গতকাল বিশ্রাম ছিল অধিকাংশ ক্রিকেটারের। যারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেননি শুধুমাত্র তারা এসেছিলেন অনুশীলনে-ইমরুল, নাসির এবং শফিউল। আর বাইরে থেকে মোশাররফ হোসেন রুবেলর জন্য এদিনের অনুশীলন ছিল বাধ্যতামূলক। এই চারজনের কয়েকজনকে তৃতীয় ম্যাচে খেলানো হবে বলেই তাদের অনুশীলনে ডাকা। কারা খেলবেন? সম্ভাব্য এই আলোচনায় ইমরুল, শফিউল, মোশাররফের নাম ভেসে আসলেও নাসির নামের গন্ধ নেই। ইনডোরের নেটে তার ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন দেখেও কিছু আঁচ করা গেল না।
নাসির সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছর নভেম্বরে। সেদিন ২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। ৭ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছিলেন একটি। তার আগের ম্যাচে ৪১ রানের পাশাপাশি দুই উইকেট দখল করেন। একাদশে থাকা সর্বশেষ ১১ ম্যাচের ৫টিতে ব্যাট করারই সুযোগ পাননি। তার আগেই খেলা শেষ করে দেন তার সতীর্থরা। বাকি ছয়টির মধ্যে চারটিতে ত্রিশের উপরে রান। উইকেট মোট ১২টি। চোখজুড়ানো ক্যাচ আছে বেশ কয়েকটি।
নাসির কেন দলে নেই? এই প্রশ্ন বিভিন্ন সময়ে কোচ থেকে শুরু করে নির্বাচকদের সামনে তোলে হলে কম্বিনেশনের দোহাই আসে। মুখস্থ কথার মতো কর্তারা বলেন, ‘কম্বিনেশনের কারণেই দলে নেই নাসির।’ কিন্তু ভেতরের খবর বলছে ভিন্ন কথা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় একদিন ঐচ্ছিক অনুশীলনে না এসে কোচের বাঁকা চোখে পড়ে যান। অভিযোগ, নাসির নাকি বিভিন্ন সময়ে এমন করেছেন।
নাসির নিজেও বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেন। আফগানিস্তান সিরিজের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একবার নিজে থেকেই বলেছিলেন, ‘আমি একদিন অনুশীলনে যাইনি। ওইদিন ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। সে কারণে যদি আমার দোষ হয়, তবে কী বলবো।’
নাসিরের বলার কিছু আসলেই নেই। তার পজিশনে কেউ কেউ খারাপ করেও টিকে যাচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভাগত হোমকে খেলানো হয়েছে, অথচ তাকে বিবেচনা করা হয়নি।