ঢাকা: রমজান শুরু না হতেই কাঁচা বাজারে নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বেগুনের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় বেগুন কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শসার দামও। অথচ দুই দিন আগেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেগুনের পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়।
ক্ষুব্ধ ক্রেতাদের প্রশ্ন এই দুই দিনে দেশে কী এমন হলো যার কারণে এই পাঁচগুণ দামে বেগুন কিনতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতা বলেন, ভাই বেগুন কেনা বন্ধ করে দেন, দেখবেন দাম এমনিতেই কমে যাবে। রোজা হচ্ছে সংযমের মাস। অথচ আমরা খাবারের বেলায় অসংযমী হয়ে উঠি। দোষ ভাই আমাদেরও আছে।
রমজানে লম্বা বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে। তাই রবিবার কারওয়ান বাজারেই প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছিল ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়। আর লম্বা বেগুনের ধাক্কায় অন্য বেগুনের দামও বেড়ে গেছে। গোল বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন ইফতারে বেশি ব্যবহার হওয়ায় এটির দামও বেড়েছে বেশি।
কথা হয় বিক্রেতা আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, মূল্য বেড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় আগেভাগে বাজারে আসলেও এখন দেখছি দাম এরই মধ্যে নাগালের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, আমার মতো অনেকেই বাজারে চলে আসায় বেগুনের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কারওয়ান বাজারে এক সবজি ব্যবসায়ী বেগুনের দাম আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ।
বেগুন ও শসার সঙ্গে সঙ্গে লেবু ও মরিচের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি হালি লেবু (কাগজি) ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি চিচিংগা ৩০ , করলা ৪০, ঢেঁড়স ৩০, ধুন্দুল ৩০, কচুরলতি ৪০, টমেটো ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি রসুন (ভারতীয়) ২০০ টাকায়, দেশি ১৮০, আদা মোটা ৭০, চিকন ১২০, পেঁয়াজ দেশি ৪৫, ভারতীয় ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, ছোলা ৯৫ টাকা, বুটের ডাল ৮৫ টাকা, আটা খোলা ৩০, ময়দা ৪০, লুজ সোয়াবিন তেল ৮১, পামওয়েল ৭২, শরিষার তেল ১২০,তীর বোতল পাঁচ লিটার ৪৩৫, রূপচাঁদা ৪৫৫, মিনিকেট চাউল ৪৪, নাজির শাইল ৪৫, পারিজা ৩৩, মোটা চাউল ২৮ , পোলার চাল ৯৮।
মশলার বাজারে এলাচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০৫০ টাকায়, দারচিনি ২৭৫ টাকায়, জিরা ৩৬০ টাকায়।
(ঢাকাটাইমস/ ০৫ জুন/ এমএবি/ এআর /ঘ.)