ঢাকা: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি) (ওএসডি) মোল্লা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান সহসাই শেষ হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আরো অনুসন্ধান করবে দুদকের অনুসন্ধান কমিটি।
এরপরই এবিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে। তবে মোল্লা নজরুলের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানে অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক ও প্রধান অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নাসিম আনোয়ার ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোটি টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোল্লা নজরুল ইসলাম ও অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে অভিযোগটির বিষয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মোল্লা নজরুলকে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। এর আগে নজরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলকারী নড়াইলের সাংসদ কবিরুল হক এবং ব্যবসায়ী সৈয়দ আবিদুল ইসলামকেও অনুসন্ধান দল জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত ৯ জুন দুদক কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে ডিসি নজরুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ব্যাংকের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণ করা ঘুষ লেনদেনের চিত্র সংগ্রহ করে অনুসন্ধান টিম। ঘুষ কেলেঙ্কারির এ ঘটনা অনুসন্ধানে দুদকের পরিচালক উইং কামান্ডার মো. তাহিদুল ইসলাম সমন্বয়ক এবং উপপরিচালক মো. নাসিম আনোয়ার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন।
নজরুলের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, গত ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর ডিবির ডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম ব্যবসায়ী আবিদুলকে ধরে এনে নির্যাতন করেন। ৭ এপ্রিল এক কোটি টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন ডিসি নজরুল।
ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসনাত দু’টি বেসরকারি ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে ঘুষের ওই টাকা উত্তোলন করেন। অভিযোগ ওঠার পর ডিসি নজরুলকে তার পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি ডিবির পরিদর্শক আজহার উদ্দিন ও এসআই হাসনাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/ ২৭ সেপ্টেম্বর/ এমএবি/ এইচএফ/ ১২.০০ঘ.)