রাজধানীতে অপহরণকারী চক্রের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৫ জুলাই, ২০১৬ ১৫:৪২:০৪

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী দলের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. সিরাজ উদ্দীন ওরফে খোকন (৫৭), মো. আফতাব উদ্দীন ওরফে মিলন (৫০), মো. জাহাঙ্গীর ওরফে এরশাদ আলী (৪৫), মো. শরীফ ওরফে দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. মিন্টু মিয়া (৪৬), মো. বাচ্চু মিয়া (৪৫), মো. তমিজ উদ্দিন (৪৮), হোসনে আরা বেগম (৪৫), আসমা বেগম (২০), মোছা. শারমীন আক্তার (১৮) এবং মো. আকাশ চৌধুরী রনি (৩২)। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ১৫টি মোবাইল সেট, ২২টি সীমকার্ড, একটি ল্যাপটপ, একটি ক্যামেরা, চারটি জাতীয় পরিচয়পত্র, দুইটি ভুয়া সাংবাদিক কার্ড, সাতটি চেক বই এবং মুক্তিপণের ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ জুলাই সকাল সাড়ে সাতটার সময়ে ওয়াজিউল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। মালিবাগ সুপার মার্কেটে ব্যক্তিগত কাজ শেষে রিকশাযোগে মালিবাগে তার ভাতিজির বাসার উদ্দেশে যাত্রা করেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খিলগাঁও কমিউনিটি সেন্টারের নিকট পৌঁছা মাত্র ৮/১০ জন ব্যক্তি তার রিকশার গতিরোধ করে তাকে টেনে হিঁছড়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তী সময়ে তাকে একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে নিয়ে আটক করে নির্যাতন করে এবং তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভিকটিমের মেয়ের জামাই বিষয়টি র্যাবকে অবহিত করেন।
এরপর র্যাবের মেজর ফাহিমের নেতৃত্বে একটি অভিযান দল গত ২১ জুলাই রাত ১০টার দিকে সিরাজ উদ্দীন খোকন ও আফতাব উদ্দীন মিলনকে গ্রেপ্তার করেন। এবং ভিকটিম ওয়াজিউল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ বিষয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ২৪ জুলাই খিলগাঁও রামপুরা এলাকা থেকে অপহরণকারী চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী এরশাদসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করেন। এছাড়া তাদের নিকট হতে ভিকটিমদের খোয়া যাওয়া দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সংঘবদ্ধ এই দলটি কৌশলে সাধারণ নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে আটক করে। পরবর্তী সময়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা গত ১৯ জুলাই ভিকটিম ইমরুল আহসান ওরফে পিকুলকে দুপুর ১২টার দিকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তী সময়ে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় এবং ১৫ জুলাই সকাল পৌনে নয়টার সময়ে মো শাহজাহান নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এএ/জেবি)