‘আয়কর জনকল্যাণে ব্যবহার না হলে আহরণের যৌক্তিকতা নেই’
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:১২:৪৮
‘আয়কর জনকল্যাণে ব্যবহার না হলে আহরণের যৌক্তিকতা নেই’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
আয়করকে জাতীয় সঞ্চয়ের অংশ উল্লেখ করে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের জাতীয় সঞ্চয় যাদের কাছ থেকে আহরণ করা হয় যদি তাদের কল্যাণে অধিকতর নিপুণতার সঙ্গে এই সঞ্চয় ব্যবহার না করতে পারি তবে তা আহরণের নৈতিক যৌক্তিকতা নাই।’
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব ভবনের সম্মেলনকক্ষে ‘অডিট ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন’ শীষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
দেশের অর্থনৈতিক কমকাণ্ড সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়কর, কাস্টামস ও ভ্যাটের দপ্তরসমূহের অডিট আপত্তির সংখ্যাও বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অডিট ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পারস্পারিক অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়ের পথ সুগম করতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই কর্মশালার আয়োজন করে।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘এই ধরনের কর্মশালা আয়োজন অত্যন্ত ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর মাধ্যমে উত্থাপিত অডিট আপত্তিসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। রাজস্ব সংগ্রহের কাজে গতিশীলতা আসবে। পাশাপাশি অহেতুক অডিট আপত্তি পরিহার করে সৃষ্টি হবে করবান্ধব পরিবেশ।’
রাষ্ট্রীয় ঋণের ব্যাপারে মহীউদ্দীন খান বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে রাষ্ট্র বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা আছে, এর কোনো লাভ আমরা পাই না। অপরদিকে ঋণ নিলে এর সুদে-আসলে দিতে হয়। এজন্য আমাদের যে অর্থ জমা পড়ে আছে সেখান থেকে ব্যয় করার ব্যাপারে নজর দিতে হবে। আর এর মাধ্যমে দেশের একটি বিশাল দায়যুক্ত ব্যয়ের হাত থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়নের অক্সিজেন হলো রাজস্ব। উন্নয়নের যে অভিযাত্রা চলছে, সে লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি। অডিট বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একে অপরের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ।’
রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২১ ও ২০১৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়নের অক্সিজেন আহরণ সঠিকভাবে ও সুচারুরূপে করে যাচ্ছি। জনগণ রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য রাজস্ব প্রদান করেন। তাদের প্রদেয় রাজস্ব যেন সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে জমা পড়ে এর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অডিট বিভাগ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে।’
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিনিয়ির) আবুল ফয়েজ মো. আবিদ, জাতীয় রাজস্ব বোডের প্রথম সচিব (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) ড. আবু নূর রাশেদ আহম্মেদ, স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেন খন্দকার প্রমুখ।