রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য তিনি। সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছেন ঢাকাটাইমসের। কথা বলেছেন তাঁর সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান, উত্তরায় রাজউকের ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প, সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন এনা প্রপার্টিজ এবং নর্দান পাওয়ার লিমিটেডের সরকারের সঙ্গে ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
ঢাকাটাইমস: দুর্নীতি দমন কমিশন গত সরকারের সাত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধানে নেমেছে। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
এনামুল হক: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে তাদেরই মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সম্পদের ব্যাপারে যে অনুসন্ধান করছে তাতে প্রমাণ হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি স্বাধীন সংস্থা। এটি সুশাসনের উদাহরণও। দুদক যদি সঠিকভাবে অনুসন্ধান করে দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করতে পারে তবেই তাদের অভিযান সার্থক হবে বলে আমি মনে করি। কিন্তু কিছু লোকজনকে হয়রানির মাধ্যমে শুধু লোক দেখানো তদন্তÑএটা আমি সমর্থন করি না। এটি দুদকের জন্য বুমেরাং হবে। কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না।
ঢাকাটাইমস: যাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে সেখানে আপনার নামও আছে...
এনামুল হক: আমার ব্যবসায়ী জীবন ১৮ বছরের। এর মধ্যে ২০০৭ সালে ১/১১ গেছে। এখন পর্যন্ত এনা প্রপার্টিজ কিংবা এনা গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। ব্যবসা করেই আমি এগিয়ে এসেছি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে তা যদি একচুল পরিমাণ প্রমাণ করতে পারে সেদিনই আমি সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করব। সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে কোনো দিনও নির্বাচনের জন্য যাব না। আমি মনে করি, দুদক তা প্রমাণ করতে পারবে না। হলফনামায় আমার যে সম্পদের হিসাব দেয়া হয়েছে তাই সঠিক। এর বাইরে কোনো সম্পদ আমার নেই, কোনো দিনও ছিল না। তবে দুদকের তদন্তের ব্যাপারে আমি ভীতসন্ত্রস্ত নই। এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ আমি পাইনি। পত্রপত্রিকায় দেখেছি।
ঢাকাটাইমস: হলফনামা অনুযায়ী অনেকের সম্পদের হিসাব পত্রিকায় এসেছে। দুদক শুধু সাতজনকেই কেন বেছে নিল? আপনি কী মনে করেন?
এনামুল হক: এ প্রশ্নের উত্তর দুদকই ভালো দিতে পারবে। তবে আমি মনে করি যাদের বিরুদ্ধে বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাদের ব্যাপারেও তদন্ত শুরু করা দরকার। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করাও রাজনীতিবিদদের জন্য মানহানিকর। মিডিয়াকেও এটা বুঝতে হবে যে, দুর্নীতির অভিযোগ মানেই দুর্নীতি নয়।
ঢাকাটাইমস: আপনি রাজশাহীতে বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছেন, এ নিয়েও অভিযোগ আছে...
এনামুল হক: আপনি ঠিকই বলেছেন। রাজশাহীতে আমি নর্দান পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছি। কিন্তু রাজশাহীর রাস্তাঘাট ভারি যন্ত্রাংশ বহনের উপযোগী ছিল না বলে কেউ সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চায়নি। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে কাজটি দেন। নর্দান পাওয়ার প্ল্যান্ট রাজশাহীতে করা অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। ফিনল্যান্ড থেকে যে মেশিন আনা হয়েছে তার একেকটির ওজন ১৪০ মেট্রিক টন। এগুলো সড়কপথে নেয়া যাচ্ছিল না। পরে মংলা বন্দর থেকে নৌপথে সেগুলো বাঘাবাড়ি ঘাটে নেয়া হয়। সেখানে ৭ কোটি টাকা দিয়ে শুধু জেটিই তৈরি করতে হয়েছিল মেশিন নামানোর জন্য। পরে যে রাস্তা দিয়ে সেগুলো নেয়া হয়েছে সেখানেও প্রতিটি ব্রিজে সাপোর্ট দিতে হয়েছে। এভাবে চল্লিশ বছর পর রাজশাহীতে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। অনেক সংসদ সদস্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পেয়েছেন, কিন্তু করতে পারেননি। আমি পেরেছি, এজন্যও আমাকে কথা শুনতে হয়।
ঢাকাটাইমস:কিন্তু আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন না...
এনামুল হক: সংসদ সদস্য হওয়ার আগ থেকে এনা প্রপার্টিজ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১৮ বছর হল। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতেও আমরা কাজ করেছি। সরকারের সঙ্গে দরপত্রের মাধ্যমে যে কাজ পাই তা আমরা করি। এটাত আমার দোষের কারণ হতে পারে না। ব্যবসা করে খাব, না হলে কী করে খাব? ২০০৮ সালে আমার সম্পদ ছিল ১০ কোটি টাকার ওপরে। এবার আমার সম্পদ কমে গেছে নানামুখি বিনিয়োগের কারণে। এটাও নাকি দুদকের সন্দেহ হয়েছে। আরপিওর ১২-এর ‘খ’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যে প্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্যের ২০ শতাংশের বেশি মালিকানা থাকে, যে প্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক সেই প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে পারবে না। কিন্তু এনা প্রপার্টিজ এবং নর্দান পাওয়ার যেটাই সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে গেছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আমার অংশীদারিত্ব ২০ শতাংশের নিচে। ১৯ শতাংশের কিছু বেশি। চুক্তির আগেই আমি এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এখানে আমি এমডি বা চেয়ারম্যানও নই। একজন শেয়ার হোল্ডার মাত্র। আইন মেনেই সব করা হয়েছে। আমি একজন সংসদ সদস্য এবং আইন প্রণেতা। আমি আইন ভঙ্গ করতে পারি না।
ঢাকাটাইমস:উত্তরাতে ফ্ল্যাট নির্মাণে রাজউকের সঙ্গে এনা প্রপার্টিজের যে চুক্তি হয়েছিল তা বাতিল হয়ে গেছে। কেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এনা ন্যূনতম কাজ শেষ করতে পারেনি?
এনামুল হক: কোরিয়ান কোম্পানি ডুঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে অনেক দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক দরেই কাজটি আমরা পেয়েছিলাম। এপার্টমেন্ট প্রকল্পের কাজ এর আগে রাজউক কখনো করেনি। দরপত্র প্রক্রিয়াতেই রাজউকের অনেক ভুল আছে। সেগুলো আমরা বের করে বারবার রাজউককে চিঠি দিয়েছি সংশোধনের জন্য। কিন্তু তারা করেনি। তারা মাটি বলে আমাদের জমি দিয়েছে। সেখানে ১১০ ফুট পাইল করতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানে পুরোটাই বালু। পাইল করা যাচ্ছে না। তারা ১২ ইঞ্চি পাইলের ডিজাইন দিয়েছে। এখন ১৬ ইঞ্চি পাইল করতে হয়েছে। এসব পরিবর্তনে অনুমোদন করতে হয়েছে। বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে, পরিবর্তন অনুমোদন করেনি। নানামুখি সমস্যার কারণে যেভাবে কাজ এগোনোর কথা ছিল, তা হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যে ওই প্রকল্পে সবমিলিয়ে আমাদের ১০০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হয়েছে। যেগুলোর বিল আমরা পাইনি। রাজউকের ভুলের জন্যই কাজে দেরি হয়েছে, এর দায় আমার নয়।
ঢাকাটাইমস:চুক্তি বাতিলের পর এখন কী করবেন?
এনামুল হক: চুক্তি বাতিলের কিছু প্রক্রিয়া আছে। শুরুতে আরবিট্রেশন করতে হয়। আরবিট্রেশনে সমাধান না হলে যে পক্ষ খুশি হবে না, সে আদালতে যাবে। তার পরেই না চুক্তি বাতিল। রাজউক চাইলেই একপক্ষে চুক্তি বাতিল করতে পারে না। দুই পক্ষের সম্মতি লাগে। তবে খুব শিগগির এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
ঢাকাটাইমস:আপনি দু’বার সংসদ সদস্য হয়েছেন। দশ বছর সময়। নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে কী পরিকল্পনা আছে?
এনামুল হক: একটি এলাকার উন্নয়নের জন্য পাঁচ বছর যথেষ্ট সময় নয়। নবম জাতীয় সংসদে আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে বাংলাভাই, সর্বহারাদের কারণে বাগমারা ছিল অনেক আলোচিত। নির্বাচিত হওয়ার আগে মানুষের কাছে আমার প্রতিজ্ঞা ছিল যদি আমি নির্বাচিত হই তবে বাগমারাকে শান্তির জনপদে পরিণত করব। আমি সেটা সফলতার সঙ্গে করেছি। গত পাঁচ বছরে বাগমারা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার জন্য পত্রিকার শিরোনাম হয়নি। এটিকে স্থায়ী করার জন্য আমার পরিকল্পনা আছে। কিছু কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও আমি করব।
ঢাকাটাইমস:এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে?
এনামুল হক: ইতিমধ্যে আমি রাস্তা তৈরি করে প্রতিটি গ্রামকে ইউনিয়নের সঙ্গে এবং প্রতিটি ইউনিয়নকে উপজেলা সদরের সঙ্গে এনে যুক্ত করেছি। এর মাধ্যমে পুরো উপজেলায় যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি। সবমিলিয়ে ৪৮০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করতে হবে। এর মধ্যে ২১০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে ফেলেছি।
ঢাকাটাইমস:ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার সরকারের রয়েছে সে অনুযায়ী বাগমারায় বিদ্যুৎ সুবিধা কোন পর্যায়ে আছে?
এনামুল হক: আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে পুরো বাগমারায় বিদ্যুৎ দেয়া হত ৫ মেগাওয়াট। কিন্তু আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর রাজশাহীর অন্য ৮টি উপজেলার চেয়ে বাগমারায় বিদ্যুৎ সংযোগ চাহিদা অনুযায়ী বেশি দিয়েছি। আমার সময়ে ৪০০ কিলোমিটারের মতো বিদ্যুৎ লাইন করা হয়েছে। এখন সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ লাইন আছে ৮৩১ কিলোমিটার। এখন বাগমারায় ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। আরেকটি নতুন ১০ মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হচ্ছে। সেটি হলে ২০১৫ সালের মধ্যে বাগমারার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারব।
ঢাকাটাইমস: শিক্ষায় বাগমারার অবস্থান কোথায়?
এনামুল হক: প্রাথমিক শিক্ষায় বাগমারার শতভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। আগে যেখানে ৪৭ থেকে ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিকে যেত না সেখানে এখন ৮৭ থেকে ৮৮ শতাংশ যাচ্ছে। মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার খুবই কম। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ মিলিয়ে ৭৫ থেকে ৭৭ হাজার ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। এছাড়া এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে রাজশাহী শহর ছাড়া সব উপজেলার চেয়ে বাগমারা এগিয়ে আছে। আমি দুটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ করেছি। তিনটি ডিগ্রি কলেজ করেছি। তিনটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমি একটি কারিগরি কলেজ করব। এছাড়া একটি কলেজ সরকারি ও দুটি কলেজে মাস্টার্স কোর্স চালু করার পরিকল্পনা আমার আছে। এছাড়া বাগমারায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স ভবন করেছি।
ঢাকাটাইমস:বাগমারায় রাজনৈতিক পরিবেশ এখন কেমন?
এনামুল হক: আমরা স্বস্তিবোধ করি যে, বাগমারায় কোনো রাজনৈতিক হানাহানি নেই। গত পাঁচ বছরে এই উপজেলায় কোনো রাজনৈতিক মামলা হয়নি। বিনা অপরাধে একটি লোককেও জেলে দেয়া হয়নি। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্প্রীতি এবং উন্নয়নে সহযোগিতা করার মনোভাব পেয়েছি। এটা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাগমারা বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলায় পরিণত হবে।
ঢাকাটাইমস:রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের তৎপরতা অন্য জেলার চেয়ে বেশি...
এনামুল হক: বাগমারায় এক সময় বাংলাভাই হয়েছে। কিন্তু এখন বাগমারা একটি শান্তির জনপদ। এটি হয়েছে নানা পদক্ষেপের কারণে। আমি কৃষক থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত সবার সঙ্গে বসেছি। নানারকম মতবিনিময় করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হলে উন্নয়ন সম্ভব; আমি সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। সবাই কথা রেখেছে।
ঢাকাটাইমস: সরকার নির্বাচনের পরেও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেছিল। কিন্তু এখন আর তা শোনা যাচ্ছে না।
এনামুল হক: একটি সরকার নির্বাচিত হয় পাঁচ বছরের জন্য। সরকার নির্বাচিত হওয়ায় একটি স্থিতিশীল পরিবেশ আসছে। এখন যদি আগে থেকেই বলা হয় পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে, তাহলে তো সরকার একধাপও এগোতে পারবে না। আমি মনে করি, আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে সবাই মিলে কাজ করা উচিত। আমাদের সরকার আলোচনার ব্যাপারে আন্তরিক। এখন যে সময় পাওয়া গেছে এর মধ্যে সব দলকেই একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সমাধানে পৌঁছা যেতে পারে।
ঢাকাটাইমস: বিএনপি বলছে তারা ঘর গুছিয়ে আবার আন্দোলনে নামবে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
এনামুল হক: আমি কখনোই চাইব না বিএনপি আবার আন্দোলনে আসুক। বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। এই সরকারকে মেনেই তারা উপজেলা নির্বাচনে এসেছে। নির্বাচনের পর যদি তারা আলোচনা করতে চায় সরকার তা করবে। বিএনপি এখনো নির্বাচনের বিকল্প কোনো রূপরেখা দিতে পারেনি। এগুলো সময়ের ব্যাপার। আন্দোলন করে সরকারের কাজ থমকে দেয়া যাবে না। তবে সব ব্যবসায়ীই চাইবেন হরতাল-অবরোধ এগুলো যেন আর না হয়।
(ঢাকাটাইমস? ১৩ মার্চ/ এইচএফ/ এআর/ ঘ.)