logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
কর্মসূচির আবরণে যে সহিংসতা হচ্ছে তা হৃদয়বিদারক
০৩ জানুয়ারি, ২০১৪ ১১:১৭:৩৯
image


ঢাকা: মাহবুবুর রহমান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ঢাকাটাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে  তিনি কথা বলেছেন সরকারের নিপীড়ন, সংলাপের ব্যর্থতা, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দলীয়করণ ও দুদকের ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে। ঢাকাটাইমসের পক্ষে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ

ঢাকাটাইমস: বিএনপির আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন আছে বলে মনে করা হয়, কিন্তু মাঠে সেই অর্থে সাড়া নেই। কেন?

মাহবুবুর রহমান: আমি এ কথাটি গ্রহণ করতে পারছি না। হ্যাঁ এটা ঠিক, ঢাকাতে ওই অর্থে হয়তো কিছু হচ্ছে না। তাই বলে শুধু ঢাকা দিয়ে বিবেচনা করলে তো আর সঠিক চিত্র বোঝা যাবে না। আপনি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা, গ্রামের দিকে তাকান। সেখানে হরতাল, অবরোধের মতো সবধরনের কর্মসূচিই চলছে। ঢাকা একটি আন্তর্জাতিক নগরী। এখানে সব শ্রেণীর কমিউনিটি আছে। ব্যবসায়ী, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠনসহ অনেকেই আছে। ঢাকায় প্রায় তিন কোটি লোক বাস করে। তাই এখানে জেলা শহরের মতো অবরোধ-হরতাল হবে এটা তো ধরে নেয়া ঠিক হবে না। তার পরও ১৮ দল কর্মসূচি কমবেশি পালন করছে।

ঢাকাটাইমস: কিন্তু ঢাকার আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে বিএনপি চেয়ারপার্সন দলের ৮ জন নেতাকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাদের দেখা যাচ্ছে না কেন?

মাহবুবুর রহমান: সরকার কোনো ভাবেই বিরোধী দলের আন্দোলনকে দানা বাঁধতে দিচ্ছে না। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে অনেক নিপীড়ন করছে। বাসা থেকে গভীর রাতে নেতাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের নামে মামলা দিচ্ছে। দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে লোকজনদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এসবের কারণেই কৌশলগতভাবে অনেককে বাইরে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া আটজন দায়িত্বপ্রাপ্তের মধ্যে অনেকে কারান্তরীণ আছেন। সরকার ওদের আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করছে।

ঢাকাটাইমস: এর আগেও আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিরোধী দলের আন্দোলনও একইভাবে দমন করেছেন ...

মাহবুবুর রহমান: আমরা এভাবে কখনো বিরোধী দলের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করিনি। এখন যেভাবে পুলিশ দিয়ে সরকার বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে অতীতে এমনটি হয়নি। তাছাড়া পুলিশও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। পুলিশেও দলীয়করণ করা হয়েছে। পুলিশকে সেভাবে সাজানো হয়েছে। নিয়োগ-পদোন্নতিও সেভাবে হচ্ছে। পুলিশ তাদের নীতি থেকে সরে এসেছে। পুলিশ যদি নীতিতে অটল থাকতো তবে গণতন্ত্রের মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নিতে পারতো না। এখন সরকার সবখানে নিয়ন্ত্রণারোপ করছে। গণমাধ্যম ও টি-টকশোও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। একইভাবে জনপ্রশাসনকেও দলীয়করণ করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস: তাহলে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারলে পুলিশ ও জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজাবেন?

মাহবুবুর রহমান: নিশ্চয়ই বিষয়টিকে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে আনবো। যেখানে এসব বিষয় বলা থাকবে। আমি ব্যক্তিগত ও দলের পক্ষ থেকে বলতে চাই, নৈতিকতার মানদ-ে যেটা অন্যায় সেটা রাজনীতির ক্ষেত্রেও অন্যায়। দেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলছে সেটা ঘুণে ধরা একটা তিক্ত, রুগ্ন ও পচে যাওয়া সংস্কৃতি। এখানে দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। নীতিহীন যে কাজ তাই এখন রাজনীতি হয়ে উঠেছে। এখান থেকে সরে আসতে হবে। আমরা ক্ষমতায় এলে জনগণের কল্যাণে জাতির স্বার্থে নীতির প্রশ্নে আপস করবো না। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো। এজন্য প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিয়ে আসবো। এখানে কোনো দুর্নীতি থাকতে পারবে না।

ঢাকাটাইমস: দুর্নীতি দমনের জন্য দুদক কাজ করছে। আপনারা বলছেন দুদকের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে ...

মাহবুবুর রহমান: সরকার পুরোপুরি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সম্পদ গত পাঁচ বছরে কয়েকশ’ গুণ বেড়েছে। এখানেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দেশে কী পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে। ক্ষমতায় গেলে দুদককে সত্যিকারভাবেই স্বাধীন ও শক্তিশালী করবো। নতুন শক্তিশালী দন্ত ও নখর লাগিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখা হবে।

ঢাকাটাইমস: কিন্তু অতীতে আপনারা ক্ষমতায় থাকতেও তো দেশে দুর্নীতি হয়েছে ...

মাহবুবুর রহমান: গত পাঁচ বছরে যা হয়েছে তা অতীতে কখনই হয়নি। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছে। কিন্তু আমাদের সময় মন্ত্রী-এমপিরা এত লাগামহীনভাবে দুর্নীতি করেনি। কথায় আছে মাছের পচন হয় মাথায়। তাই আমরা ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে যে যত উঁচু পর্যায়ে আছে তাকে তত সৎ থাকতে হবে।

ঢাকাটাইমস: এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। জামায়াতে ইসলামী একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ করেছে। কিন্তু তারপরও জামায়াতের সঙ্গ আপনারা ছাড়ছেন না কেন?

মাহবুবুর রহমান: জামায়াত ইসলামী একটি দল। সম্প্রতি অবশ্য তাদের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন পাওয়ার পর থেকেই জামায়াত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ছিল। তারা নির্বাচন করেছে। তাদের গঠনতন্ত্র আছে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির যে সংযোগ সেটা একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে। এখানে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিএনপির স্থপতিও স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক ছিলেন। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করে।

ঢাকাটাইমস: মুক্তিযোদ্ধা আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোনো সংগঠন একসঙ্গে থাকতে পারে?

মাহবুবুর রহমান: জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো আদর্শিক সম্পর্ক নেই। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক। তাই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিকে মেশানোর সুযোগ নেই।

ঢাকাটাইমস: তাহলে কি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই জামায়াতকে জোটে রেখেছেন?

মাহবুবুর রহমান: ১৮ দলে জামায়াত ছাড়াও অনেক দল আছে। অতীতে যাদের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরী ছিল, আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গেও জোট করেছে। এক্ষেত্রে আপনি সাদৃশ্য টানতে চাইলে টানতে পারেন।

ঢাকাটাইমস: বিরোধী দলের আন্দোলনে দেশজুড়ে নজিরবিহীন সহিংসতা চলছে। এর দায় কি বিএনপি এড়াতে পারবে?

মাহবুবুর রহমান: আসলে এই কর্মসূচিগুলোর আবরণে যে সহিংসতা হচ্ছে সেটা অবর্ণনীয় ও হৃদয়বিদারক। আমার ভাষার যত তীব্রতা তা দিয়ে আমি এসব কর্মকা-ের প্রতিবাদ জানাই। এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা তো মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করছি। আমি মনে করি যারা এসব হত্যাকা- চালাচ্ছে তারাও একইভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের কাতারেই পড়েন। কিন্তু গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যে আন্দোলন করছি তা শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। কিছুদিন আগেও বিএনপি চেয়ারপার্সন নেতাকর্মীদের বলেছেন, কোনোভাবেই যেন আমাদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়। কারণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিভিন্ন মহল, এজেন্ট নিজেদের এজেন্ডাকে এই আন্দোলনের সুযোগে বাস্তবায়নের সুযোগ নিতে পারে। এসব অশুভ গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পানি ঘোলা করে। পরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে।

ঢাকাটাইমস: ইতিপূর্বে নাশকতা চালানোর পর শিবির প্রেসনোট দিয়ে দায় স্বীকার করেছে। ঘোষণা দিয়ে সীতাকু-ে সহিংসতা চালিয়েছে ...

মাহবুবুর রহমান: যারা এসব করছে তারা দুষ্টু। সরকার তাদের ধরুক। সরকারের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি মনে করি সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী ১৮ দলের নেতাদের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করছে। যারা আসল অপরাধী তাদের ধরতে পারছে না। ভিডিও ক্যামেরা আছে, ছবি আছে, আলামত শনাক্ত করে সরকার এদের ধরে না কেন? অপরাধী যেই হোক আমরা তাদের বিচার চাই। এটা আমাদের দাবি। এর দায় তো ১৮ দল নিতে পারে না।

ঢাকাটাইমস: সর্বশেষ জাতিসংঘের বিশেষ দূত এসে দুই দলকে এক টেবিলে বসিয়েছে। তারপরও কেন সমাধান আসছে না?

মাহবুবুর রহমান: আপনি ঠিক বলেছেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বও উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের মহাসচিব দুই নেত্রীকে এ ব্যাপারে ফোন করেছেন। বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে পাঠিয়েছেন। তিনি এসে দুই দলের সঙ্গে বিরতহীনভাবে বৈঠক করেছেন। দুই দলের মহাসচিবকে সংলাপে বসিয়ে দিয়ে গেছেন। কিন্তু ফলপ্রসূ কোনো বৈঠক আজও হয়নি। বৈঠক হয়েছে কিন্তু সমঝোতা হয়নি। সংলাপকে বলে গণতন্ত্রের ভাষা। আমরা সেই ভাষায় কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার তো সেই সুযোগ দিল না।

ঢাকাটাইমস: প্রধানমন্ত্রী তো বিরোধীদলীয় নেতাকে আলোচনার জন্য ফোন করেছিলেন। তখন আপনারা যাননি কেন?

মাহবুবুর রহমান: সরকার আমাদের আলোচনার জন্য ডেকেছিল। সেটা একপেশে আলোচনার জন্য। আসলে সরকার নির্বাচন থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখতেই সময়ক্ষেপণ ও আলোচনার নাটক সাজিয়েছিল। সময়ের ব্যবধানে ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের যে ছক সরকার এঁকেছিল তাতেই দৃঢ় থাকল, যা দেশবাসী শিগগিরই দেখবেন। আমাদের বলা হলো এডেন্ডা থেকে একচুলও নড়া যাবে না। তাছাড়া পরে তো প্রধানমন্ত্রী কোনো ফোন করেননি। কিন্তু সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল।

ঢাকাটাইমস: বিএনপি কি নিজেদের অবস্থান থেকে নড়েছে?

মাহবুবুর রহমান: বিএনপি তাদের অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে। বিএনপি চেয়েছিল সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীর পুনঃস্থাপন। একেবারে দাঁড়ি-কমাসহ তা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেখান থেকে সরে গেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, সংলাপ হওয়ার জন্য দেয়া-নেয়ার ব্যাপার আছে। আমি মনে করি গণতন্ত্রে অনড়তার কোনোর জায়গা নেই। সরে আসতে হবে। ছাড় দিতে হবে। অন্যের কথা শুনতে হবে। জাতির স্বার্থে জনগণের কল্যাণে প্রহসনের এ নির্বাচন থেকে সরে আসতে হবে। আমি মনে করি এখনও আলোচনার সুযোগ আছে।

ঢাকাটাইমস: সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়ার জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। বিএনপি সেখানেও যোগ দেয়নি ...

মাহবুবুর রহমান: কোনো দলের অধীনে নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু হবে না এটা কিন্তু সকলেই বুঝে গেছে। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত অসহিষ্ণু। সাংঘষিক রাজনীতি। একদল আরেক দলকে সহ্য করতে পারছে না। দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তারা একজন আরেকজনের চোখের দিকে তাকাতে পারে না। কথা তো বলেই না। তাই এখানে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

ঢাকাটাইমস: সরকার তো বলছে দশম নয়, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

মাহবুবুর রহমান: একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। আমরা বর্তমান নিয়ে কথা বলবো। ভবিষ্যতে কী আছে, না আছে তা পরে দেখা যাবে। আগে আমাকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধান করতে হবে। আমি মনে করি এখনও সময় আছে নির্বাচন পেছানোর।

ঢাকাটাইমস: কিন্তু ইসি তো বলছেন নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই ...

মাহবুবুর রহমান: নির্বাচন কমিশন চাইলে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে পারে। এতে নির্বাচন করার জন্য তিন মাসের মতো সময় পাওয়া যাবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলা হয় সুপার প্রাইম মিনিস্টার। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন সাহেবকে বলবো আপনি সুপার প্রাইম মিনিস্টারের মতোই আচরণ করুন। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন টিএম সেশান। আমি মনে করি তিনিও যেন তার মতোই ভাবমূর্তি ধারণ ও ভূমিকা পালন করেন।

ঢাকাটাইমস: যদি ৫ জানুয়ারি ভোট হয়ে যায় তখন বিএনপি কী করবে?

মাহবুবুর রহমান: সংবিধান সংশোধনের আগে তারা কোনো জনগণের মত নেয়নি। নিজের মতো করে সংবিধান তৈরি করে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যেটা এখনও চলছে। নির্বাচন হওয়ার আগেই ১৫৪টি আসনের প্রার্থীরা অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবেই নির্বাচিত হয়ে গেল। কেউ এলাকায় গেল না। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হলো। মানুষ ভোটাধিকার চর্চা করতে চায়। কিন্তু সুযোগ পায়নি। এটা কোনো নির্বাচন না। এটা নির্বাচন নিয়ে প্রহসন। এই নির্বাচন হলে তা কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বিএনপি দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

ঢাকাটাইমস: অনেক সময় শোনা যায়, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সঙ্গে বিএনপির ভেতরে ভেতরে সমঝোতা হচ্ছে। আসলে ব্যাপারটি কী?

মাহবুবুর রহমান: এ প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। তবে আমি জানি বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান অসুস্থ। বিদেশে তার চিকিৎসা চলছে। তিনি চিকিৎসা শেষ হলে দেশে ফিরে আসবেন।

(ঢাকাটাইমস/০৩জানুয়ারি/এআর/ ঘ.)