প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৩:১৯:০৯আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৩:৪০:৩৪
বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে ‘নাজেহাল’ বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
রুবেল ৩ ওভার করে আর নেই। তাসকিনেরও এই অবস্থা। শুরুতে যতটুকু দরকার, তাইজুল ততটুকু দিতে পারছেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের সার্বিক চিত্র কিন্তু এমনই। তাসকিন প্রথম ম্যাচে চার উইকেট পেলেও শুরুতে দলকে ভারি বিপদে ফেলে দেন। রুবেল লোয়ারঅর্ডারদের সামনে শেষ দিকে ভালো করে হাফ ছেঁড়ে বাঁচেন। কিন্তু দুজনের কেউ দ্বিতীয় ম্যাচে সেই হাফটা ছাড়তে পারেননি। রুবেলকে তো বাদই পড়তে হয়েছে। তার বদলে কাকে কীভাবে খেলানে হবে, বাংলাদেশ শিবিরে এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
বাংলাদেশের অনুশীলন দেখে গতকাল মনে হল শফিউলের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ বেশ কিছুক্ষণ তাকে নিয়ে কাজ করেছেন। সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময় তার প্রতি হাথুরুসিংহের মনোযোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। শোনা গেল উইকেট স্লো থাকলে মাশরাফির পেস সঙ্গী হতে পারেন শফিউলও।
যদি তাই হয়, তবে অনেকদিন পর বাংলাদেশ আক্রমণের ধরণ পাল্টাবে। সম্প্রতি পেসারদের কেন্দ্রে রেখে গেমপ্ল্যান করে সাফল্য পেয়েছে হাথুরুবাহিনী। বাংলাদেশ দলের হাবভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে, উইকেটের বিরূপ আচরণের কারণে বাধ্য হয়ে স্পিন দিয়ে আক্রমণ সাজানো হবে।
আট বছর পর দলে ঢোকা স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেলকে কাল নামানো হবে। তাইজুলকেও রেখে দেয়া হতে পারে।
অথচ শুরু থেকে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কিন্তু এমন ছিল না। স্পিনারদের ব্যাপারে দল অতটা সিরিয়াস ছিল না। যার কারণে স্পিন কোচ আনতেও গড়িমসি করা হয়েছে। বিদেশি ভালো কাউকে না পেলেও স্থানীয় কোনো কোচকে দিয়ে কাজ চালানো যেত। বিসিবি সে পথেও হাঁটেনি।
স্পিন কোচ ওয়াহিদুল গোনি সিরিজ শুরুর আগে ঠিক এই শঙ্কাটাই করেছিলেন। এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘যতই পেসারদের কথা বলা হোক, খেলা শুরু হলে স্পিনার লাগবেই। বাংলাদেশের মতো কন্ডিশনে স্পিনার ছাড়া ভালো করা অসম্ভব।’
আপাত চিত্র দেখে মনে হচ্ছে, বর্ষীয়ান এই কোচের কথাই ফলে গেছে। সংশ্লিষ্টরা যা ভেবেছিলেন, হচ্ছে তার উল্টোটা।