ঢাকা: রাজনীতিতে হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁকে ঘিরে বহু জল্পনাকল্পনা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের। ‘ক্লিন ইমেজের’ অধিকারী জয়ের আগমনে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছে তাঁর দল। তবে বিরোধীদল বিএনপি আগামী নির্বাচনে জয়ে কোনো ধরনের পরাজয় দেখছে না। রাজনীতিতে জয়ের আগমনকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে আসতেই পারেন। তাতে কী হয়েছে? বিএনপি’র জন্য এতে চিন্তার কিছু নেই। জনগণই ঠিক করবে, জয় কতটুকু গ্রহণযোগ্য।’
তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ মনে করেন, সজীব ওয়াজেদ জয় এদেশের মানুষের চোখে এখনও ‘ক্লিন ইমেজের’ অধিকারী। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতার দুই ছেলেকে নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। জনগণের কাছে তারেক রহমানের চেয়ে জয়ের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তাই তারেক রহমানের নেতৃত্ব আর জয়ের নেতৃত্বকে এক পাল্লায় পরিমাপ করা ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছেন। জয়ও চাইছেন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে। তৃণমূলে মানুষের মধ্যে সরকার সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা আছে তা দূর করতে। এজন্য তিনি নির্বাচনের আগে দলীয় প্রচারণার জন্য গ্রামকেই প্রথমে বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা সফর করেছেন। এর আগে মায়ের সঙ্গে রংপুরে এক জনসভায় নৌকায় ভোট চেয়েছেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনৈতিক তৎপরতায় বিএনপি চিন্তিত নয়। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, গত প্রায় পাঁচ বছরে পদ্মাসেতু, শেয়ারবাজার, হলমার্ক, ডেসটিনিসহ বেশ কয়েকটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সরকারের জনপ্রিয়তা বহুগুণ কমেছে। মানুষ এখন পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে । সম্প্রতি পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টানা পরাজয় জনগণের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। তাই জয়কে দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ভরাডুবি ঠেকাতে পারবে না। তাছাড়া রাজনীতিতে জয়ের চেয়ে তারেক রহমানের অবস্থান অনেক শক্ত। বিএনপি মত একটি দলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন তিনি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি অংশ নেবে । তারেক রহমানও তখন দেশে ফিরবেন । তাই নির্বাচনে জয় বড় কোনো ‘ফেক্টর’ হবে না বলে মনে করেন তারা।
দলের চেয়ারপারসন জয়ের রাজনৈতিক সক্রিয়তা নিয়ে বিচলিত না হয়ে তত্ত্বাবয়াক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩ সেপ্টেম্বর/এইচএফ/এআর/ ঘ.)