logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
আ.লীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
০৪ জুলাই, ২০১৬ ১০:৪৫:০৩
image



কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুল গফুর ওরফে নাগু মেম্বারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।






রবিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ১০টার দিকে সোনাদিয়া পূর্বপাড়া মসজিদ থেকে তারাবিহ’র নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে গুলি করা হয়।






নিহত আব্দুল গফুর ওই ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের চারবারের নির্বাচিত সদস্য।






তার চাচাতো ভাই জাফর আলম জানান, নাগু মেম্বারের ভাতিজা সরওয়ার ওরফে বতৈল্লার নেতৃত্বে একদল চিহ্নিত জলদস্যু তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে নাগু মেম্বারকে পেছন থেকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাকে আহতাবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।






পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নাগু মেম্বারের সঙ্গে তার দুই জলদস্যু ভাতিজা মোকারম জাম্বু ও সরওয়ারের বিরোধ চলছিল। সাগরে আধিপত্য বিস্তার ও পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে এই বিরোধ চলছিল। একসময় নাগু মেম্বারও জলদস্যু ছিলেন। কিন্তু বছরতিনেক আগে তিনি দস্যুতা ছেড়ে দেন। এরপর থেকে দস্যুতা রোধে তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করে আসছিলেন। এরই জের ধরে তাকে খুন করা হল।






মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক ঢাকাটাইমসকে জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।






অপরদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সিরাজুল ইসলামকে (৬৮) গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার।






রবিবার দিনগত রাত আড়াইটায় তার বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের মরদেহ ও আহতকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কারা জড়িত কিংবা এর কারণ জানা যায়নি।






টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ ঢাকাটাইমসকে জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতদের আটক করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।






(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস)