logo ১৪ মে ২০২৫
সরকারকে বিব্রত করাই জঙ্গিদের মূল টার্গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১৭:০৯:৩৯
image

ঢাকা: পাকিস্তানি চার নাগরিকসহ আটক সাত জেএমবি সদস্য জাল নোটের ব্যবসা করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের পৃষ্ঠপোষকতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সরকারকে বিব্রত করাই জঙ্গিদের মূল টার্গেট বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।


আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।


শুক্রবার রাতে পাকিস্তানি চার নাগরিকসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবির সাত সদস্যকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করে ডিবি। আটক পাকিস্তানি চার নাগরিক হলেন- মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাকিল, মো. খলিলুর রহমান, মো. ইকবাল। বাকিরা হলেন মো. বাবুল খান, মো. ফরমান, মো. শহিদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ২৭ হাজার পাকিস্তানি রুপিয়া, চারটি মোবাইল সেট, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।


মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও তদন্ত করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের সামনে এসেছে, জঙ্গি সংগঠনে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। এই সাত সদস্যদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা থাকাটা বিচিত্র কিছু নয়। তবে এখনই বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা কারও পৃষ্ঠপোষকতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে সরকারকে বিব্রত করাই জঙ্গি সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় নতুন সদস্য সংগ্রহ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এই সাত সদস্য একত্রিত হয়েছিল।


জিজ্ঞাসাবাদে তাদের জেএমবির সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা জানা গেছে, তবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।


তিনি বলেন, ‘আটকেরা জাল টাকার ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত। আর সেখান থেকে যে আয় হতো সেই অর্থ জঙ্গি অর্থায়নে ব্যয় করা হতো।


গোয়েন্দা পুলিশের ওই যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘আটক পাকিস্তানিদের বৈধ পাসপোর্ট থাকলেও তারা ঘন ঘন বাংলাদেশে যাতায়াত করতো। কিন্তু ট্যুরিস্ট ভিসায় এতো ঘন ঘন বাংলাদেশে আসা সম্ভব নয়। তারপরে তারা কিভাবে আসতো এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে।’


জেএমবির সাথে পাকিস্তানের চার নাগরিকের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জেএমবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেশে হলেও তারা সাধারণত বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। ভারতেও বিচ্ছিন্নভাবে এ সংগঠনটি রয়েছে। জেএমবির সাথে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সংশ্লিষ্টতা বা যোগাযোগের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও, জেএমবির কিছু অংশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো থেকে ট্রেনিং বা অস্ত্র সাপ্লাইয়ের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তবে আটকদের ব্যাপারে কিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।


(ঢাকাটাইমস/৭নভেম্বর/এএ/জেবি)