সতর্কভাবে রান্না করলে এবং বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে গ্যাসের অপচয় যেমন কমে, তেমনি গ্যাস লিকেজ হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে। এতে গ্রাহকদের মূল্যবান টাকার অপচয়ও রোধ করা যায়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেজে গ্যাস সাশ্রয়ের এমন বেশ কিছু উপায় দেয়া আছে।
মন্ত্রণালয়ের পেজে বলা আছে, ‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজে গ্যাসের ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে রান্নার সময়ে সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যয় হয়। যেসব বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, সেসব বাড়িতে গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহার সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই সকলের উচিৎ গ্যাস ব্যবহারে আরও একটু বেশি সচেতন ও সাশ্রয়ী হওয়া। অনেকেই মনে করতে পারেন, গ্যাসের সাশ্রয় আবার কীভাবে সম্ভব! কিন্তু আপনার দৈনন্দিন কাজগুলোর মধ্যেই অল্প অল্প করে গ্যাস সাশ্রয় সম্ভব।’
গ্যাস সাশ্রয়ের কিছু সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ টিপস-
রান্না শেষে চুলা বন্ধ করে রাখতে হবে।
স্টিলের পাত্রে খুব দ্রুত তাপ ছড়ায়, তাই রান্নার জন্য স্টিলের পাত্র ব্যবহার করা ভাল।
রান্নায় ব্যবহার হবে, এমন সব কিছু আগে থেকে গুছিয়ে রান্না শুরু করলে গ্যাসের খরচ কিছুটা কম হবে।
রুটিন করে গ্যাস পাইপের ছিদ্র পরীক্ষা করতে হবে, অন্যথায় গ্যাস লিক করতে পারবে।
পাত্রের পানি শুকিয়ে রান্না শুরু করলে গ্যাসের খরচ কমবে।
রান্নার সময় ঢাকনা ব্যবহার করলে তাপ ভেতরে থাকবে এবং খাবার জলদি সেদ্ধ হবে।
প্রেসার কুকারে রান্না জলদি হয়, ফলে গ্যাস বাঁচবে।
খাবার সেদ্ধ করতে পরিমিত পানি দিতে হবে যাতে বাড়তি পানি শুকাতে গ্যাসের অপচয় না হয়।
ফ্রিজারের খাবার বরফ ছাড়িয়ে রান্না করলে রান্না তাড়াতাড়ি হবে।
সম্পূর্ন আগুনকে ঢেকে রাখবে এমন সাইজের হাঁড়ি ব্যবহার করতে হবে।
প্যানের উপরের আবরণ চকচকে রাখলে বেশি সময় পর্যন্ত তাপ ধরে রাখতে পারে।
খাবার বলকানো শুরু করলে আগুনের আঁচ কমিয়ে দিতে হবে।
ফেইসবুক পেজে বলা হয়, ‘এগুলো খুব সাধারণ কিছু উপায় কিন্তু এই সাধারণ উপায়গুলোই প্রতিদিন অভ্যাস করলে আস্তে আস্তে কমে যাবে গ্যাসের ব্যবহার। তাছাড়া পানি বা খাবার বার বার গরম না করে একবারে গরম করা, চুলার উপরে কাপড় শুকাতে না দেয়া ইত্যাদি। আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে, আমাদের গ্যাস সম্পদ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। তাই আজকের সচেতন ব্যবহার আমাদের আগামীর গ্যাসের যোগান দেবে।’