logo ১৫ মে ২০২৫
নির্বাচন স্থগিতের আহ্বান একহাজার একশ সাংবাদিকের
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০২ জানুয়ারি, ২০১৪ ১৮:৫২:৫৬
image

ঢাকা: ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করার আহবান জানিয়েছেন একহাজার একশ’ সাংবাদিক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের শরীক গুটিকয়েক দল ছাড়া বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোট, সকল পেশাজীবী সংগঠন এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা এ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশ গ্রহণের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে অনঢ় অবস্থানে রয়েছে।



বৃহস্পতিবার একযুক্ত বিবৃতিতে এই আহবান জানান।




ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়- বাংলাদেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। আগামী ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান এই সংকট কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।



এরইমধ্যে ১৫৩টি আসনে ভোট গ্রহণ ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকারি দলের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। বাকী ১৪৭ আসনেও একপ্রকার প্রার্থী বিহীন লোক দেখানে নির্বাচন হচ্ছে। যা কখনোই সবদলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নিবাচনের মতো বৈধতা দাবি করতে পারে না।



ভোটারদের উপস্থিতিবিহীন এই নির্বাচন হলে ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে এবং এতে দেশের গণতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি একদলীয় সরকার কায়েম হবে।



তারা বিবৃতিতে বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি সরকারের একতরফা নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের বিষয়ে বলা হয়েছে। একতরফা নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বার বার উদ্বেগ জানানো হয়েছে।



এরপরও এক তরফা নির্বাচনের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অর্থনীতি, কূটনীতি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য কোনভাবই কাম্য হতে পারে না।  তাই বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছে।



বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন-

রিয়াজউদ্দিন আহমদ, আবুল আসাদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, আমানুল্লাহ কবীর, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই শিকদার, খোন্দকার মনিরুল আলম, আল মুজাহিদী, সাদেক খান, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, মোবায়েদুর রহমান, আবদুল বাতেন, মাহফুজ উল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইলিয়াস খান, মোস্তফা কামাল মজমুদার, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এম এ আজিজ, মুন্শী আবদুল মান্নান, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, আবদুস শহিদ, সরদার ফরিদ আহমেদ, আমিনুল রহমান সরকার, কাজী রওনাক হোসেন, বখতিয়ার রাণা, কাদের গণি চৌধুরী, বদিউল আলম, মাহমুদ শফিক, কেজি মোস্তফা, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নূরুল হুদা, কবি হাসান হাফিজ, নূরুদ্দিন আহমেদ, শান্তা মারিয়া, সাজ্জাদ হোসেন খান, নূরুল আমিন রোকন, সাজ্জাদ কাদির, এম. আবদুল্লাহ, আবু সালেহ, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, সৈয়দ লুৎফুল হক, আমিরুল ইসলাম কাগজী, এরশাদ মজুমদার, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, মোঃ মোদাব্বের হোসেন, হাসনাত করিম পিন্টু, আনওয়ারুল কবীর বুলু, সৈয়দ আলী আসফার, জাহেদ চৌধুরী, মাসুমুর রহমান খলিলী, সালাহ উদ্দিন মোঃ বাবর, আযম মীর, মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, খুরশিদ আলম, সুলতান মাহমুদ বাদল, আকন আবদুল মান্নান, রফিক মোহাম্মদ, এম এ নোমান।



এছাড়া বিবৃতিতে আরো স্বাক্ষর করেন- শরীফ আবদুল গোফরান, সালাউদ্দিন আহমদ বাবর, মীর আহমেদ মীরু, শাহজাহান সাজু, জাহিদুল ইসলাম রণি, এরফানুল হক নাহিদ, খন্দকার আলমগীর, শওকত রেজা, প্রত্যয় চৌধুরী, বাছির জামাল, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ আকরাম, উমর ফারুক আল হাদী, হাসান শরীফ, শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম মানিক, ইমরান আনসারী, হারুণ জামিল, মাঈনুদ্দিন আহমেদ, শাহীন হাসনাত, আবদুস সেলিম, দিদারুল আলম, বসির আহমেদ, একেএম মহসীন, শাহীন রাজা, শামসুদ্দিন হারুন, ওবায়দুর রহমান শাহীন, আবু ইউসুফ, নাসির আল মামুন, আনোয়ার কবির নান্টু, মহসীন আলী রাজু, শামসুল হক হায়দারী, সৈয়দ শাহজাহান, কামার ফরিদ, মহিদুল ইসলাম মিন্টু, মীর্জা সেলিম রেজা, শাহ নেওয়াজ, এস এম এ কাদের, সরদার এম আনিসুর রহমান, মোঃ আনিসুজ্জামান, হাসান আহমেদ মোল্লা, সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, নূর ইসলাম, বদিউল আলম, জিএম আশেক উল্লাহ প্রমুখ।


 


(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/জেডএ.)