প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ অক্টোবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৩:২৫:২৪

ঢাকা: প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত পুঁজিবাজার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর (জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের নতুন করে মামলার অভিযোগপত্র পড়ে শোনান মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল।
আসামি পক্ষের আইজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোহসেন রশিদ, আব্দুস সালাম খান ও মাজেদা আক্তার।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর আসামিদের অনুপস্থিতিতে আদালত বাদীপেক্ষের শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে এবং ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। কিন্তু আসামিরা আত্মসমর্পণ করে এ মামলার পুনরায় শুনানির আবেদন করলে আদালত রায় ঘোষণার দিনক্ষণ স্থগিত করেন।
৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার তিনজন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। এরা হলেন- এম এ রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক অনু জাগীরদার। ৯ সেপ্টেম্বর জামিন নিয়েছেন অপর আসামি সাঈদ এইচ চৌধুরী।
আলোচিত মামলার আসামিরা হচ্ছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও র্যাঙ্গস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক ও এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গীদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। ওই সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২১ ধারা বলে গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামিরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লংঘন ও সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ এর ২৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এমএন)