ঢাকা: আর মাত্র চার দিন পর বিদায় নিচ্ছে ২০১৫ সাল। সরকারি চাকুরেদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশে বছরটি শেষ হতে পারত আনন্দের আস্বাদ নিয়ে। কিন্তু বেতন কাঠামোয় বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগে ক্ষোভ-অসন্তোষ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বছর শেষে। আর এ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্য রূপ লাভ করেছে। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
বছরের শুরুতে প্রশাসনে দেয়া হয়েছে বিপুল পদোন্নতি। সেখানেও আছে পদোন্নতিবঞ্চিতের বেদনা।
এ বছরই আলোর মুখ দেখল বহুল আলোচিত ‘সরকারি কর্মচারী আইন’, দীর্ঘদিন পর মন্ত্রী পেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জারি হয়েছে ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা’। তবে নীতিমালা হলেও দেওয়া হয়নি ‘জনপ্রশাসন পদক।
স্মরণকালের বড় পদোন্নতি
৬ এপ্রিল জনপ্রশাসনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় পদোন্নতির ঘটনা ঘটে। বহুদিন ধরে গুঞ্জনের কারণে এ পদোন্নতির বিষয়টি ছিল খুবই আলোচিত। তবে এত পদোন্নতি হলেও তাতে ছিল না বিএনপি-জামায়াতপন্থী কোনো কর্মকতার নাম। এ সময় অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদে পদোন্নতি পান ৮৭৩ কর্মকর্তা। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন ২৩১ জন, উপসচিব থেকে ২৯৯ কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব হয়েছেন ৩৪৩ জন।
সচিব পদে ২৬ জনের পদোন্নতি
প্রশাসনে চলতি বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান সচিব পদে মোট ২৬ কর্মকর্তা পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি একজন, ২ মার্চ নয়জন, ৮ এপ্রিল দুজন, ১০ জুন ছয়জন, ২৭ আগস্ট পাঁচজন, ২৩ সেপ্টেম্বর তিনজন ও ২৯ নভেম্বর দুজন কর্মকর্তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
‘জনপ্রশাসন পদক’ নীতিমালাই সার
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদক দেওয়ার বিষয়টিও বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচিত হচ্ছিল। এ বছরের ২৮ জানুয়ারি ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা, ২০১৫’ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, শ্রেষ্ঠ দল ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিতে ১টি করে মোট ১২টি পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়।
নীতিমালা অনুযায়ী গত ২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসে জনপ্রশাসন পদক ঘোষণার কথা থাকলেও তা দিতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কবে নাগাদ পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে তাও বলতে পারছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
প্রশাসনে স্বাধীনতার পর এই প্রথম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পেল মন্ত্রী। ১৬ জুলাই দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়। এর আগে গত ৯ জুলাই আশরাফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। এত দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মন্ত্রিসভায় তিন নতুন মুখ, দুজনের পদোন্নতি
২০১৫ সালে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হয়েছে নতুন তিন মুখ। এ ছাড়া দুজন প্রতিমন্ত্রী পদোন্নতি পেয়ে মন্ত্রী হন। গত ১৪ জুলাই নুরুল ইসলাম বিএসসিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খান কামালকে স্বরাষ্ট্র ও ইয়াফেস ওসমানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্র ও ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অন্যদিকে তারানা হালিমকে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী করা হয় এবং নূরুজ্জামান আহমেদ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।
৪৩ বছর পর সরকারি কর্মচারী আইন
প্রশাসনে বহু আলোচনার পর এ বছরই আলোর মুখ দেখে ৪৩ বছর পর সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়া। এ বছরের ১৩ জুলাই ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৫’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য আইন প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো সরকারই এ আইন প্রণয়ন করেনি। সরকারগুলো বিধি, নীতিমালা ও প্রয়োজনমতো নির্দেশনাপত্র জারি করে সরকারি কর্মচারীদের পরিচালনা করছে।
এর আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময় আইনটি করার জন্য কয়েক দফা খসড়া প্রণয়ন করা হলেও খসড়ার বিভিন্ন বিধান নিয়ে বিতর্ক ওঠায় সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
আইনের খসড়াটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং (পরীক্ষা-নীরিক্ষা) শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার মন্ত্রিসভায় উঠবে।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ-সচিব
২০১১ সালের ৩ অক্টোবর থেকে মন্ত্রিপরিষদ-সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা চাকরির মেয়াদ শেষে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে বিশ্বব্যাংকে যোগ দিয়েছেন। এ বছরের ২৫ অক্টোবর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ২১তম মন্ত্রিপরিষদ-সচিব হিসেবে নিয়োগ পান।
আলোচিত আইন ও নীতিমালা
২০১৫ সালে মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন, নীতিমালা ও চুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। কোনো কোনো আইন পাস হওয়ার পর আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধান রেখে গত ২ অক্টোবর সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সংশোধিত আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
৩ আগস্ট ‘রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন, ২০১৫’ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এ আইন অনুযায়ী, আদালত ঘোষিত অবৈধ রাষ্ট্রপতিরা অবসরভাতা (পেনশন), আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধার যোগ্য হবেন না।
বছরের ৩০ মার্চ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর ১ শতাংশ হারে উন্নয়ন সারচার্জ আদায়ে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
৬ এপ্রিল তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য দুই দেশের সড়ক, নৌ ও রেলপথ ব্যবহারের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংশোধিত বাণিজ্য চুক্তি’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সাবমেরিন ক্যাবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ ভারতের কাছে রপ্তানি করতে ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) সঙ্গে ভারত সঞ্চার নিগাম লিমিটেডের (বিএসএনএল) চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৪ মে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আইন, ২০১৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ’ গঠনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়।
২৫ মে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুসমর্থন করে মন্ত্রিসভা।
গত ৮ জুন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে সড়কপথে পণ্যবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত মোটরযান চলাচলসংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।
২২ জুন সংশোধিত মোবাইল কোর্ট আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার না করলেও সাক্ষ্য নিয়ে ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) শাস্তি দিতে পারবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার দায়িত্ব পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দিতে ১০ আগস্ট ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ৫ অক্টোবর দুটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর ১৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি ও সংসদ সদস্যদের বেতন বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়াগুলো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
নতুন বেতন কাঠামো: আনন্দ ও অসন্তোষ
২০১৫ সালের শেষে ১৫ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহুল প্রতীক্ষিত অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করা হয়। দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়া এ বেতন কার্যকর ধরা হয়েছে এ বছরের ১ জুলাই থেকে। যদিও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্ধিত বেতন পেতে শুরু করেননি। নতুন বছরের জানুয়ারিতে পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
নতুন বেতন কাঠামোর সর্বোচ্চ বেতন (গ্রেড-১) ৭৮ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) আট হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে গত ৭ সেপ্টেম্বর সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
নতুন বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির নতুন পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসূচিও পালন করেছেন।
প্রশাসন কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি বেশ পুরনো। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অভিযোগ রয়েছে, বদলি-পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাদের বঞ্চিত করছেন। এ বছর দুটি ইস্যুতে এ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ লাভ করে।
নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করা এবং উপজেলা পরিষদে ন্যস্ত ১৭ দপ্তরের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষরের আদেশ জারির পর আন্দোলনে নামেন অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল ও ইউএনওর স্বাক্ষরের আদেশ বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ২৬টি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য সার্ভিসের সংগঠন ‘বিসিএস সমন্বয় কমিটি’ মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন শুরু করে। পরে এতে যুক্ত হয় প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের সংগঠন ‘প্রকৃচি’। একযোগে আন্দোলনে গঠিত হয় ‘প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি’। এ আন্দোলন প্রশাসন ক্যাডার-বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রতি বিষোদগার করছেন সমন্বয় কমিটির নেতারা।
উপজেলা পরিষদের কাছে ১৭ দপ্তর হস্তান্তরের বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত ১৪ অক্টোবর একটি অফিস স্মারক জারি করা হয়। এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদে ন্যস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাব এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হিসাব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনওর স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৬ ডিসেম্বর/এইচআর/মোআ)