ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। আজ শুক্রবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমর হজ পালনে সোদি আরব যাচ্ছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হবে আশা করি। তখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, ১০ জুন বিজিএমইএর সিনিয়রদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ১২ জুন সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ ভবনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে রায় দেন। সর্বোচ্চ আদালত থেকে আসা এ রায়ের ফলে ভবনটি ভেঙে ফেলতেই হচ্ছে।
দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় পরিবেশের ক্ষতি করে বেআইনিভাবে প্রায় দুই দশক আগে গড়ে তোলা হয় ১৬ তলাবিশিষ্ট বিজিএমইএ ভবন। ভবনটি নির্মাণের সময় থেকেই প্রশ্ন উঠলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটি উদ্বোধন করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে হাইকোর্ট এক রায়ে জলাধার রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বহুতল ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেন। রায়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন, বিজিএমইএ ভবনটি সৌন্দর্যম-িত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এ ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটি শুধু হাতিরঝিল প্রকল্পই নয়, পুরো ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২ অক্টোবর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ বিষয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মুনিরউদ্দিন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দেন। রুলে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
(ঢাকাটাইমস/৩ জুন/এমএবি/মোআ)