logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছা নেই -সুজানা
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ১১:১০:১১
image


ঢাকা: বছর দেড়েকের জন্য মিডিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত সময় কেটেছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরাতে পারেননি। কিন্তু দীর্ঘ বিরতির পর সুমাইয়া জাফর সুজানা আবার ফিরেছেন মিডিয়ায়। কাজ নিয়ে এখন বেশ ব্যস্ত তিনি। ভ্যালেন্টাইন ডে-তে একটি নাটকেও দেখা যাবে তাকে। ওই নাটকে কণ্ঠ দিতেই যাচ্ছিলেন। এর ফাঁকে কথা বলেছেন ঢাকাটাইমসের  সঙ্গে।

ঢাকাটাইমস: মিডিয়াতে অনেক দিন দেখা যায়নি আপনাকে

সুজানা: মিডিয়া থেকে অনেক দিন দূরে ছিলাম বাবার কারণে। প্রায় দেড় বছর বলতে গেলে কোনো কাজই করিনি। বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর রোজার মাস ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়েছি। এমনিতে আমি রোজার মাসে কোনো কাজ করি না। তারপর আবার হৃদয় খান ও ইমরানের মিউজিক ভিডিও ও নাটকে কাজ শুরু করেছিলাম। দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। দেশে ফিরে আবার শুরু করেছি।





ঢাকাটাইমস: ইদানীং দেশের বাইরেই বেশি থাকছেন ...

সুজানা: অনেকে মনে করেন আমি বাইরে থাকি। আসলে তা না। আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম। গত বছর ব্যাংকক, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েছিলাম। দুই আড়াই মাস ব্যস্ত ছিলাম। এখন আবার কাজ শুরু করেছি।

ঢাকাটাইমস: কি কি কাজ করছেন?

সুজানা: অনেক দিন কাজ করিনি। তাই এখন একটু ব্যস্ততা বেশি। ২১ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন ডে-কে সামনে রেখে ম্যাগাজিন, বিলবোর্ডের কাজ করছি। আর গত বছর যখন অস্ট্রেলিয়াতে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন একটি নাটকে কাজ করেছি। অস্ট্রেলিয়াতেই নাটকটির শুটিং হয়েছে।

ঢাকাটাইমস: মডেলিং, বিজ্ঞাপন, নাটক সবমিলিয়ে অনেক কাজ করেছেন। এর মধ্যে ভালো সাড়া মিলেছে কোনগুলোতে?

সুজানা: বেশিরভাগ কাজেই ভালো সাড়া পেয়েছি। মূলত বিজ্ঞাপনেই বেশি কাজ করেছি। নাটক খুব বেশি করিনি। সর্বশেষ কেয়া কসমেটিকসের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর ছিলাম। কেয়ার কাজগুলোতে ভালোই সাড়া পেয়েছি। এর বাইরেও প্রাণের বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি।

ঢাকাটাইমস: মডেলিং না অভিনয়, কোনটিতে বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

সুজানা: মডেলিংয়ে আমি বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি। নাটক খুব কম করি। মডেলিংটাই আমার মূল। এজন্য সবাই আমাকে মডেল সুজা নামেই ডাকে। তবে আমি এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২টা নাটকে কাজ করেছি।

ঢাকাটাইমস: বড়পর্দায় কাজ করার স্বপ্ন দেখেন?

সুজানা: না। বড়পর্দায় কাজ করার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই। এ নিয়ে চিন্তাও করিনি। ইচ্ছে থাকলে এতদিনে অনেক সিনেমায় কাজ করা হতো। সিনেমা করার জন্য প্রচুর প্রস্তাব পাই।

ঢাকাটাইমস: এটা কেন?





সুজানা: আসলে সব কাজই তো সবার পছন্দ না। আমি হয়তো মডেলিংটাকে বেশি পছন্দ করি। নাটক বা টেলিফিল্মে চরিত্রটা খুব ভালো হলে অভিনয় করি। কিন্তু সিনেমায় তো লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হয়। এত সময় দেয়া আসলে আমার জন্য সম্ভব না। কারণ, বাবা মারা যাওয়ার পর মা একা হয়ে পড়েছেন। যতটুকু সময় পাই মায়ের সঙ্গেই কাটাই। তাকে সময় দেয়ার জন্যই কাজ নিয়ে কম ব্যস্ত থাকি।

ঢাকাটাইমস: শিল্পী হৃদয় খান এবং আপনাকে নিয়ে একটা সময় পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। আপনাদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক ছিল ...

সুজানা: সুসম্পর্ক ছিল না, এখনও আছে। আসলে হৃদয় খান নামে যে একজন শিল্পী আছে এটাই জানতাম না। যখন প্রথম তার সঙ্গে মিউজিক ভিডিও করি তখনই পরিচয় হয়। ও অনেক ভালো গান গায়। বাবার অসুস্থতার কারণে যখন পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে রেখেছিলাম, তখন সুযোগটা অনেকে বাজেভাবে ব্যবহার করেছে। অনেকে বলেছে, সুজানা বিয়ে করেছে তাই মিডিয়ায় কাজ করছে না। অনেকে বলেছে হৃদয় খানের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে, সে মিডিয়াতে কাজ করা পছন্দ করে না দেখে সুজানা কাজ করছে না। কিন্তু আমি কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাইনি।

ঢাকাটাইমস: তখন কেন চুপ ছিলেন?

সুজানা: বাবার পাশে ছিলাম। বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। তার জন্য যে কোনো কিছুই করতে রাজি ছিলাম। তাই তখন মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। তখন যারা এসব সংবাদ লিখেছে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করব যদি হৃদয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েই থাকে তবে ছবি কোথায়। তাছাড়া হৃদয়ের সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গ কোনো ছবিও কি তারা দেখাতে পারবে? কারো সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে অন্তরঙ্গ অনেক ছবিও তো থাকে। সম্পর্কের বিষয়ে আমি খোলামেলা। আমি যদি কাউকে ভালোবাসি তবে বলেই দেবÑ এটা গোপন রাখার কী আছে?

ঢাকাটাইমস: তাহলে আপনারা কি শুধুই বন্ধু ...

সুজানা: হ্যাঁ। হৃদয় আমার খুব ভালো একজন বন্ধু। ১২ বছর ধরে মিডিয়ায় কাজ করি। বলতে পারেন এতদিন কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়নি কেন। কারণ, ওই রকমভাবে কাউকে আমার ভালো লাগেনি, পছন্দ হয়নি। যে যাই বলুক হৃদয় খুব ভালো একটা ছেলে। তাই হয়তো ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। তবে হ্যাঁ, হৃদয় আমাকে অনেক পছন্দ করে, ভালোবাসে। কিন্তু কেউ আমাকে পছন্দ করলে তাকে পছন্দ করতে হবে এটা তো ঠিক না।

ঢাকাটাইমস: পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছেÑ আপনার সঙ্গে হৃদয়ের ব্রেকআপ হয়ে গেছে ...

সুজানা: হৃদয়ের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আমার কোনো ঝগড়া হয়নি। তাহলে ব্রেকআপ কোত্থেকে এলো। অনেকে বলছে আমরা একজন আরেকজনকে দেখতেও পারি না। তাহলে ক’দিন আগে ওর সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে কীভাবে কাজ করলাম। এটা কি কেউ ভেবেছে?

স্বাক্ষতকারটি নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ।

(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/জেএস)