্ঘ সময়েও শেষ হয়নি এই হত্যা মামলার বিচারকাজ। নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে এ মামলার কার্যক্রম।
সাংবাদিক মুকুলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসক্লাব ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোকর্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন তাঁর স্ত্রী হাফিজা আক্তার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরের বছরের ২৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) যশোর অঞ্চলের এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একপর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়। এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়।
২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডির কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৫ জুন যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামের আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ জেড এম ফিরোজ জানান, মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে ইত্তেফাক-এর বিশেষ প্রতিনিধি ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আজমল হোসেনের আইনজীবীকে এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা কী, তা আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন।
পরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ ফারাজী আজমল হোসেনের অংশ বাদ রেখে ফের বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিটু জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মামলার সাক্ষী শেষ হয়ে গেছে। এখন বিচারিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আসামিদের বক্তব্য নেওয়া হবে। এরপর শুরু হবে যুক্তিতর্ক। যুক্তিতর্ক শেষে দ্রুতই হত্যার বিচার পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/জেবি)