জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পরীক্ষার সময় আকস্মিকভাবে কমিয়ে দেয়ায় আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা ও আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব। তিনি মনে করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত তীরে এসে তরী ডোবানোর শামিল।
অবিলম্বে তিনি আগের সময়সূচি বহাল রাখার দরি জানান।
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয়সমূহ উল্লেখ করেন।
রকিব বলেন, অতীতে অনার্স পরীক্ষার ১০০ নম্বরের জন্য ৪ ঘন্টা সময় বরাদ্দ ছিল। ওই সময় ২০০৯-১০ সেশন’র আগ পর্যন্ত কোন ইনকোর্স ছিল না।
সেই সময় থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রেডিং সিস্টেম চালু করে এবং লিখিত ৮০ নম্বরের সঙ্গে ইনকোর্সের ২০ নম্বর যোগ করে। ওই ৮০ নম্বরের জন্যও তখন ৪ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ ছিল।
রকিব বলেন, সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সর্বশেষ সভায় পরীক্ষার সময় ৪ ঘন্টা থেকে কমিয়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টা করা হয়। এতে করে ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময়ের জন্য মোটেও মানসিকভাবে প্রস্তুত না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের উপর এক রকম বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তি দেখিয়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রকিব আরো বলেন, সাড়ে ৩ ঘণ্টার সময়টি যদি ২০০৯-১০ সেশন থেকেই করা হতো, তাহলে শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই সেইভাবে প্রস্তুতি নিতে পারত। এখন এ নিয়ে তাদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা তৈরি হতো না। এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।