logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
মেয়ে ধর্ষণের বিচার চেয়ে হুমকিতে মা
ইমতিয়াজ উল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
১২ আগস্ট, ২০১৬ ০৯:১১:৩৯
image



ঢাকার সাভারে ১১ বছরের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার পর হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে তার মাকে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। এরই মধ্যে হুমকির কারণে মেয়েটিকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।






ভুক্তভোগী ওই নারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় দূরসম্পর্কের মামাতো ভাই সোহেলের সঙ্গে খালার বাড়িতে যায় তার মেয়ে। এসময় সড়কের পাশে আড্ডারত সোহাগ, তার দুই বন্ধু শুশান্ত ও শান্ত তাদেরকে আটকায়। সোহেলকে বেঁধে রেখে একটি বাড়িতে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সোহেলকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়।






ঘটনার দিন গভীর রাতে তার মেয়েকে বাসার সামনে রেখে যায় সোহাগ ও তার সঙ্গীরা। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১১ জুলাই সকালে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় মেয়েটিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।






দুদিন পর চারজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন শিশুটির মা। পরদিন সকালে শিশুটিকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। কিন্তু শুধুমাত্র মেডিকেল রিপোর্টের জন্যই পেরিয়ে গেছে ঘটনার এক মাস। আর আসামিরাও ঘুরে বেরাচ্ছে প্রকাশ্যে।






মামলার বাদী ওই নারী জানান, মামলা তুলে নিতে আপস করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে তাকে। তিনি বলেন, আশুলিয়ার চারালপাড়ার একটি টিনসেডের ঘড়ে দুই মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। আগে পোশাক কারখানায় কাজ করলেও তা বখাটেদের যন্ত্রণায় ছেড়ে দিতে হয়েছে তাকে।






মেয়েটির মা জানান, মামলা তুলে নিতে হুমকির পাশাপাশি এলাকাবাসীর কটূকথায় টিকতে পারছেন না তিনি। উপায় না দেখে মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ করে এক স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। তবে আসামি সোহাগ বলছেন, আপসে রাজি না হলে এলাকা ছাড়া করা হবে মেয়েটির মাকে।






আসামি সোহাগের বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে না চাইছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, জনতা হাউজিংয়ের একটি  কক্ষে মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা এলাকার সবাই জানে।






ধর্ষিতা পরিবারের এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান দায়সারা জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষিতা শিশুর মামাতো ভাই সোহেল মামলার প্রধান সাক্ষী। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতিবেদন এখনও হাতে পাইনি। তাই আসামি আটক করা সম্ভব হয়নি।’






মামলা তুলে নিয়ে আপস করতে আসামিদের চাপ আর হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা মাতউর বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিগ্গির আসমিদের আটক করা হবে।’






(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস/ডব্লিউবি)