ঢাকা: পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলীসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। শাস্তির আওতায় আনা অন্য পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মো.শফিক, লক্ষ্মীপুরের জেলার রায়পুর থানার  সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো.মোহসিন, কনস্টেবল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল আলম ও পিযুস চ পাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার রাতে এই ছয় পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ওয়াজেদ আলীকে ক্লোজড করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো.আতাউর রহমানকে ওসি’র  দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 সিলেট মহানগন পুলিশের ট্রাফিক সাজেন্ট শফিককে সোবহানীঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পিকআপ ভ্যান চালকের কাছে পাঁচশ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ রয়েছে। রাত আটটার দিকে নগরীর আম্বরখানা থেকে মো. খলিল মিয়া একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ঠ-১১-১১৭৩) নিয়ে সোবহানীঘাট যাওয়ার পথে সার্জেন্ট শফিক তার কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

চালক ২০০ টাকা দিলে তিনি চালককে সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে মারধর করেন। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিবাদে সোবহানীঘাট এলাকায় আধঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।  

 এদিকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর (এলইজিডি) কক্ষ থেকে টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ রয়েছে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মোহসিন, কনস্টেবল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল আলম ও পিযুস চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে।

জেলা পুলিশ জানায়, টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের সময় কর্তব্যরত পুলিশের চার সদস্য নিশ্চুপ ছিলেন। ঘটনা প্রতিরোধ ও জড়িতদের আটক না করায় চার পুলিশকে রায়পুর থানা থেকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

রায়পুরা থানা পুলিশের বরাত দিয়ে পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, ভাঙচুর করা টেন্ডার বাক্সটি উদ্ধার করে আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তবে ছিনিয়ে নেয়া বাক্সে জমা দেয়া দরপত্রগুলো উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তরের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এএ/ এআর/ ঘ.)