logo ২১ এপ্রিল ২০২৫
কনস্টেবল মুকুল হত্যার খুুনিরা লাপাত্তা
ইমতিয়াজ উল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
০৭ জুন, ২০১৬ ১২:৩৯:২৭
image




সাভার (ঢাকা): পুলিশের স্ত্রীর ওপর হামলা এই প্রথম হলেও পুলিশের ওপর হামলা প্রথম নয়। এর আগে বহুবার পুলিশকে জীবন দিতে হয়েছে জঙ্গি হামলায়। কিন্তু কোনোটারই কোনো সুরাহা করতে পারছেনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত ৪ নভেম্বর সাভারে চেকপোস্টে পুলিশ কনস্টেবল মুকুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করার পর এরই মধ্যে কেটে গেছে পাঁচ মাস। খুনিরা লাপাত্তা।ঘটনার পর কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।



আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র বলছেন, আসলে পুলিশ এই হত্যাকা-ের কোনো কিনারা করতে পারছেন না। সূত্রটি বলছে, এটি একটি ক্লুলেস মার্ডার। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএফ এম সায়েদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।



তিনি বলেন, তিন জন খুনি মোটরসাইকেল যোগে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে এখনও কনস্টেবল মুকুল হত্যার ঘটনায় খুনিদের কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি, চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী।



এদিকে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাবের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কনস্টেবল মুকুল হোসেন হত্যাকান্ডটি একটি ক্লুলেস মার্ডার। কারণ হত্যাকান্ডের সংগঠিত করার জন্য খুনিরা কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। এমনকি মুঠোফোনেও কোনো কথোপকথন হয়নি তাদের মধ্যে।



র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ জানান, ওয়ালটনের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহজনক দুই খুনির ছবি পাওয়া গেছে। ছবিটি ঝাপসা হওয়ার কারণে পরিষ্করভাবে বুঝা যায় না। তারপরও প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ছবি দেখে খুনিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ধারণাকে সামনে রেখে মুকুল হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে। এর মধ্যে প্রথমত দুই বিদেশি হত্যাকান্ডে মতো এ ঘটনার নেপথ্যে কোনো বড় ভাই রয়েছে কিনা, দ্বিতীয়ত জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



গত বছরের ৪ নভেম্বর সকালে নন্দনপার্ক সংলগ্ন নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া চেকপোস্টের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ছুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হন নূর আলম নামের অপর পুলিশ সদস্য। পরে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঘটনার পরদিন ৫ নভেম্বর কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা (যার নং-৮) করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম। আটক করা হয় ৭-৮ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে। পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। ঐ সময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুর রহমানকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তিনসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।আর মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তৎকালীন আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহাকে। এরপর তিনি বদলি হয়ে গেলে মামলার তদন্ত ভার দেওয়া ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএফ এম সায়েদকে। এছাড়াও হত্যাকান্ডটি নিয়ে কাজ করছে সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই)।



কিন্তু এত দিনেও ঘটনার সঠিক রহস্য নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। কে বা কারা চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যকে এভাবে হত্যা করলো তার উত্তর মেলেনি আজও।



(ঢাকাটাইমস/০৭ জুন /প্রতিনিধি/এআর/ ঘ