logo ০৪ মে ২০২৫
পাবলিক ভার্সিটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী কমছে, বাড়ছে প্রাইভেটে
মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:১০:৫৮
image


ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য বিদেশিরা এক সময় মুখিয়ে থাকতেন। ভর্তি হতেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী। আগ্রহ কমতে কমতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। গত ১৩ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৪১ জন বিদেশি ছাত্র। গত সেশনে মাস্টার্স কোর্সে চারজন ভর্তি হলেও চলতি বছর একজন বিদেশি শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের এই অনাগ্রহের কারণ হিসাবে ভর্তিতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভাষাগত সমস্যাকে দায়ি করেছেন। তবে অনেক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের মতো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নেই।

ছাত্রাবাস অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ফার্মেসি অনুষদের। গত ১৩ বছরের তথ্য-উপাত্ত ঘেটে দেখা গেছে এসব বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই সার্কভুক্ত দেশের। তবে ফিলিস্তিন ও ব্রিটেনের শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হন একজন। ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষে কোনো বিদেশি ভর্তি হননি। ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন একজন। ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন সাতজন এবং এদের মধ্যে তিনজনই নেপালের (ফার্মাসি বিভাগ)। ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন সাতজন। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে সাতজন, যাঁদের পাঁচজনই ফার্মাসি বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে ফার্মাসি বিভাগে দুজন ভর্তি হন। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ছয়জন, দুজন পিএইচডি কোর্সে। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে দুজন, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে সাংবাদিকতা বিভাগে মাস্টার্স কোর্সে দুজন, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে দুজন এবং ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে চারজন ভর্তি হন।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য রয়েছে স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল। এ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং অধিভুক্ত কলেজগুলোর বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থী কম থাকায় সিন্ডিকেটের অনুমতিক্রমে এখন ঢাবির ব্যাচেলর শিক্ষকরাও এই হলে থাকছেন। তবে শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই আবার সপরিবারে থাকছেন। বলতে গেলে এটি এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। হলটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন ১৩৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ২৮ জন, বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অধিভুক্ত কলেজে অধ্যয়নরত। অধিভুক্ত কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। আন্তর্জাতিক হলের কক্ষের সংখ্যা ১২৫। প্রায় অর্ধেক কক্ষ শিক্ষকদের দখলে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিদ্যাপীঠে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ১ জন। এমন অবস্থা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরই। দেশের ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিদেশি শিক্ষার্থী নেই।

এদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে বলে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে। ২০১২ সালের ইউজিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৪২ জন।  

ইউজিসির প্রকাশিত ৩৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ২০১২ সালে ৫২৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। যদিও ২০১১ সালের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে। ২০১১ সালে ছিল ২১০ জন। সে হিসেবে ২০১২ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১৫ জনে। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৫৯ জন, ২০০৯ সালে ছিল ৩৯০ জন, ২০০৮ সালে ছিল ২২১ জন, ২০০৭ সালে ২০৭ জন, ২০০৬ সালে ছিল ১৭১ জন।

বর্তমানে দেশে ৭২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ২৮টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১২ সালে ১ হাজার ৬৪২ জন, ২০১১ সালে ছিল ১হাজার ৬৫১ জন, ২০১০ সালে ছিল ১ হাজার ৫৫৭ জন, ২০০৯ সালে ছিল ১ হাজার ১৯৯ জন, ২০০৮ সালে ৮১২ জন, ২০০৭ সালে ৫৯৬ জন ও ২০০৬ সালে ছিল ৪৯৮ জন।

গত বছরের তুলনায় আলোচ্য বছরে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সামান্য হ্রাস পেয়েছে। ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার জন্য এদেশে আসা শিক্ষার্থীরা প্রধানত ৩৪টি দেশ থেকে আসছে। দেশগুলো হলো : কানাডা, চীন, জর্ডান, অস্ট্রেলিয়া, মালি, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ফিলিস্তান, আরব আমিরাত, আমেরিকা, কোরিয়া, ইরাক, ইরান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, উগান্ডা, জাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, বৃটেন, ভিয়েতনাম, জাপান ও মালয়েশিয়া। সর্বাধিক বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

এ তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে ১৪৩ জন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৬৫ জন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ৬১ জন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ জন ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৬৫ জন। উপরে উল্লেখিত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বিদেশি ছাত্র সংখ্যা হলো : ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে ৯ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ২১ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জন, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ১৬ জন, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি ১৪ জন, স্টেট ইউনিভার্সিটি ১২ জন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ৬ জন, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সে ৫ জন, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে ৫ জন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৫ জন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ৪ জন, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ৪ জন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৩ জন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ৩ জন, উত্তরা ইউনিভার্সিটি ৩ জন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি দু’জন, শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি দু’জন, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি দু’জন, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ১ জন, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভে ১ জন।

পাবলিকের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি কেন জানতে চাইলে নেপালী শিক্ষার্থী রনজিত মল্লিক ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা এ জন্য দায়ী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতা বেশি আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতা নেই। এসব নেতিবাচক কর্মকা- বর্তমানে বেশি হওয়ার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী দিন দিন কমছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'আগে বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বেশি পড়তে আসত। এটি সত্তরের দশকে বেশি আসত। কিন্তু এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না আসার কারণ- নিরাপত্তা ও সেশন জটের শঙ্কা। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ভাষাগত জটিলতাও কারণ হতে পারে।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী না আসার কারণ হচ্ছে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান। আগে থেকেই বলে আসছি, উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান করার জন্য। রাজনৈতিক কারণেও শিক্ষার্থীরা আসছে না।'

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক লুৎফর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিন দিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কারণ আমাদের শিক্ষার মান, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ এবং বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ফলে বিদেশি শিক্ষার্থী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঢাবি’র আইইআর-এর শিক্ষক আবদুস সালাম ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হিংসাত্মক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি ও আধুনিক বিষয়ের অভাব এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে দিন দিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর নাসরিন আহমদ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনেক সহজ, তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় পাঠদান করানো হয় এবং সঠিকভাবে শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষা না নেয়ার কারণে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকছে।

তবে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তেমনভাবে নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারছে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে। একই সাথে শিক্ষার মান ও জটিল ভর্তি প্রক্রিয়ার কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী কম ভর্তি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তাদের পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সেমিনার ও বিদেশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ক্রেডিট ট্রান্সফার চুক্তির কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী বলেন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বাড়ছে মূলত দু’টি কারণে। প্রথমত, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করানো হয় যেটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে করানো হয় না। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিকভাবে চাহিদা আছে সেসব সাবজেক্ট পড়ানো হয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষামন্ত্রণালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি বৃত্তির ব্যবস্থা করলে এবং এই দেশে লেখা-পড়ার জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে আরো বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী আসবে।

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/এমএম/ এআর/ ঘ.)