ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের লগ্নে ঘটা নির্মম বুদ্ধিজীবী হত্যার ‘দুই হোতা’র ফাঁসির দণ্ড ঘোষণা হলেও তা কার্যকর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই দুই অপরাধীর একজন যুক্তরাষ্ট্র এবং অপরজন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তারা দুজনই বলেছেন, বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার তারা মানেন না এবং আদালতে আত্মসমর্পণের কোনো ইচ্ছাও নেই তাদের। এমনকি পারলে ধরে নিয়ে বিচার করার মতো চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন একজন।
এই দুইজন হলেন- চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান। তারা দুজনই ছাত্রজীবনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আক্রান্ত দেশবাসীর বদলে তারা দাঁড়ান আক্রমণকারী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে। জামায়াতের সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের অন্য অনেক নেতা-কর্মীর মতো তারাও যোগ দেন বুদ্ধিজীবী হত্যায় কুখ্যাত আলবদর বাহিনীতে।
অভিযোগ আছে এই খুনি বাহিনীর ‘অপারেশন ইনচার্জ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চৌধুরী মুঈনুদ্দীন। আশরাফুজ্জামান খান ‘চিফ এক্সিকিউটর’ বা ‘প্রধান জল্লাদ’ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর তাদেরকে আর পাওয়া যায়নি। আশরাফুজ্জামান খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এবং মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে পলাতক রয়েছেন। প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালিদের বহু দিনের দাবি থাকলেও এই দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার বা দেশে ফেরত পাঠাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি দেশ দুটির সরকার।
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মুঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। অধ্যাপক, চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এই দণ্ড দেয়া হয় তাদের। এই দুই কুখ্যাত আলবদর কমান্ডারের বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয় আদালতে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, এই দুইজন বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করে রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুর বধ্যভূমিতে তাদের মরদেহ ফেলে দেন। তাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে আলবদর সদরদপ্তরের নির্যাতন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন করা হয়। তারপর মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।
যে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার জন্য আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন প্রাণদণ্ড পেয়েছেন তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকরা হচ্ছেন, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, ড. আবুল খায়ের, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. সিরাজুল হক খান, ডা. মো. মর্তুজা, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ও অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী। শহীদ চিকিৎসকরা হচ্ছেন, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরী ও বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. ফজলে রাব্বী। শহীদ সাংবাদিকরা হচ্ছেন, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, পিপিআইয়ের চিফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হক, দৈনিক পূর্বদেশের চিফ রিপোর্টার আ ন ম গোলাম মোস্তফা, বিবিসির সংবাদদাতা ও পিপিআইয়ের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার নিজামউদ্দিন আহমেদ, শিলালিপি পত্রিকার সম্পাদিকা সেলিনা পারভীন এবং দৈনিক সংবাদের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার।
রায়ে বলা হয়, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিল চৌধুরী মঈন উদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খান। তাদের এই নৃশংস অপরাধের জন্য তারা ‘শুধু এবং শুধুমাত্র’ ফাঁসির যোগ্য। তাদের মৃত্যুদণ্ড না হলে তা হতো বিচারের ব্যর্থতা।রায়ে জানানো হয়, আশরাফুজ্জামান খান এবং চৌধুরী মুঈনু্দ্দীন যখন গ্রেপ্তার হবে বা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করবে- তখন তাদের রায় কার্যকর হবে।
দুই খুনির বর্তমান অবস্থান
বাংলা কমিউনিটি থেকে চৌধুরী মুঈনুদ্দিন নিজেকে আড়ালে রাখলেও যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও আইএফই (ইসলামী ফোরাম ইউরোপ, জামাতের আন্তর্জাতিক সংগঠন ) কেন্দ্রীক কর্মসূচিতে দেখা যায় তাকে। সেখানে তিনি মুসলিম এইড নামে একটি এনজিও গড়ে তোলেন। আরেক যুদ্ধ্বাপরাধী আবু সাঈদকে নিয়ে একবার গড়ে তুলেন দাওয়াতুল ইসলাম নামক সংগঠন। পরে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে আলাদা হয়ে ইসলামী ফোরাম ইউরোপ (আইএফই) গঠনের মধ্য দিয়েই মুসলিম নেতা হিসাবে বিলেতের রাজপরিবারের সাথে গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত সম্পর্ক। পাশাপাশি যুক্ত হন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর সাথে। যুদ্ধ্বাপরাধী বিচার শুরু হওয়ার পর বিতর্কের মুখে মুসলিম এইড ও ইস্ট লন্ডন মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও নেপথ্যে থেকে বিলেতের জামায়াত এর কলকাঠি নাড়ছেন। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন আল-জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারকে ঘিরে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন না।
৯৫ সালে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর একটি প্রমাণ্য চিত্র তৈরি করে চৌধুরী মঈনুদ্দীন, আবু সাঈদ ও লুৎফর রহমানকে নিয়ে। এখানেই এই তিন জনের একাত্তরের নানা অপরাধের কথা উঠে আসে। এরপরই তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয় প্রবাসী বাঙালিরা। দাবির মুখে ব্রিটিশ সরকার বিচারকাজ শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয় ১৯৯৬ সালের প্রথমার্ধেই।
বুদ্ধিজীবী হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ, বেআইনিভাবে ঘরে প্রবেশ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র প্রভৃতি অভিযোগে চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী গিয়াসউদ্দীনের বোন ফরিদা বানু।
আর আশরাফুজ্জামান খান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে দুইবার দেশে আসেন দুই খুনি
প্রসিকিউশনের এক সাক্ষীর সাক্ষ্যের উদ্বৃতি দিয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, চৌধুরী মঈন উদ্দিন ১৯৭১ এর পর দুইবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। একবার জিয়াউর রহমানের আমলে আরেকবার এইচএম এরশাদের আমলে। পাকিস্তান দূতাবাসের গাড়িতে করে আসা এই দুই খুনিকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। এত নৃশংস খুনির জন্য রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে-‘কি লজ্জা, কি লজ্জা!’ বলেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, দন্ডিতরা বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছে। এদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের আমলে সরকারি নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে দেশে এসে ফেনীর দাগনভূঁইয়া এলাকায় মুসলিম এইড এর সহায়তায় নিজের বাড়ীতে একটি মাদ্রাসা চালু করেন মুঈনুদ্দীন।
যত অভিযোগ
চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মোট ১১টি অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোরে এই দুই জনের নির্দেশে আলবদরের সশস্ত্র সদস্যরা ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন হোসেনকে চামেলীবাগের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। তারপর তাকে ইপিআরটিসি’র একটি মিনিবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোরে দুই জনের উপস্থিতিতে আলবদর বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা পিপিআইর প্রধান প্রতিবেদক ও কলম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককে পুরানা পল্টনের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার কোন হদিস মেলেনি।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোরে এই দুইজনের নির্দেশে পাঁচ-ছয়জন সশস্ত্র আলবদর সদস্য দৈনিক পূর্বদেশের প্রধান প্রতিবেদক আ ন ম গোলাম মুস্তফাকে তার গোপীবাগের বাসা থেকে অপহরণ করে। তারও কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
৪র্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর দুপুরে দুই জনের নির্দেশে সশস্ত্র আলবদর সদস্যরা পিপিআই’র মহাব্যবস্থাপক ও বিবিসি’র প্রতিবেদক নিজাম উদ্দিন আহমেদকে কলতাবাজারের বাসা থেকে অপহরণ করে। তাকেও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে এই দুই জনের উপস্থিতিতে সশস্ত্র আলবদর সদস্যরা দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে তার নিউ সার্কুলার রোডের বাসা থেকে অপহরণ করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরদিন ১৭ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, ১৩ ডিসেম্বর সকালে দুই আলবদর নেতার উপস্থিতিতে পাঁচ-ছয়জন সশস্ত্র সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. মো. মর্তুজা, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্যকে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বরের পর মিরপুর বধ্যভূমি থেকে অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মর্তুজা, ড. আবুল খায়ের, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুই জনের মরদেহ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধারকৃত তার ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে ‘বুদ্ধিজীবী হত্যা’র লক্ষ্য হিসেবে অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা-১টার দিকে এই দুই ব্যক্তির উপস্থিতিতে আলবদর সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় নিজ বাসা থেকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে অপহরণ করে। এ সময় অধ্যাপক মোফাজ্জলের ভাই তৎকালীন বাংলা বিভাগের ছাত্র চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের মুখ ঢেকে রাখা কাপড় টেনে খুলে ফেললে তার পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়। শহীদ এ বুদ্ধিজীবীর মৃতদেহ পরবর্তীতে পাওয়া যায়নি।
অষ্টম অভিযোগে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ১টা-দেড়টার দিকে এই দুই ব্যক্তির নির্দেশে সশস্ত্র আলবদর সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরীকে তার সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে অপহরণ করে। এই বুদ্ধিজীবীকে আর পাওয়া যায়নি।
নবম অভিযোগে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির উপস্থিতিতে সশস্ত্র আলবদর সদস্যরা দৈনিক সংবাদের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারকে কায়েতটুলীর বাসা থেকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে শহীদুল্লাহ কায়সারকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। শহীদুল্লাহ কায়সারের সন্ধান করতে গিয়ে বাহাত্তর সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুর বিহারি ক্যাম্পে গিয়ে নিখোঁজ ও শহীদ হন তার ভাই প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান।
দশম অভিযোগে বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টা-৩টার দিকে এ দুই ব্যক্তির উপস্থিতিতে দুই-তিন জন সশস্ত্র আলবদর সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. মো. ফজলে রাব্বিকে তার সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বন্দুকের মুখে অপহরণ করে। ১৮ ডিসেম্বর এই চিকিৎসকের মরদেহ বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়।
এগার নং অভিযোগে বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টা-৪টার দিকে সশস্ত্র আলবদর সদস্যরা এই দুই অভিযুক্তের নির্দেশে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলিম চৌধুরীকে পুরানা পল্টনের বাসা থেকে অপহরণ করে। স্বাধীনতার পরে রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/ডব্লিউবি/জেবি)