logo ২১ এপ্রিল ২০২৫
সিটিসেলকে ৪৭৭ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৯ আগস্ট, ২০১৬ ১১:৪৫:০৪
image



দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর দুই তৃতীয়াংশ দিতে হবে এক মাসের মধ্যে। বাকি টাকা দিতে হবে পরের এক মাসের মধ্যে।






সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদেশে এই পাওনার পাশাপাশি গত ১৭ আগস্ট থেকে প্রতি দিন ১৮ লাখ টাকা করে পাওনা অবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশও দেয়া হয়।






গত ২২ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি আপিল করে। এর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেয়।






আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস এবং খন্দকার রেজা ই রাকিব। জনাব রাকিব জানান, আদেশ মেনে না চলছে বিটিআরসি সিটিসেলের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে।






শুনানিতে সিটিসেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।






২০১২ সালে ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নবায়ন করলেও লাইসেন্স শর্ত অনুযায়ী তরঙ্গ নবায়ন ফির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় কিস্তি এখনো পরিশোধ করেনি সিটিসেল। এ খাতে ২২৯ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বিটিআরসির, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ পাওনা ১০ কোটি টাকা।









এছাড়া  বার্ষিক তরঙ্গ ফি ( ২০১৩ থেকে ২০১৬) ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ( ২০১৪ থেকে ২০১৬) ২৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ( ২০১১ থেকে ২০১৬) ৮ কোটি ৯২ কোটি টাকা এবং প্রযোজ্য ভ্যাট বাবদ ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি ১৩৫ কোটি টাকা মিলে সর্বমোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বিটিআরসির।






১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। তবে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে। যাত্রার সময় এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মুঠোফোন অপারেটর। প্রথম থেকেই সিটিসেল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) মোবাইল অপারেটর হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই ক্রমাগত লোকসান গুনছে সিটিসেল। বর্তমানে এই কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান মালিকানাধীন প্যাসিফিক মোটরস। সিটিসেলের সবেচেয়ে বেশি ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসেফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হাতে। এছাড়া ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।






(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/ডব্লিউবি)