সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ছিঁড়লেন যুবলীগ চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৩:১৬:০৭

ঢাকা: দায়িত্ব পালনরত এক ইংরেজী দৈনিকের আলোকচিত্রী সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নিউ এজের ফটো সাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সকাল সোয়া ১১টার দিকে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে যুবলীগের একটি গাড়ি বহর আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় ছবি তোলেন তিনি।
এরপর পল্টন মোড়ে এসে দাঁড়ান তিনি। কিছুক্ষণ পর যুবলীগের ১০/১২ জন কর্মী আলী হোসেনকে জোর করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যান।
আলী হোসেন জানান, সেখানে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার পরিচয়পত্র দেখতে চান যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক নিজেই। এরপর পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে তার সামনেই ভেঙে ফেলেন।
নিউ এজের এ সাংবাদিক আরও জানান, পরিচয়পত্র ভেঙে দেওয়ার পর তার ক্যামেরাও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন যুবলীগ কর্মীরা। অনেক অনুনয় বিনয় করে ক্যামেরাটি রক্ষা করেন তিনি। বিষয়টি তিনি ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের জানিয়েছেন বলেও জানান।
এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘিরে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা। শুধু বাধাই নয়, দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছেন তারা।
সকাল সোয়া ১১টায় পোস্তগোলা ব্রিজের কাছে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার তামিম আহমেদের আটকে পরিচয়পত্র দেখতে চান যুব ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে তার দেহ তল্লাশি করে তারা।
এছাড়া দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলানিউজের প্রতিবেদক রহমত উল্লাহ ও ফটো সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামকে বহনকারী সিএনজি আটক করে লাঠিসোটা নিয়ে হুমকি-ধামকি দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় তারা পরিচয়পত্র দেখেও তাদের সিএনজিতে ১০-১৫ মিনিট রাস্তার পাশে আটকে রাখেন।
অন্যদিকে সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। তবে ওই সাংবাদিকের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/এসকে)