ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় জাতীয় অর্থপেডিকস (পঙ্গু) হাসপাতালের সামনে থেকে রোগীদের প্রতারিত করার দায়ে দালাল চক্রের সাত সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ সোমবার বেলা একটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. মিন্টু (৩২), মো. বাবু (৩৫), কাজী হাবিব (২৭), মোসা. মালেকা (৩০), মোসা. ফাতেমা (৩৪), মোসা. মাকসুরা (৪০) এবং মোসা. পারভীন (৭০)।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, একটি দালাল চক্র রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে রোগীদের অন্য ক্লিনিকে কম খরচে চিকিৎসা করে দেবার নাম করে নিয়ে যায়। শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালের সামনেও তারা সক্রিয়।
এই সংবাদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পঙ্গু হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের সদস্য সাত সদস্যকে আটক করেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করে, তারা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কম টাকায় চিকিৎসা করার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নির্ধারিত ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এই দালালচক্র ক্লিনিকের মালিকদের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, এ ক্ষেত্রে সাধারণ রোগীরা দুভাবে প্রতারিত হয়। প্রথমত, ক্লিনিকের নিম্ন মানের চিকিৎসা যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, এসব ক্লিনিকে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি, ফলে রোগীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আটককৃতদের মধ্যে মিন্টুকে এক মাসের কারাদণ্ড, বাবু ও কাজী হাবিবকে ১০ দিনের, মালেকা ও ফাতেমাকে ১৫ দিনের ও মাকসুরাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। পারভীনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে আরো ছিলেন র্যাব-২ এর উপপরিচালক মেজর আতাউর রহমান, উপপরিচালক মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফিরোজ কাউছার।
(ঢাকাটাইমস/২৫ জুলাই/এএ/মোআ)
পঙ্গু হাসপাতালে দালালরাই ডাক্তার!