ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির সম্প্রসারণ ও অনলাইন শপিং সহজীকরণের লক্ষে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন মাস্টারকার্ড সার্ভিস চালু করেছে নিউজিল্যান্ডভিত্তিক অনলাইন পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার- Q-Card। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর সিটি শাখা অফিসের সমন্বয়ে ঢাকা ফ্যাসিলিটি থেকে গ্রাহকদের মাঝে এই নতুন মাস্টারকার্ড সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। এই মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা, গুগল প্লেসহ অন্যান্য গ্লোবাল অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটা করা; বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ও গুগলে পেইড বিজ্ঞাপন প্রচার; GRE, GMAT, TOELF ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান; ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের পেমেন্ট প্রসেসিং; হোটেল বুকিং, গাড়ি ভাড়া ও প্লেনের টিকেট কাটা ইত্যাদি লেনদেন করতে পারবেন। এই মাস্টারকার্ড সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে Q-Card এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার ডিজিটাল পেমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশপথ উন্মুক্ত হতে চলেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বছর তিনেক আগে ওয়েলিংটনের একমাত্র অফিস নিয়ে যাত্রা শুরু করা Q-Card, অতি অল্প সময়ের মাঝে গ্লোবাল অনালাইন পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। তাছাড়া Q-Card বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে একাত্ম হয়ে প্রায়ই নানা ধরনের আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চালু হলো এই নতুন ধরনের মাস্টারকার্ড।
Q-Card এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক ম্যানেজার ডব্লিউ. জি. অসবর্ন বলেন, এটি হতে চলেছে এশিয়া অঞ্চলে পরিচালিত সব অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট এবং এদের ক্রেতাদের আমাদের ব্যবসায়িক আওতায় আনার বিশেষ পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো এশিয়ান মার্কেটে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট রয়েছি। অনলাইন পেমেন্ট প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ক্লায়েন্টদের জন্য সম্পূর্ণ পেমেন্ট সমাধান প্রদানের লক্ষে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সংস্থার সাথে আমরা যৌথ কার্যক্রমে জড়িত হচ্ছি।’
বাংলাদেশি গ্রাহকদের মাস্টারকার্ড সার্ভিসের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে Q-Card, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করল এবং সেই সাথে অনলাইনে পেমেন্ট নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি গ্রাহক, মার্কেটার এবং ডেভেলপারদের সাথে Q-Card এর গ্লোবাল টিমের সমন্বয় বৃদ্ধি পাবে। কোম্পানির কর্মকর্তারা আশা করছেন সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিভাবান তরুণদের মাঝ থেকে উঠে আসা দক্ষ ও কর্মঠ ব্যক্তিরা তাদের সাথে যোগদান করবে।