সাংবাদিকদের সঙ্গে সেন্ট্রাল শরীয়া বোর্ডের মতবিনিময়
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১১ জুন, ২০১৬ ১৬:৫৫:১৫

ঢাকা: বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ’ (সিএসবিআইবি) বিভিন্ন মিডিয়া কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে। আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিজিএমই ভবনে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল এ কিউ এম ছফিউল্লাহ আরিফ সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিএসবিআইবির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম আযীযুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক উবায়দুর রহমান খান নদভী।
শনিবার বেলা ১১.০০টায় বিজিএমই ভবনস্থ এক্সিম ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির মিলনায়তনে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ‘ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ক’ এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কিউ এম ছফিউল্লাহ আরিফ উপস্থিত সাংবাদিকদের মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, রমজানের মর্যাদা, কেবল কোরআনের কারণে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সবাই বড় হয়েছে কেবল কোরআন গবেষণা করে। কোরআন এই ইসলামি অর্থনীতির কথাই বলেছে; যা কেবল মানব জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে, আজ তা হালের অর্থনীতিবিদরা পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছেন। বহু ব্যাংক এখন কনভেনশনাল সিস্টেম থেকে ইসলামি ব্যাংকিং এ রূপান্তরিত হওয়ার জন্যে আবেদন করছে ইসলামি অর্থনীতির সুফল দেখে। কোনো ধর্ম ও সম্প্রদায় সুদকে গ্রহণ করেনি।
শরীয়াহ বোর্ডের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম আযীযুল হক বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের মুখপাত্র। তারাই ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সম্পর্কে সত্য কথাটা তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, আল্লাহ সুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইসলামিক ব্যাংকিং-এ কখনো কখনো ভুল ত্রুটি হয়ে যায়। শরীয়াহ বোর্ড এটা শোধরানোর জন্যেই গঠন করা হয়েছে এবং আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি সত্যিকার ইসলামি অর্থনীতি বাংলাদেশে স্টাবলিস্টমেন্টের জন্যে।
এক্সিম ব্যাংকের এমডি হায়দার আলী মিয়া বলেন, হজরত ওমর রা. যে আল-ওয়াদিয়া সিস্টেম শুরু করেছিলেন; সেটাকেই এখন বলে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে ওআইসি থেকে ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক শুরু হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ইসলামিক লিডিং কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি।
উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, ইসলাম তো একসময় বিশ্বজুড়ে ঠিকই রাজত্ব করেছে, কিন্তু মুসলমানদের স্থবিরতার কারণে অন্য মতবাদ এখন তার স্থান দখল করে নিয়েছে। এই জন্যে আজ আমাদের নতুন করে ইসলামি অর্থনীতির কথা শুনতে হচ্ছে। নয়তো এই অর্থনীতির শুরু রাসূলের যুগ থেকেই। সুতরাং যদি শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন অর্থনীতির দিকে আসতে হয়, তাহলে ইসলামি ব্যাংকিং-এর দিকে আসতে হবে।
সভা শেষে সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ডের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল এ কিউ এম ছফিউল্লাহ আরিফ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং উপস্থিত সবাইকে বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফি শিল্পী ও প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ মাওলানা মিরাজ রহমানের আঁকা কোরআনের আয়াত লিখিত একটি নান্দনিক ক্যালিগ্রাফি উপহার দেন।
(ঢাকাটাইমস/১১জুন/জেবি)