সন্দেহের পরও অর্থ ছাড় দিয়েছিল ফেডারেল ব্যাংক!
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
০৪ জুন, ২০১৬ ১৬:৪০:০০

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে আট কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ স্থানান্তরের চারটি আবেদন অনুমোদন দেয়ার এক ঘণ্টা আগে আরও ৩৫টি আবেদন সন্দেহ হওয়ায় প্রত্যাখ্যান করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। ফেডারেল ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পরে কয়েকটি অনুরোধ দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করা হয়, যা নিয়ে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে কাজ করছেন এমন দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স জানায়, ফেব্রুয়ারিতে ওই অর্থ বিদেশি কয়েকটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৫টি আবেদন বাতিল করা হয়েছিল। কারণ বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী নেটওয়ার্ক সুইফটের ম্যাসেজিং সিস্টেমে তথ্যের ঘাটতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাকের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রতিনিধি ব্যাংকগুলোর নামে ত্রুটি ছিল, নিউইয়র্ক ফেড ওই আবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করে, বাংলাদেশ ব্যাকের সিস্টেমে ঢুকে সুইফটের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে হ্যাকাররা আবেদন করেছিল। ওই দিন আরও পরে হ্যাকাররা ৩৫টি আবেদন করেছিল।
নিউইয়র্ক ফেড কর্মকর্তা বলেন, অর্থ স্থানান্তরে দ্বিতীয়ধাপের আবেদন সঠিক ফরম্যাটে করা হয়েছিল। এসব আবেদন সুইফটের অনুমোদন নিয়েই করা হয়েছিল। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপের আরও ৩০টি আবেদনে সাড়া দেয়নি ফেড। তবে পাঁচটি ভুয়া আবেদনে মোট ১০১ মিলিয়ন অর্থ স্থানান্তরের অনুমোদন দেয় ফেড। পরে বানান ভুলের কারণে ২০ মিলিয়ন ডলারের একটি আবেদনে আটকে দেয়া হয়।
গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ডলার ফেরত পাওয়া গেলেও ফিলিপাইনে যাওয়া বাকি আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের একটা অংশ উদ্ধার হলেও তা এখনো ফেরত পায়নি বাংলাদেশ।
(ঢাকাটাইমস/০৪জুন/জেবি)