ঢাকা: সরকারের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বুধবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়।
ন্যূনতম আট হাজার টাকা মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে গাজীপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এসময় বেশ কয়েকটি কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দেয়।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পোশাক শিল্পমালিক ও শ্রমিক ও সরকার পক্ষের বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুশির্দী সাংবাদিকদের জানান, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, আগামীকাল আপনারা কারখানা খোলেন, আপনাদের নিরাপত্তা জন্য বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশ মোতায়ন করা হবে।’
এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পোশাক শিল্পে অস্থিরতা নেই, কিন্তু বিকালে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে মালিকদের নিয়ে দ্রুত জরুরি বৈঠকে বসেন।
সকালের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আনতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বহিরাগত কেউ অস্থিরতা অপচেষ্টা করলে বা ততৎপরতা চালালে তা প্রতিহত করা হবে। এছাড়া আগামী নভেম্বর মাসের শেষে দিকে মজুরি বোর্ড ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পোশাক শিল্পমালিক ও সরকার পক্ষের বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুশির্দী সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ দিন ধরে রাজধানীসহ আশেপাশের ১৬০টি গার্মেন্টস শিল্পে হামলা চালানো হয়েছে। ফলে এগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন শিল্পমালিকরা।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গার্মেন্টস শিল্পের নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদ ও পুজার কথা বিবেচনা করে বন্ধ গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/ ২৫ সেপ্টেম্বর/ এইচএফ/জেডএ/ ১৮.২০ঘ.)