দেশের রাজনীতিতে বেশ সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের প্রভাবশালী নেতা সালমান এফ রহমানকে টপকে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জিতেও এসেছিলেন। প্রতিদান হিসেবে দলের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলেন আবদুল মান্নান খানকে। ভেবে নেয়া হয়েছিল আবাসন খাতের চলমান অনাচার হটিয়ে শৃঙ্খলা আনতে পারবেন বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা। শুরুতেই ‘ভূমিদস্যু’ হিসেবে খ্যাতদের বিরুদ্ধে ভরা সভায় সেরকমই ‘হুংকার’ দিয়েছিলেন তিনি। এতে জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটিও বেশ জোরালো হয়েছিল। ‘গর্ব’ করে বলেছিলেন, অনিয়মকে প্রশ্রয় দেবেন না। রাজউকের কোনো প্লটও নেবেন না তিনি। কিন্তু বছর খানেকের ব্যবধানে স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়মের অভিযোগ ওঠে পূর্ত প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, সরকারের গত মেয়াদে বৈধ-অবৈধ নানা উপায়ে বিপুল অর্থকড়ির মালিক হয়েছেন মান্নান খান। ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাটেরও মালিক বনে গেছেন। গুলশানে বেনামে প্লটের মালিক হয়েছেন। গ্রামের বাড়িতে আগের সেই টিনশেড ঘর আর নেই। সেখানে উঠেছে দোতলা দালান। এসবের বিরূপ প্রভাব পড়েছে নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয়তাতেও। বিএনপিবিহীন দশম জাতীয় নির্বাচনে হেরেছেন। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ‘গর্বিত’ মান্নান খানের এমন পতনে এখন ‘লজ্জিত’ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনেক নেতাই। এসব নিয়ে কথা বলতেও বিব্রতবোধ করছেন তাঁরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মান্নান খানের ব্যাপারে দুদক অনুসন্ধান করছে। তিনি অপরাধ করলে সেখানেই প্রমাণ হবে। এনিয়ে এখন কথা বলার কিছু নেই।’
তবে মান্নান খানের দাবি, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। রাজনীতির শক্ত প্রতিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এসব মিথ্যাচারকে ‘মরণব্যাধি’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন সাবেক বামপন্থী এই নেতা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছর আগেও যেখানে সবমিলিয়ে মান্নান খানের সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, সেখানে অল্প দিনের ব্যবধানে তা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি তিন লাখ টাকায়। ২০০৮ সালে বছরে তাঁর আয় ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতিমন্ত্রিত্ব পেয়েই সেই আয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকায়। হিসেবে সম্পদ বেড়েছে ১০৭ গুণ। অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগও আছে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে তাঁর সম্পদের ব্যাপারে। দ্বিতীয় দফা তলবের পর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছেন মান্নান খান। পাঁচ বছর আগের আইনজীবীর হঠাৎ বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ায় বিস্ময়ের শেষ নেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা দোহারের এক আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রাজনীতিকদের দুর্বৃত্তায়নকে একসময় চরম ঘৃণা করতেন মান্নান খান। দলের সজ্জনদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ভেবে নিয়েছিলাম সবাই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসালেও মান্নান খান থাকবেন স্রোতের বিপরীতে। কিন্তু হঠাৎ তাঁর সম্পদের উল্লম্ফনে আমরা হতবাক। আর কাকে বিশ্বাস করবো বলতে পারেন?’
গুলশানে আছে বেনামে প্লট :
অভিযোগ আছে, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে গুলশানের ৩২ ও ৩৩ নম্বর সড়কের পশ্চিম পাশের লেকের পাড়ে দুটি সড়ককে সংযুক্ত করে ৩২/এ সড়ক তৈরি করে রাজধানী উন্নয়ন করপোরেশন (রাজউক)। এর পাশেই মামলা চলছে এবং বিক্রিতে আদালতের স্থগিতাদেশ আছে এমন জায়গায় পাঁচ কাঠা করে চারটি প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে এক নম্বর প্লটটিই সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের। তবে প্লটটি নিজের নামে না নিয়ে আনোয়ার হোসেনের নামে নিয়েছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্লটটির তিনদিক সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ভেতরে নানা ধরনের ছোট গাছপালা। এই প্লটই মান্নান খানের বলে জানান জাকির হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর পাশের প্লটটি তৎকালীন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীর।
তবে আবদুল মান্নান খানের দাবি, গুলশানে তার কোনো প্লট নেই। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গুলশানে আমার নামে কোনো প্লট নেই। প্রশ্নই ওঠে না। যারা বলছেন, তাদের বলবো খুঁজে বের করে প্লটটি আমার দখলে এনে দেন।’ জনৈক আনোয়ার হোসেনের নামে প্লটটি আপনি নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বা পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এমনটা আছে কি-না আমার জানা নাই যে, যে সম্পদ আপনার নামে নাই সেটার দায়দায়িত্ব আপনার হতে পারে।’
কে এই আনোয়ার হোসেন :
লিজ দলিলে দেখা গেছে, প্লটটির মালিক হিসেবে আছেন আনোয়ার হোসন পিতা- মরহুম আবদুল করিম, গ্রাম-ভাটারচর, ডাক-নয়াবাদ, থানা-আড়াইহাজার, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। কিন্তু খোঁজ নিয়ে ওই ঠিকানায় এই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার পিতা মরহুম আবদুল করিমেরও হদিস দিতে পারেনি স্থানীয়রা। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা পরিচালনাকারীদের একজন গুলশান ১৩০ নম্বর সড়কের ২৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আনোয়ার হোসেনের নাম ব্যবহার করে মান্নান খান সাহেব প্লটটি নিয়েছেন।’
রাজউকের একজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গত পাঁচ বছরে অনেক প্লট বণ্টন করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। কাগজে-কলমে যারতার নাম ব্যবহার করে অন্যজন প্লট নিয়েছেন।’
বারিধারায় মান্নান খানের নামে-বেনামে প্লট :
রাজউকের প্রকৌশল বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, বারিধারায় মাদানী এভিনিউ নামে একটি সরণি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মান্নান খান। এই এভিনিউয়ের পাশে একইভাবে বেনামে প্লট তৈরি ও বরাদ্দের আড়ালে আছেন মান্নান খান। আর যেটুকু তিনি আড়াল করতে পারেননি, ঠিক সেটুকুই তিনি নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে মান্নান খান বলেন, ‘১৯৮৯ সালে বর্তমান মার্কিন দূতাবাসের সামনে গুলশান থানাধীন ভাটারা মৌজায় আমার নামে পাঁচ কাঠা এবং আমার স্ত্রীর নামে পাঁচ কাঠা জমি কিনি। তার কিছুদিন পরে আরও পাঁচ কাঠা জায়গা আমি কিনেছি। সবমিলিয়ে ১৫ কাঠা জায়গা কিনেছি পানির দামে। তখন ওইখানে যাওয়ার কোনো রাস্তা ছিল না। এখন সেখানে মাদানী সড়ক তৈরি হয়েছে। যেটা শত ফুট প্রশস্ত। এ কারণে জায়গাটি এখন হীরার খনির মতো সম্পদে পরিণত হয়েছে। এটা কি আমার অপরাধ?’
রাজউকের প্লট বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি :
রাজউকের ঝিলমিল ও পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আছে সাবেক পূর্ত প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। ভোটের মাঠে নিজের অবস্থানকে জোরালো করতে এসব করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গত পাঁচ বছরে বেশির ভাগ প্লট বরাদ্দ চলছে রাজনৈতিক বিবেচনা ও ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে। রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য ১০ ভাগ ও মন্ত্রণালয়ের এক ভাগ কোটা নিয়েও বরাদ্দ বাণিজ্য ও নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে।
সূত্র জানায়, সংরক্ষিত কোটায় দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্লটপ্রাপ্তদের সবাই মান্নান খানের ঘনিষ্ঠ এবং আজ্ঞাবহ। আওয়ামী লীগ করেন কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ নন এমন কাউকে প্লট দেয়া হয়নি। এদের মধ্যে বেশির ভাগই অর্থবিত্তের মালিক এবং কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারও রয়েছেন। যার টাকা বেশি তিনি এককভাবে প্লট পেয়েছেন। যার টাকা তুলনামূলক কম তাকে কয়েকজনের সঙ্গে মিলিয়ে যৌথভাবে প্লট দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো প্লট বরাদ্দের সময় কাঠাপ্রতি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অবৈধ লেনদেন হয়েছে। এভাবে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এছাড়া এর বাইরেও আইন না মেনে অনেককে প্লট দেয়া হয়েছে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, মান্নান খান দায়িত্বে থাকাকালে পূর্বাচলে ছয় হাজার ৮০০ প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঝিলমিলে দেওয়া হয় আরো প্রায় হাজারখানেক। এর মধ্যে ১০ শতাংশ প্লট আগেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তিনি। তার হাত দিয়ে এই ৮০০ প্লট বিতরণ হয়েছে। এর মধ্যে শতিনেক প্লট বিতরণ হয়েছে মান্নান খানের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে, যাদের মধ্যে শদুয়েক ব্যক্তির বাড়ি তার নির্বাচনীয় এলাকায়। এখানেও অনেক প্লট আছে, যেগুলোর আড়ালে আছেন মান্নান খান। এ ছাড়া আরো যাদের তিনি প্লট দিয়েছেন, সেই কর্মে অর্থ হাতানোর অভিযোগ আছে জনাব খানের বিরুদ্ধে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক :
আবদুল মান্নান খান তার হলফনামায় দেয়া সম্পদ এবং এর বাইরে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ ওঠার পর এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এছাড়া হলফনামাতে তাঁর দেয়া তথ্যের সত্যতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলফনামায় তিনি লিখেছেন, মৎস্য ও রেমিট্যান্স থেকে বছরে আয় করেন এক কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ২২৭ টাকা। এর মধ্যে ৫০ লাখ টাকার চিংড়ি ঘের এবং প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন। হলফনামায় মাছ চাষের এ ফিরিস্তি দেখে রীতিমতো ভরকে গেছেন দোহার আওয়ামী লীগের এক নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা বলেন, ‘জীবনেও শুনিনি সাবেক এই মন্ত্রী মাছের ব্যবসা করেন। এবার তিনি হলফনামায় স্ত্রীর নামে পাঁচটি এবং নিজের নামে আরো পাঁচটি মাছের ঘের আছে বলে উল্লেখ করেছেন। কোথায় সেই ঘের তা এলাকাবাসী জানে না।’
দুদক সূত্র জানায়, শুধু হলফনামার তথ্যই নয় মান্নান খান সম্বন্ধে পত্রপত্রিকায় এ পর্যন্ত প্রকাশিত সংবাদগুলোও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন এই সময়কে বলেন, অনুসন্ধানে সব কিছুই বিবেচনায় নেয়া হবে। অনুসন্ধানের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
তবে মান্নান খানের দাবি, তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ‘মিথ্যাচারের’ শিকার। তিনি এই সময়কে বলেন ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা একটি মরণব্যাধি। দুদক যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো ব্যক্তির সম্পদের অনুসন্ধান করতে পারে। এখানে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আমি তাদের স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনের আগে যে হলফনামা দিয়েছি সেটা আমারই দেয়া। সেখানে যে সম্পদের হিসাব দেয়া হয়েছে তা সঠিক।’
দলের পদও হারিয়েছেন মান্নান খান!
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদটি হারিয়েছেন মান্নান খান। দলের ওয়েবসাইট ও উপজেলা নির্বাচনে দলের সমর্থন জানিয়ে প্রার্থীদের নামে ইস্যু করা চিঠিতেও দপ্তর সম্পাদকের জায়গায় আবদুস সোবহান গোলাপের নাম রয়েছে। তাছাড়া অফিসও করছেন তিনি। কিন্তু মান্নান খানের দাবি তিনিই আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। এই সময়কে তিনি বলেন, ‘আমি এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক দুজনই নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম। নির্বাচনকালীন সময়ে আরেকজনকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশ মেনে দায়িত্ব পালন করছি।’
(ঢাকাটাইমস/ ০৫ মার্চ/ এআর/ ঘ.)